০৭:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মতলব উত্তরে আবারও দেখা মিলল রাসেল ভাইপার সাপের

মমিনুল ইসলাম :
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৪:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
  • / ৩২১

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এখলাসপুর ইউনিয়নে আবারও একটি বিষধর রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে উপজেলার এখলাসপুর ইউনিয়নের নয়ানগর বটতলা এলাকা থেকে সাপটিকে ধরা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) একই ইউনিয়নের বোরচর এলাকা থেকে একই প্রজাতির আরেকটি সাপ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেশ কয়েকদিন ধরে উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম চরাঞ্চল বোরচরে সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। কিন্তু এবার পূর্ব পাড়ে দেখা মিললে রাসেল ভাইপার সাপের।

তারা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে এখলাসপুর নয়ানগর বটতলা এলাকার মেঘনা নদীর পারে রাসেল ভাইপার সাপটিকে দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী হুমায়ুন মিয়াজি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের ফলে মেঘনা নদীতে পানি বেরিয়ে যাওয়ায় সাপটি বালুর মাঠে চলে এসেছে, সাপটি যখন চলে যাচ্ছিল তখন আমি লোকজন ডাক দিলে তারা এসে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।

এ বিষয়ে এখলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম মুন্না ঢালী বলেন, আমি খবরটি পেয়েছি। নয়ানগর বটতলা এলাকায় একটি রাসেল ভাইপার সাপ ধরার পর মেরে ফেলা হয়েছে। কয়েকদিন ধরে আমাদের ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় সাপ ধরা পড়ছে। আমরা এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছি।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. হাসিবুল ইসলাম বলেন, চন্দ্রবোড়া বা উলু বোড়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Daboia russelii) ভাইপারিডি পরিবারভুক্ত একটি অন্যতম বিষধর সাপ। এই সাপ সবচেয়ে বিষাক্ত ও এর অসহিষ্ণু ব্যবহার ও লম্বা বহির্গামী (Solenoglyphous) বিষদাঁতের জন্য অনেক বেশি লোক দংশিত হন। বিষক্রিয়ায় রক্ত জমা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণে অনেক দীর্ঘ যন্ত্রণার পর মৃত্যু ।

তিনি আরও জানান, সাপ সাধারণত ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। তবে চন্দ্রবোড়া সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়। এরা বছরের যে কোনো সময় প্রজনন করে। একটি স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে কোনো কোনো চন্দ্রবোড়া সাপের ৮০টি পর্যন্ত বাচ্চা দেয়ার রেকর্ড আছে।

এটি বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে পাওয়া গেল ও মতলব উত্তর পদ্মা ও মেঘনা নদী অববাহিকা অবস্থিত হওয়ায় এ সাপটি এখন পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য তৃণমূল পর্যায়ে বিশেষ করলে চর অঞ্চলের মানুষকে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মতলব উত্তরে আবারও দেখা মিলল রাসেল ভাইপার সাপের

আপডেট সময় : ০৫:৪৪:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এখলাসপুর ইউনিয়নে আবারও একটি বিষধর রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে উপজেলার এখলাসপুর ইউনিয়নের নয়ানগর বটতলা এলাকা থেকে সাপটিকে ধরা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) একই ইউনিয়নের বোরচর এলাকা থেকে একই প্রজাতির আরেকটি সাপ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেশ কয়েকদিন ধরে উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম চরাঞ্চল বোরচরে সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। কিন্তু এবার পূর্ব পাড়ে দেখা মিললে রাসেল ভাইপার সাপের।

তারা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে এখলাসপুর নয়ানগর বটতলা এলাকার মেঘনা নদীর পারে রাসেল ভাইপার সাপটিকে দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী হুমায়ুন মিয়াজি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের ফলে মেঘনা নদীতে পানি বেরিয়ে যাওয়ায় সাপটি বালুর মাঠে চলে এসেছে, সাপটি যখন চলে যাচ্ছিল তখন আমি লোকজন ডাক দিলে তারা এসে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।

এ বিষয়ে এখলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম মুন্না ঢালী বলেন, আমি খবরটি পেয়েছি। নয়ানগর বটতলা এলাকায় একটি রাসেল ভাইপার সাপ ধরার পর মেরে ফেলা হয়েছে। কয়েকদিন ধরে আমাদের ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় সাপ ধরা পড়ছে। আমরা এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছি।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. হাসিবুল ইসলাম বলেন, চন্দ্রবোড়া বা উলু বোড়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Daboia russelii) ভাইপারিডি পরিবারভুক্ত একটি অন্যতম বিষধর সাপ। এই সাপ সবচেয়ে বিষাক্ত ও এর অসহিষ্ণু ব্যবহার ও লম্বা বহির্গামী (Solenoglyphous) বিষদাঁতের জন্য অনেক বেশি লোক দংশিত হন। বিষক্রিয়ায় রক্ত জমা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণে অনেক দীর্ঘ যন্ত্রণার পর মৃত্যু ।

তিনি আরও জানান, সাপ সাধারণত ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। তবে চন্দ্রবোড়া সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়। এরা বছরের যে কোনো সময় প্রজনন করে। একটি স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে কোনো কোনো চন্দ্রবোড়া সাপের ৮০টি পর্যন্ত বাচ্চা দেয়ার রেকর্ড আছে।

এটি বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে পাওয়া গেল ও মতলব উত্তর পদ্মা ও মেঘনা নদী অববাহিকা অবস্থিত হওয়ায় এ সাপটি এখন পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য তৃণমূল পর্যায়ে বিশেষ করলে চর অঞ্চলের মানুষকে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন