১২:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ঝিকরগাছার ইউআইটিআরসিই সহকারী প্রোগ্রামারের পকেট ভর্তি করতে একদিনে ৩টি ট্রেনিং

আফজাল হোসেন চাঁদ :
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
  • / ২০৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার মোঃ রেজওয়ানুল হক নিজের পকেট ভর্তি করতে নিয়মনীতির না মেনে একদিনে আইসিটি ট্রেনিং এন্ড রিসোর্স সেন্টার ফর এডুকেশনের (ইউআইটিআরসিই) ২টি ট্রেনিংয়ের বিপরীতে ৩টি ট্রেনিং করানোর অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৪ মার্চ তিনি ঝিকরগাছা উপজেলা দায়িত্ব পান। এরপরও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন মনিরামপুর ও মহেশপুর উপজেলায়। সরকারি নিময় অনুযায়ী অফিস টাইম সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা হওয়ার পরও সহকারী প্রোগ্রামার তিনি প্রতিনিয়ত সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের সময় ১ম ব্যাচ ও দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের সময় পর্যন্ত ২য় ব্যাচের ট্রেনিং নিয়ে থাকেন।

উক্ত ট্রেনিংয়ের বিষয়ে ঘন্টা ব্যাপী ট্রেনিংয়ের জন্য বাজেট ৫শত টাকা সম্মানী ভাতা সহকারী স্থানীয় ভাবে ৫জন মাস্টার ট্রেনার থাকার পরও নিজের পকেট ভর্তি করার জন্য তিনি কখনো নিজেই মাষ্টার ট্রেইনার, রিসোর্সপার্সন ও কর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এতেও তিনি খ্যান্ত হননি।

তিনি সোমবার (১৩ মে) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ঝিকরগাছায় ৩টি ট্রেনিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তাঁর বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ড ও আচরণে ক্ষুব্ধ ট্রেনিং নিতে আসা শিক্ষকগণ। উপজেলার মাষ্টার ট্রেইনার সহ অনেক শিক্ষকই তাদের মনে দুঃখ কষ্ট জমিয়ে রেখে ট্রেনিং নিয়ে থাকেন। যার কারণে শিক্ষক সমাজের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা গেছে। এটা থেকে অনেক শিক্ষক ট্রেনিং নিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) থেকে ঝিকরগাছা উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং এন্ড রিসোর্স সেন্টার ফর এডুকেশন বিভাগে বিভিন্ন সময় বরাদ্দ আসে। এসব বরাদ্দে তিনি নয়ছয় করে বিল উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যানবেইসের এই ট্রেনিংয়ে মাষ্টার ট্রেইনার দিয়ে ট্রেনিং নেওয়া কথা থাকলেও নিজের পকেট ভর্তি করতে সহকারী প্রোগ্রামার কখনো তিনিই মাষ্টার ট্রেইনার, রিসোর্সপার্সন ও কর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও সরকারি ভাবে শিক্ষকদের ৪০টাকা হারে নাস্তা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি ২০—২৫টাকার নাস্তা দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

ঘটনার বিষয়ে নামপ্রকাশ অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, আমেদেরকে মাষ্টার ট্রেইনার দিয়ে ট্রেনিং করানোর কথা থাকলেও সহকারী প্রোগ্রামার স্যার আমাদের ক্লাস নেন। নিয়মনীতি অনুযায়ী প্রতিদিন ২টা করে ট্রেনিং নেওয়ার কথা থাকলেও আজ কি কারণে ৩টা ট্রেনিং নেওয়া হয়েছে। প্রতি দিন আমাদের ৪০টার নাস্তার বাজেট থাকলেও আমাদেরকে সব মিলিয়ে ২০—২৫টাকার নাস্তার দেওয়া হয়।

উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার মো. রেজওয়ানুল হক বলেন, ২টি ব্যাচের পরিসমাপ্তি ছিলো আর একটি নতুন ব্যাচ শুরু করা হয়েছে। এতে কোনো সমস্যা নেই। নাস্তার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন সরকারি ভাবে ৪০টাকার বাজেট। আর যেমন বাজেট তেমন নাস্তা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এর সহকারী পরিচালক(প্রশাসন) মো. সাবের মাহমুদ বলেন, একদিনে ৩টি ব্যাচের ট্রেনিং নেওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি আমি দেখবো।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ঝিকরগাছার ইউআইটিআরসিই সহকারী প্রোগ্রামারের পকেট ভর্তি করতে একদিনে ৩টি ট্রেনিং

আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার মোঃ রেজওয়ানুল হক নিজের পকেট ভর্তি করতে নিয়মনীতির না মেনে একদিনে আইসিটি ট্রেনিং এন্ড রিসোর্স সেন্টার ফর এডুকেশনের (ইউআইটিআরসিই) ২টি ট্রেনিংয়ের বিপরীতে ৩টি ট্রেনিং করানোর অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৪ মার্চ তিনি ঝিকরগাছা উপজেলা দায়িত্ব পান। এরপরও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন মনিরামপুর ও মহেশপুর উপজেলায়। সরকারি নিময় অনুযায়ী অফিস টাইম সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা হওয়ার পরও সহকারী প্রোগ্রামার তিনি প্রতিনিয়ত সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের সময় ১ম ব্যাচ ও দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের সময় পর্যন্ত ২য় ব্যাচের ট্রেনিং নিয়ে থাকেন।

উক্ত ট্রেনিংয়ের বিষয়ে ঘন্টা ব্যাপী ট্রেনিংয়ের জন্য বাজেট ৫শত টাকা সম্মানী ভাতা সহকারী স্থানীয় ভাবে ৫জন মাস্টার ট্রেনার থাকার পরও নিজের পকেট ভর্তি করার জন্য তিনি কখনো নিজেই মাষ্টার ট্রেইনার, রিসোর্সপার্সন ও কর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এতেও তিনি খ্যান্ত হননি।

তিনি সোমবার (১৩ মে) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ঝিকরগাছায় ৩টি ট্রেনিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তাঁর বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ড ও আচরণে ক্ষুব্ধ ট্রেনিং নিতে আসা শিক্ষকগণ। উপজেলার মাষ্টার ট্রেইনার সহ অনেক শিক্ষকই তাদের মনে দুঃখ কষ্ট জমিয়ে রেখে ট্রেনিং নিয়ে থাকেন। যার কারণে শিক্ষক সমাজের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা গেছে। এটা থেকে অনেক শিক্ষক ট্রেনিং নিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) থেকে ঝিকরগাছা উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং এন্ড রিসোর্স সেন্টার ফর এডুকেশন বিভাগে বিভিন্ন সময় বরাদ্দ আসে। এসব বরাদ্দে তিনি নয়ছয় করে বিল উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যানবেইসের এই ট্রেনিংয়ে মাষ্টার ট্রেইনার দিয়ে ট্রেনিং নেওয়া কথা থাকলেও নিজের পকেট ভর্তি করতে সহকারী প্রোগ্রামার কখনো তিনিই মাষ্টার ট্রেইনার, রিসোর্সপার্সন ও কর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও সরকারি ভাবে শিক্ষকদের ৪০টাকা হারে নাস্তা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি ২০—২৫টাকার নাস্তা দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

ঘটনার বিষয়ে নামপ্রকাশ অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, আমেদেরকে মাষ্টার ট্রেইনার দিয়ে ট্রেনিং করানোর কথা থাকলেও সহকারী প্রোগ্রামার স্যার আমাদের ক্লাস নেন। নিয়মনীতি অনুযায়ী প্রতিদিন ২টা করে ট্রেনিং নেওয়ার কথা থাকলেও আজ কি কারণে ৩টা ট্রেনিং নেওয়া হয়েছে। প্রতি দিন আমাদের ৪০টার নাস্তার বাজেট থাকলেও আমাদেরকে সব মিলিয়ে ২০—২৫টাকার নাস্তার দেওয়া হয়।

উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার মো. রেজওয়ানুল হক বলেন, ২টি ব্যাচের পরিসমাপ্তি ছিলো আর একটি নতুন ব্যাচ শুরু করা হয়েছে। এতে কোনো সমস্যা নেই। নাস্তার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন সরকারি ভাবে ৪০টাকার বাজেট। আর যেমন বাজেট তেমন নাস্তা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এর সহকারী পরিচালক(প্রশাসন) মো. সাবের মাহমুদ বলেন, একদিনে ৩টি ব্যাচের ট্রেনিং নেওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি আমি দেখবো।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন