১০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

জিয়াউর রহমান মৃত্যুবরণ করার পর তার ভাঙা সুটকেস এবং ছেড়া গেঞ্জি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় নাই : মামুন মাহমুদ

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনধি :
  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪
  • / ২০২

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিএনপির জাতীয় নির্বাহীর কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান মৃত্যুবরণ করার পরও তার ভাঙা সুটকেস এবং একটা ছেড়া গেঞ্জি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় নাই। জিয়া পরিবার বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু তারা একটি জায়গা, একটি সম্পদ, ব্যাংকে একটি টাকাও কিংবা একটি বাড়িও পাওয়া যায় নাই। আজকে বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যের বাড়িতে থাকতে হয়।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি মাদবর বাজার এলাকায় ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাৎ বাষির্কী উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তার মাগফেরাত কামনা করছি। ২৫’শে মার্চ কাল রাত্রিতে যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের নিরীহ-নিপীরিত মানুষের উপরে ঝাপিতে পড়েছিল, হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল, সে সমেয় পাকিস্তানিদের প্রতিরোধের জন্য এগিয়ে আসলেন একজন অখ্যাত বেজন। সেনাবাহিনীতে চাকুরীরত একজন মেজর, একটি স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন করার জন্য তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে সেনাবাহিনীতে তিনি বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন। তার সেই মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে বাংলাদেশের অন্যান্য সেনাবাহিনীর সদস্যরাও স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলো এবং বাংলাদেশের তরুণ যুবকরাও তার ঘোষণা শুনে সাহস পেল এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলো।

তিনি আরো বলেন, আর আপনাদের (আওয়ামী লীগের) আত্মীয়-স্বজন, চেলা-চামচা যে যেখানে রয়েছে, হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আপনাদের চা আনে যে পিএস, তাকেও এমপি বানিয়েছেন। তাকেও হাজার কোটি টাকার সম্পদ বানানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। এগুলো আল্লাহ সহ্য করবেনা। আমাদের উপর বিনা কারণে মামলা দিয়ে, হামলা করে, বিনা কারণে হয়রাণী করবেন না। আমদের নেতা-কর্মীদের এই ১৬ বছরে নির্যাতন করতে করতে বুক-পিঠ মাটিতে ঠেকিয়ে দিয়েছেন। আমাদের পরিবার-পরিজনরা আহজারি করে ধুকে ধুকে মরছে।

মামুন মাহমুদ আরো বলেন, বিএনপির আমলে যে মোটা চাউল ২০-৩০ টাকা ছিল, আজকে কেন সেই চাউল ৭০ টাকায় খেতে হবে? যে আটা ১০-১২ টাকা ছিল, সেই আটা কেন ৫০-৬০ টাকায় খাবে জনগণ? জনগণের বেতন/মজুরিতো বাড়ে নাই, তাহলে কেন দ্রব্য মূল্যের এত উর্দ্ধগতি করিয়ে আপনি আপনার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটদের হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বানিয়ে দিচ্ছেন? এত টাকা দিয়ে তারা কি করবে? এই টাকাতো তারা বিদেশে পাচার করে বাংলাদেশকে আবারো একটি তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে।

যদি এই অবস্থা থেকে আমাদেরকে বাচাতে চান, যদি এই অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে বাচাতে চান, তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। বাংলাদেশে একটি তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফিরে আসার সুযোগ দেন।

সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবুল প্রধানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল দেওয়ানের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দেওয়ান, সিনিয়র সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, হারুন মাস্টার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মাসুদুর রহমান মাসুদ, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি উকিল উদ্দিন ভূইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খোকন, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গাজী মনির, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন মক্তুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা রুহুল আমিন, সাজ্জাদ হোসেন, জহিরুল ইসলাম বাবু, স্বপন, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সাইদুল প্রধান, সোহেল, অপু, মহারাজ, যুবদল নেতা রাসেল দেওয়ান, ছাত্রদল নেতা ইমতিয়াজ, মেহেদী, শুক্কুর, তামিম, সামির ও রেদুয়ান প্রমূখ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

জিয়াউর রহমান মৃত্যুবরণ করার পর তার ভাঙা সুটকেস এবং ছেড়া গেঞ্জি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় নাই : মামুন মাহমুদ

আপডেট সময় : ০৯:১৮:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিএনপির জাতীয় নির্বাহীর কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান মৃত্যুবরণ করার পরও তার ভাঙা সুটকেস এবং একটা ছেড়া গেঞ্জি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় নাই। জিয়া পরিবার বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু তারা একটি জায়গা, একটি সম্পদ, ব্যাংকে একটি টাকাও কিংবা একটি বাড়িও পাওয়া যায় নাই। আজকে বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যের বাড়িতে থাকতে হয়।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি মাদবর বাজার এলাকায় ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাৎ বাষির্কী উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তার মাগফেরাত কামনা করছি। ২৫’শে মার্চ কাল রাত্রিতে যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের নিরীহ-নিপীরিত মানুষের উপরে ঝাপিতে পড়েছিল, হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল, সে সমেয় পাকিস্তানিদের প্রতিরোধের জন্য এগিয়ে আসলেন একজন অখ্যাত বেজন। সেনাবাহিনীতে চাকুরীরত একজন মেজর, একটি স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন করার জন্য তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে সেনাবাহিনীতে তিনি বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন। তার সেই মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে বাংলাদেশের অন্যান্য সেনাবাহিনীর সদস্যরাও স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলো এবং বাংলাদেশের তরুণ যুবকরাও তার ঘোষণা শুনে সাহস পেল এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলো।

তিনি আরো বলেন, আর আপনাদের (আওয়ামী লীগের) আত্মীয়-স্বজন, চেলা-চামচা যে যেখানে রয়েছে, হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আপনাদের চা আনে যে পিএস, তাকেও এমপি বানিয়েছেন। তাকেও হাজার কোটি টাকার সম্পদ বানানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। এগুলো আল্লাহ সহ্য করবেনা। আমাদের উপর বিনা কারণে মামলা দিয়ে, হামলা করে, বিনা কারণে হয়রাণী করবেন না। আমদের নেতা-কর্মীদের এই ১৬ বছরে নির্যাতন করতে করতে বুক-পিঠ মাটিতে ঠেকিয়ে দিয়েছেন। আমাদের পরিবার-পরিজনরা আহজারি করে ধুকে ধুকে মরছে।

মামুন মাহমুদ আরো বলেন, বিএনপির আমলে যে মোটা চাউল ২০-৩০ টাকা ছিল, আজকে কেন সেই চাউল ৭০ টাকায় খেতে হবে? যে আটা ১০-১২ টাকা ছিল, সেই আটা কেন ৫০-৬০ টাকায় খাবে জনগণ? জনগণের বেতন/মজুরিতো বাড়ে নাই, তাহলে কেন দ্রব্য মূল্যের এত উর্দ্ধগতি করিয়ে আপনি আপনার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটদের হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বানিয়ে দিচ্ছেন? এত টাকা দিয়ে তারা কি করবে? এই টাকাতো তারা বিদেশে পাচার করে বাংলাদেশকে আবারো একটি তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে।

যদি এই অবস্থা থেকে আমাদেরকে বাচাতে চান, যদি এই অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে বাচাতে চান, তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। বাংলাদেশে একটি তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফিরে আসার সুযোগ দেন।

সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবুল প্রধানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল দেওয়ানের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দেওয়ান, সিনিয়র সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, হারুন মাস্টার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মাসুদুর রহমান মাসুদ, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি উকিল উদ্দিন ভূইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খোকন, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গাজী মনির, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন মক্তুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা রুহুল আমিন, সাজ্জাদ হোসেন, জহিরুল ইসলাম বাবু, স্বপন, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সাইদুল প্রধান, সোহেল, অপু, মহারাজ, যুবদল নেতা রাসেল দেওয়ান, ছাত্রদল নেতা ইমতিয়াজ, মেহেদী, শুক্কুর, তামিম, সামির ও রেদুয়ান প্রমূখ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন