নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর পূর্ব চাঁদপুর এলাকার দীনবন্ধু সাহার বাড়ির প্রবাসী বিশ্বজিৎ সাহা’র ঘরে সিধেঁল চুরির ঘটনার ৫দিন পর পুলিশ ঘটনার ক্লুলেস উদঘাটন করে ঘটনার সাথে জড়িত একজন কে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত মো. সাহাব উদ্দিন প্রঃ আলী হোসেন প্রঃ সুজন (৩২) একই এলাকার চৌকিদার বাড়ির নুরুল আমিন প্রকাশ কালা মিয়ার ছেলে।
রবিবার (২৬ মে) দুপুরে ঘটনার বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ এক প্রেস ব্রিফিং করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, গত বুধবার প্রবাসী বিশ্বজিৎ সাহা’র ঘরে সিধেঁল চুরির ঘটনা ঘাঁর পর ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা রেকর্ড হয়। এরপর পুলিশের অভিযানে ক্লুলেস সিধেঁল চুরি মামলার রহস্য উদঘাটন করে সাহাব উদ্দিন কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতের তথ্য মতে তার বসত ঘরের খাটের নিচ থেকে একটি দেশীয় তৈরী পাইপগান, এক রাউন্ড কার্তুজ, চোরাই স্বর্ণ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সাহাব উদ্দিন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সিধেঁল চুরির কথা স্বীকার করে জানায়, সে ঘরের ভেতর প্রবেশ করার পর হঠাৎ সিন্ধু রঞ্জন সাহা টের পেয়ে কে কে বলে চিৎকার করে। এতে সাহাব উদ্দিনের হাতে থাকা কাঠের ডাসা দিয়ে সিন্ধু রঞ্জন সাহা’র মুখে একাধিকবার সজোরে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। সিন্ধু রঞ্জন সাহার চিৎকার শুনে তার স্ত্রী কাজল সাহা এগিয়ে আসলে তাকেও কাঠের ডাসা দিয়ে মাথায় উপর্যুপুরী আঘাত করলে কাজল সাহা রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এই ফাঁকে কাজল সাহার কানে থাকা একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল, গলায় থাকা একটি স্বর্ণের লকেট এবং ঘরে থাকা একটি বিদেশী টর্চ লাইট, একটি চায়না চার্জার লাইট, একটি স্যামসাং মোবাইল ও ১ টি নকিয়া বাটন-১০৫ মডেলের মোবাইল নিয়ে ঘর হতে বের হয়ে যায়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ওসি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত সাহাব উদ্দিনের নামে চট্রগ্রামের কোতায়ালী থানায় একটি ও সোনাইমুড়ী থানায় ৪টি পূর্বের মামলা রয়েছে। সে এসব মামলায় দীর্ঘদিন থেকে গাঁ ঢাকা দিয়ে ছিল।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না