চেক প্রতারনাকারী আসামি কুলসুমার খুটির জোড় কোথায় ?
- আপডেট সময় : ০৯:১৬:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
- / ২২৮
সাভার সিঙ্গাইর থানাধীন বাস্তার পাঁচতালা নামক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে চেক প্রতারণা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি কুলসুমা (৪৭) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৫ মে) বাস্তার পাঁচতালা এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিঙ্গাইর থানার এসআই ফারুক।
এসআই ফারুক বলেন, এক ব্যাক্তির কাছ থেকে চেকের বিনিময়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ধার নেন গ্রেফতার কুলসুম। কিন্তু পরে নির্ধারিত সময়ে চেকটি ব্যাংক থেকে ডিজ-অনার হয়। এনিয়ে পরবর্তীতে ঢাকার কোর্টে কুলসুমার বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার মামলা করেন সংবাদকর্মী। ওই মামলায় আদালত কুলসুমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট জারি করে থানায় পাঠান। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (১৫মে) দুপুরের দিকে কুলসুমাকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসি। পরে তাকে মানিকগঞ্জ কোর্টে চালান করি।
স্থানীয় লোকদের থেকে জানা যায়, কুলসুমা অনেকের কাছ থেকেই চেক দিয়ে টাকা এনে পালিয়ে থাকে। এর আগেও দেশের একটি সুনামধন্য ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল। পরে দায়িত্বরত ব্যাংক কর্মকর্তা অনেক কস্টে তার কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মুঠো ফোনে কথা হয় কুলসুমার বোন জামাইর সাথে। তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কুলসুমা অনেক বাজে প্রকৃতির মহিলা। আমাদের কাছ থেকেও টাকা নিয়ে রেখেছে। টাকা চাইলেই ঝগড়া করে এবং অকথ্য ভাষা গালাগালি করে ক্ষমতা দেখায়। তার স্বামী বিদেশ থাকে। শুনতে পাইছি স্বামীর সাথেও এখন বনাবনি নেই। কুলসুমার ছেলে মাদকাশক্ত। তবে লোকমুখে শুনতে পাই ছেলের মাদকাসক্তের আড়ালে সে নিজেও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।
এ কথার সত্যতা জানার জন্য কুলসুমের মুঠোফোনে আমাদের প্রতিবেদক যোগাযোগের চেস্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
কুলসুমা সালেহপুর আমিন বাজার এলাকার জিন্নত এর সন্তান। তার মায়ের নাম সাহিদা। তার বাবা মাছ ব্যবসায়ি।
চেক প্রতারনার বিষয়ে কুলসুমার বাবার সাথে কথা বললে আমাদের প্রতিবেদককে বলেন, কুলসুমার বিষয়ে তারা কিছু জানেন না।
এলাকা ও সচেতন মহলের এখন একটাই প্রশ্ন- সুচতুর কুলসুমার খুটির জোড় কোথায়? কোন শক্তিবলে সাধারণ মানুষেকে চেক দিয়ে টাকা ধার নিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে জালিয়াতির ব্যবসা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ জানতে চায় ,সত্যিই কি থানা পুলিশ কুলসুমাকে গ্রেফতার করে কোর্টে পাঠিয়েছে নাকি রাস্তায় নিয়ে অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে?