শরণখোলায় বজ্রপাতে নিহত ২, আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন ৬ জন
- আপডেট সময় : ০৯:৪৫:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪
- / ১৮৪
বাগেরহাটের শরণখোলায় বজ্রপাতে ২ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।শনিবার (১১ মে) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে শরণখোলা উপজেলার চাল রায়েন্দা বান্দাঘাটা এলাকায় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বদনিভাঙ্গা গ্রামের মিলন (৩৫) এবং পিরোজপুর জেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে মোস্তফা শেখ (৫৫)। আহতদের উদ্ধার করে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শ্রমিকরা জানান, এদিন সকালে পিরোজপুর জেলার বালিপাড়া এলাকা থেকে ইট নিয়ে নদী পথে শরণখোলায় যাচ্ছিলেন ১১ শ্রমিক। নদীতে ভাটি থাকায় শরণখোলার চাল রায়েন্দার বান্ধাঘাটা এলাকায় নদীর মধ্যে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। সকাল ১০টার দিকে বৃষ্টির নামে চাল রায়েন্দা এলাকায় একটি পরিত্যক্ত দোকানে ৮ শ্রমিক আশ্রয় নেয়। এসময় বজ্রপাতে তারা আহত হয়। এদের মধ্যে মোস্তফা (৫৬) ও মিলন (৩৪) নামের দুই শ্রমিক ঘটনাস্থলে মারা যায়। নদীর মধ্যে ট্রলারে থাকা ৩ শ্রমিক সুস্থ্য রয়েছেন।
ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক হসপিটালে আসেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৩ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.আসাদুজ্জামান মিলন, ভাইসচেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ, ৪নং সাউথখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত, সাউথখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন রাজীব, উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুল ইসলাম সবুজ,উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি হেলাল তালুকদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. তাইজুল ইসলাম মিরাজ এ সময় তারা শোক সমাপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেন,বজ্রপাত থেকে মুক্তি পেতে হলে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই তার পাশাপাশি গাছ কর্তন থেকে সকলকে বিরত থাকার আহবান জানান তারা।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ,এইচ,এম কামরুজ্জামান বলেন, একদল শ্রমিক বান্দাঘাটা এলাকায় কার্গো থেকে ইট-বালু উত্তোলন করছিল।
শনিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় বজ্রপাত হলে দুইজন শ্রমিক ঘটনাস্থলে নিহত এবং ছয়জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রিয় গোপাল বিশ্বাস জানান, বজ্রপাতে আহত হয়ে ৮ জন শ্রমিক হাসপাতালে আসেন। এর মধ্যে মিলন ও মোস্তফা নামের দুই জনকে মৃত্যু অবস্থায় পাই। বাকি ছয়জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছে এবং তাদের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে ।