১০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

লিচু বাগানে ফুলকপি চাষে মিলছে বাড়তি আয়

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১১:১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৭১

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা লিচু চাষের জন্য বিখ্যাত। তাই এই অঞ্চলে অসংখ্য লিচুবাগান রয়েছে। এসব বাগানের ফাঁকা জায়গায় ফুলকপি চাষ করে বাড়তি আয় করছেন এখানকার চাষিরা। এ অঞ্চলে সবজি চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি পাওয়া যায়। যা ফুলকপি চাষে অত্যন্ত উপযোগী বলে বলছেন কৃষি কর্মকর্তারা।জানা যায়, অপেক্ষাকৃত উঁচু ও পতিত জমিতে ফুলকপি চাষে তেমন বেশি সারের প্রয়োজন এবং পরিশ্রম লাগেনা। তাই এ অঞ্চলে লিচু বাগানে ফুলকপি ও নানা রকমের সবজি চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। লিচু বাগানের ফুলকপি ও নানা ধরনের সবজি চাষে কৃষককে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বীজ বিতরণ ও প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছে কৃষি বিভাগ।কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, অক্টোবর নভেম্বর মাসের দিকে তারা ফুলকপির চারা রোপণ করেছেন। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসের দিকে ফলন ঘরে তুলবেন। পতিত ও পরিত্যক্ত জমিতে এর চাষ হওয়ায় জমির শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে। এক শতাংশ জমির জন্য ৫০ থেকে ৬০ টি চারার প্রয়োজন হয়। আর ভালো সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে তারা ভালো ফলন পাওয়া আশা করছেন । লিচু বাগানে ফুলকপি চাষে পরিশ্রম কম হওয়াতে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন।কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি বছরের রবি মৌসুমের শেষের দিকে এ উপজেলায় প্রচুর ফুলকপি চাষ হয়েছে। লিচু বাগানে ফুলকপির বর্তমান অবস্থা দেখে খুবই আশাবাদী তারা। এখানে ফুলকপি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এই বছর প্রথম লিচু বাগানে ফুলকপির চাষ করার ফলে গত বছর তুলনায় ফুলকপি চাষাবাদ এ উপজেলায় বেশি হয়েছে । যদি এই উপজেলার প্রতিটি লিচু বাগানের ২০ ভাগও বিভিন্ন সবজি চাষের জন্য ব্যবহার করতে পারি, তবে এখানে ব্যাপক সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।এতে করে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্য উপজেলায় সবজি রপ্তানী করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

লিচু বাগানে ফুলকপি চাষে মিলছে বাড়তি আয়

আপডেট সময় : ১১:১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা লিচু চাষের জন্য বিখ্যাত। তাই এই অঞ্চলে অসংখ্য লিচুবাগান রয়েছে। এসব বাগানের ফাঁকা জায়গায় ফুলকপি চাষ করে বাড়তি আয় করছেন এখানকার চাষিরা। এ অঞ্চলে সবজি চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি পাওয়া যায়। যা ফুলকপি চাষে অত্যন্ত উপযোগী বলে বলছেন কৃষি কর্মকর্তারা।জানা যায়, অপেক্ষাকৃত উঁচু ও পতিত জমিতে ফুলকপি চাষে তেমন বেশি সারের প্রয়োজন এবং পরিশ্রম লাগেনা। তাই এ অঞ্চলে লিচু বাগানে ফুলকপি ও নানা রকমের সবজি চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। লিচু বাগানের ফুলকপি ও নানা ধরনের সবজি চাষে কৃষককে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বীজ বিতরণ ও প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছে কৃষি বিভাগ।কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, অক্টোবর নভেম্বর মাসের দিকে তারা ফুলকপির চারা রোপণ করেছেন। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসের দিকে ফলন ঘরে তুলবেন। পতিত ও পরিত্যক্ত জমিতে এর চাষ হওয়ায় জমির শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে। এক শতাংশ জমির জন্য ৫০ থেকে ৬০ টি চারার প্রয়োজন হয়। আর ভালো সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে তারা ভালো ফলন পাওয়া আশা করছেন । লিচু বাগানে ফুলকপি চাষে পরিশ্রম কম হওয়াতে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন।কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি বছরের রবি মৌসুমের শেষের দিকে এ উপজেলায় প্রচুর ফুলকপি চাষ হয়েছে। লিচু বাগানে ফুলকপির বর্তমান অবস্থা দেখে খুবই আশাবাদী তারা। এখানে ফুলকপি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এই বছর প্রথম লিচু বাগানে ফুলকপির চাষ করার ফলে গত বছর তুলনায় ফুলকপি চাষাবাদ এ উপজেলায় বেশি হয়েছে । যদি এই উপজেলার প্রতিটি লিচু বাগানের ২০ ভাগও বিভিন্ন সবজি চাষের জন্য ব্যবহার করতে পারি, তবে এখানে ব্যাপক সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।এতে করে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্য উপজেলায় সবজি রপ্তানী করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন