০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পূবাইলে ৭বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের চেষ্টা, মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

রবিউল আলম, গাজীপুর :
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৩:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
  • / ১৫৫

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানা এলাকার হায়দারাবাদ স্বরুপদিরটেক জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন আমির হামজার বিরুদ্ধে মক্তবে পড়তে আসা ৭বছর বয়সী এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শিশুর স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার (১৯মে) দুপুরে ওই শিশু মক্তবে প্রাইভেট পড়তে গেলে মসজিদের মোয়াজ্জিনের কক্ষে ডেকে নেয় ওই শিশুকে, পরে জোরপূর্বক যৌন হেনস্তাকালীন শিশুর চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয়দের সহায়তায় মোয়াজ্জিনকে আটক করে শিশুর পরিবার। এসময় খবর পেয়ে মসজিদ কমিটি ওই শিশুর পরিবারকে বিচারের আশ্বাসে অভিযুক্ত মোয়াজ্জিনকে ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

অভিযুক্ত মোয়াজ্জিন নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার শরীফপুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। চাকুরির সুবাদে মসজিদ কেন্দ্রিক নির্মিত একটি কক্ষে অস্থায়ী বসবাস করতেন অভিযুক্ত মোয়াজ্জিন আমির হামজা।

স্থানীয়রা জানান এর আগেও মসজিদ মাদ্রাসায় এমন একাধিক ঘটনা ঘটলেও মসজিদ মাদ্রাসার কমিটির ছত্রছায়ায় অজানা কারণে পার পেয়ে যান অভিযুক্তরা। স্থানীয়রা বলেন ওইসব ঘটনার সুস্থ বিচার হলে এমন ন্যাককারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতো না। ঘটনার কয়েকদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও শিশুর পরিবার স্থানীয়দের কাছে বিচার চেয়ে বিচার না পেয়ে থানায় গতকাল (২২মে) থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক সুস্থ বিচার দাবী করেছেন ভূক্তভূগী পরিবার ও স্থানীয়রা।

অভিযুক্ত মোয়াজ্জিন আমির হামজার মুঠোফোনে কল করে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কল কেঁটে দেন। অভিযুক্ত মসজিদ কমিটির সম্পাদক নুরুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করলে তিনি কল ধরেন নি। অপরদিকে মসজিদ কমিটির সভাপতি মহসিন মুঠোফোনে জানান মোয়াজ্জিন আমির হামজাকে মারধরের হাত থেকে রক্ষা করতে চলে যেতে সহায়তা করেন কমিটির সেক্রেটারি।

ঘটনায় ২৩ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে মামালা গ্রহণ করে পূবাইল থান পুলিশ, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই নাসির উদ্দীন প্রতিদিনের নিউজ কে জানান অভিযুক্ত কে ধরার চেষ্টা চলছে এর সাথে কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যাবস্থাগ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

পূবাইলে ৭বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের চেষ্টা, মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:৫৩:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানা এলাকার হায়দারাবাদ স্বরুপদিরটেক জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন আমির হামজার বিরুদ্ধে মক্তবে পড়তে আসা ৭বছর বয়সী এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শিশুর স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার (১৯মে) দুপুরে ওই শিশু মক্তবে প্রাইভেট পড়তে গেলে মসজিদের মোয়াজ্জিনের কক্ষে ডেকে নেয় ওই শিশুকে, পরে জোরপূর্বক যৌন হেনস্তাকালীন শিশুর চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয়দের সহায়তায় মোয়াজ্জিনকে আটক করে শিশুর পরিবার। এসময় খবর পেয়ে মসজিদ কমিটি ওই শিশুর পরিবারকে বিচারের আশ্বাসে অভিযুক্ত মোয়াজ্জিনকে ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

অভিযুক্ত মোয়াজ্জিন নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার শরীফপুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। চাকুরির সুবাদে মসজিদ কেন্দ্রিক নির্মিত একটি কক্ষে অস্থায়ী বসবাস করতেন অভিযুক্ত মোয়াজ্জিন আমির হামজা।

স্থানীয়রা জানান এর আগেও মসজিদ মাদ্রাসায় এমন একাধিক ঘটনা ঘটলেও মসজিদ মাদ্রাসার কমিটির ছত্রছায়ায় অজানা কারণে পার পেয়ে যান অভিযুক্তরা। স্থানীয়রা বলেন ওইসব ঘটনার সুস্থ বিচার হলে এমন ন্যাককারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতো না। ঘটনার কয়েকদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও শিশুর পরিবার স্থানীয়দের কাছে বিচার চেয়ে বিচার না পেয়ে থানায় গতকাল (২২মে) থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক সুস্থ বিচার দাবী করেছেন ভূক্তভূগী পরিবার ও স্থানীয়রা।

অভিযুক্ত মোয়াজ্জিন আমির হামজার মুঠোফোনে কল করে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কল কেঁটে দেন। অভিযুক্ত মসজিদ কমিটির সম্পাদক নুরুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করলে তিনি কল ধরেন নি। অপরদিকে মসজিদ কমিটির সভাপতি মহসিন মুঠোফোনে জানান মোয়াজ্জিন আমির হামজাকে মারধরের হাত থেকে রক্ষা করতে চলে যেতে সহায়তা করেন কমিটির সেক্রেটারি।

ঘটনায় ২৩ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে মামালা গ্রহণ করে পূবাইল থান পুলিশ, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই নাসির উদ্দীন প্রতিদিনের নিউজ কে জানান অভিযুক্ত কে ধরার চেষ্টা চলছে এর সাথে কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যাবস্থাগ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন