০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মতলব উত্তরে চরাঞ্চলে রাসেল ভাইপার আতঙ্কে মিলছে না ধানকাটার শ্রমিক!

মমিনুল ইসলাম :
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
  • / ১৬০

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষ রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের আতঙ্কে রয়েছেন। একের পর এক রাসেল ভাইপারের দেখা মিলছে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। এতে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

হঠাৎ করেই মতলব উত্তরের বোরচরে এই সাপের উপস্থিতি বেশ আতঙ্ক তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকছে এই সাপ। বিশেষ করে বন্যা ও নদীর পানিতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশে ঢুকছে। আর অতিদ্রুত এটি বংশবিস্তার করে চলছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে উপজেলার বোরচরে কৃষক সুমন বেপারী তার জমিতে ধান কাটতে গিয়ে দেখা মিলে রাসেল ভাইপার। পরে সবাই মিলে মেরে ফেলে এই বিষধর সাপটিকে। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে গফুর বাদশার অলুর জমিতে দেখা মিলেছিল ২টি রাসেল ভাইপার।

কৃষক সুমন বেপারী জানান সকালে আমার জমিতে ধান কাটতে গিয়ে দেখি ধানের মুঠির নিচে একটি সাপ শুয়ে আছে। সবাই মিলে সাপটিকে মেরে ফেলি, পড়ে দেখি এটি একটি বিষধর রাসেল ভাইপার। এখন ভয়ে কোন শ্রমিক জমিতে ধান কাটতে চাচ্ছে না।
বোরচর এলাকার সানাউল্লাহ মাষ্টার জানান, গত কয়েক মাস ধরে বোরচর এলাকার রাসেল ভাইপারের দেখা মিলছে। এতে জমিতে ফসল করতে ভয় পাচ্ছে শ্রমিকরা।

উপজেলার এখলাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম মুন্না ঢালী বোরচর এলাকার সাপের দেখা মিলছে। সকল কৃষদের সাবধানে ধান কাটার জন্য বলা হয়েছে।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হাসিবুল ইসলাম জানান, রাসেল’স ভাইপার সাপ অত্যন্ত বিষধর। এর কামড়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। যদিও এর প্রতিষেধক রয়েছে। সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া হলে এ থেকে বাঁচা সম্ভব।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, মতলবের চরাঞ্চলে রাসেল ভাইপার সাপের উপদ্রব অনেক বেড়েছে। এখলাসপুর ইউনিয়নের বোরচর এই সাপের উপদ্রব বেশী। এখন কৃষকরা পায়ে বুট পড়ে ধান কাটবেন। আর ধানকাটা সকল শ্রমিকদের বুট দেয়াও অনেকের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আমাদেরকে জানালে ধানকাটা মেশিন দিয়ে সহায়তা করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মতলব উত্তরে চরাঞ্চলে রাসেল ভাইপার আতঙ্কে মিলছে না ধানকাটার শ্রমিক!

আপডেট সময় : ০৮:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষ রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের আতঙ্কে রয়েছেন। একের পর এক রাসেল ভাইপারের দেখা মিলছে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। এতে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

হঠাৎ করেই মতলব উত্তরের বোরচরে এই সাপের উপস্থিতি বেশ আতঙ্ক তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকছে এই সাপ। বিশেষ করে বন্যা ও নদীর পানিতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশে ঢুকছে। আর অতিদ্রুত এটি বংশবিস্তার করে চলছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে উপজেলার বোরচরে কৃষক সুমন বেপারী তার জমিতে ধান কাটতে গিয়ে দেখা মিলে রাসেল ভাইপার। পরে সবাই মিলে মেরে ফেলে এই বিষধর সাপটিকে। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে গফুর বাদশার অলুর জমিতে দেখা মিলেছিল ২টি রাসেল ভাইপার।

কৃষক সুমন বেপারী জানান সকালে আমার জমিতে ধান কাটতে গিয়ে দেখি ধানের মুঠির নিচে একটি সাপ শুয়ে আছে। সবাই মিলে সাপটিকে মেরে ফেলি, পড়ে দেখি এটি একটি বিষধর রাসেল ভাইপার। এখন ভয়ে কোন শ্রমিক জমিতে ধান কাটতে চাচ্ছে না।
বোরচর এলাকার সানাউল্লাহ মাষ্টার জানান, গত কয়েক মাস ধরে বোরচর এলাকার রাসেল ভাইপারের দেখা মিলছে। এতে জমিতে ফসল করতে ভয় পাচ্ছে শ্রমিকরা।

উপজেলার এখলাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম মুন্না ঢালী বোরচর এলাকার সাপের দেখা মিলছে। সকল কৃষদের সাবধানে ধান কাটার জন্য বলা হয়েছে।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হাসিবুল ইসলাম জানান, রাসেল’স ভাইপার সাপ অত্যন্ত বিষধর। এর কামড়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। যদিও এর প্রতিষেধক রয়েছে। সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া হলে এ থেকে বাঁচা সম্ভব।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, মতলবের চরাঞ্চলে রাসেল ভাইপার সাপের উপদ্রব অনেক বেড়েছে। এখলাসপুর ইউনিয়নের বোরচর এই সাপের উপদ্রব বেশী। এখন কৃষকরা পায়ে বুট পড়ে ধান কাটবেন। আর ধানকাটা সকল শ্রমিকদের বুট দেয়াও অনেকের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আমাদেরকে জানালে ধানকাটা মেশিন দিয়ে সহায়তা করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন