০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জীবননগরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ১৫দিন ধরে অনুপস্থিত, মেলেনি নোটিশের জবাব

মাহমুদ হাসান রনি :
  • আপডেট সময় : ০১:১১:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
  • / ৬৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আরশাফুল আলম কর্মস্থলে ২ মে থেকে ১৫ দিন ধরে অনুপস্থিত। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগের স্বজনরা জেনে যাওয়ায় ফাঁস হলো না থাকার ঘটনাটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মোঃ আরশাফুল আলম টানা ১৫ দিন ধরে হাসপাতালে আসেননা। ছুটি দরখাস্তও করে যায়নি। ডাকযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশও পাঠালেও তিনি গ্রহণ করেননি। হাসডাতালে না আসার কোন কারণও কাউকে জানায়নি। ফলে হাসপাতালের কর্মকর্তারা মোবাইলে যোগাযোগ করলেও কল ধরছেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর থেকে কয়েকবার ছুটি নিয়েছেন ডাঃ আরশাফুল আলম। যোগদানের পর রোগীও দেখতেন না। তবে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাফিউল্লাহ নেওয়াজ তাকে দায়িত্ব দেওয়ার পর তিনি রোগী দেখছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন। এদিকে তিনি পূর্বের মতো আবারও হাসপাতালে এসে গোপনে হাজিরা খাতায় সই করতে না পারেন তাই হাজিরা খাতা রাখা হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাফিউল্লাহ নেওয়াজের হেফাজতে।

এদিকে অনেক দিন ধরে আরএমও আরশাফুল আলম অনুপস্থিত থাকায় মেডিকেল অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান সুজনকে ভারপ্রাপ্ত আরএমওর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাফিউল্লাহ নেওয়াজ বলেন, ২ মে থেকে হাসপাতালে আসছেন না আরএমও আরশাফুল আলম। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দিচ্ছেন না। এ কারণে তাকে ১২ তারিখে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। তিনি এর জবাব দেননি। এরপর তাকে ডাকযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি এটিরও জবাব দেননি। হাসপাতাল পরিচালনার স্বার্থে সিভিল সার্জনের সঙ্গে আলোচনা করে সুজনকে ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন সাজ্জাৎ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আছে। সেখানকার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তিনি না পারলে আমাকে লিখিতভাবে জানাবেন। তখন আমি ব্যবস্থা নেব


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

জীবননগরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ১৫দিন ধরে অনুপস্থিত, মেলেনি নোটিশের জবাব

আপডেট সময় : ০১:১১:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আরশাফুল আলম কর্মস্থলে ২ মে থেকে ১৫ দিন ধরে অনুপস্থিত। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগের স্বজনরা জেনে যাওয়ায় ফাঁস হলো না থাকার ঘটনাটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মোঃ আরশাফুল আলম টানা ১৫ দিন ধরে হাসপাতালে আসেননা। ছুটি দরখাস্তও করে যায়নি। ডাকযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশও পাঠালেও তিনি গ্রহণ করেননি। হাসডাতালে না আসার কোন কারণও কাউকে জানায়নি। ফলে হাসপাতালের কর্মকর্তারা মোবাইলে যোগাযোগ করলেও কল ধরছেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর থেকে কয়েকবার ছুটি নিয়েছেন ডাঃ আরশাফুল আলম। যোগদানের পর রোগীও দেখতেন না। তবে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাফিউল্লাহ নেওয়াজ তাকে দায়িত্ব দেওয়ার পর তিনি রোগী দেখছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন। এদিকে তিনি পূর্বের মতো আবারও হাসপাতালে এসে গোপনে হাজিরা খাতায় সই করতে না পারেন তাই হাজিরা খাতা রাখা হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাফিউল্লাহ নেওয়াজের হেফাজতে।

এদিকে অনেক দিন ধরে আরএমও আরশাফুল আলম অনুপস্থিত থাকায় মেডিকেল অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান সুজনকে ভারপ্রাপ্ত আরএমওর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাফিউল্লাহ নেওয়াজ বলেন, ২ মে থেকে হাসপাতালে আসছেন না আরএমও আরশাফুল আলম। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দিচ্ছেন না। এ কারণে তাকে ১২ তারিখে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। তিনি এর জবাব দেননি। এরপর তাকে ডাকযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি এটিরও জবাব দেননি। হাসপাতাল পরিচালনার স্বার্থে সিভিল সার্জনের সঙ্গে আলোচনা করে সুজনকে ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন সাজ্জাৎ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আছে। সেখানকার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তিনি না পারলে আমাকে লিখিতভাবে জানাবেন। তখন আমি ব্যবস্থা নেব


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন