১১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

মোরেলগঞ্জে ঝুকিপূর্ন কাঠের পুল পারাপারে ছাত্র-ছাত্রীসহ ৩ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরমে

এনায়েত করিম রাজিব :
  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
  • / ১০৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পঞ্চকরন ইউনিয়নের মধ্য খারইখালী গ্রামের দরগা বাড়ির খালের উপরে অবস্থিত ঝুকিপূর্ন কাঠের পুল পারাপারে ছাত্র/ছাত্রী সহ মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে। দ্রুত সংস্কার করে পারাপার সুগম করার দাবী স্থানীয়দের।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার পঞ্চকরন ইউনিয়নের মধ্য খারইখালী গ্রামের দরগা বাড়ির খালের উপর থাকা কাঠের পুলটি ঝুকিপূর্ন অবস্হায় রয়েছে। পুলটির এক পাশ দিয়ে স্থানীয় ৩ গ্রামের প্রায় ২/৩ হাজার পরিবারের লোকজন ও একপাড়ে ১৩ নং মধ্য খারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডা. হিরম্নয় কলেজ, ফুলহাতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁচগাও বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রীরা ঝুকি নিয়ে পাড়াপার করছে, যে কোন মূহের্তে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। ভ্যান, মটরসাইকেলসহ কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না ওই পুল থেকে।

এ বিষয় মধ্য খারইখালী গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী আঃ লতিফ হাওলাদার, কাদের শেখ ও আঃ গনি বলেন, এই পুলটি দিয়ে পাড় হয়ে প্রতিদিন আমরা পার্শ্ববর্তী পাঁচগাও বাজার, পঞ্চকরন নতুন বাজার ও সোনাখালী বাজারসহ বিভিন্ন স্হানে যাতায়াত করতে হয়। পুলটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এ এলাকার স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীসহ আমাদের পারাপারে ভোগান্তি লাগবে দ্রুত পুলটি মেরামত করার দাবী জানাই।

১৩ নং মধ্য খারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহিরা আফরোজা বলেন, ভাঙ্গা পুলটির কারনে বিদ্যালয়ে দিনদিন ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এখনতো পুলটির একপাশ থেকে আমরা নিজেরা ছাত্র/ছাত্রীদের পাড় করে স্কুলে নিয়ে আসি, পুলটি দ্রুত সংস্কার না হলে সম্পূর্ন ভেঙ্গে গেলে ওপারের ছাত্র/ছাত্রী আমাদের স্কুলে আসতে পারবে না। ফলে স্কুল ও শিক্ষার্থীরা পড়বে বিপাকে।

এ বিষয় জানতে চাইলে পঞ্চকরন ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, পুলটি সংস্কারের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী ও জেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে, পুলটি দ্রুত সংস্কার করা হবে।
এ সম্পর্কে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, মধ্য খারইখালীর ভাঙ্গা পুলটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ তালিকায় আছে। অর্থ বরাদ্দ চুড়ান্ত হলেই সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান পুলটির সংস্কার কাজ করবেন বলে তিনি জানান।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মোরেলগঞ্জে ঝুকিপূর্ন কাঠের পুল পারাপারে ছাত্র-ছাত্রীসহ ৩ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরমে

আপডেট সময় : ০৬:২৫:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পঞ্চকরন ইউনিয়নের মধ্য খারইখালী গ্রামের দরগা বাড়ির খালের উপরে অবস্থিত ঝুকিপূর্ন কাঠের পুল পারাপারে ছাত্র/ছাত্রী সহ মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে। দ্রুত সংস্কার করে পারাপার সুগম করার দাবী স্থানীয়দের।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার পঞ্চকরন ইউনিয়নের মধ্য খারইখালী গ্রামের দরগা বাড়ির খালের উপর থাকা কাঠের পুলটি ঝুকিপূর্ন অবস্হায় রয়েছে। পুলটির এক পাশ দিয়ে স্থানীয় ৩ গ্রামের প্রায় ২/৩ হাজার পরিবারের লোকজন ও একপাড়ে ১৩ নং মধ্য খারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডা. হিরম্নয় কলেজ, ফুলহাতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁচগাও বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রীরা ঝুকি নিয়ে পাড়াপার করছে, যে কোন মূহের্তে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। ভ্যান, মটরসাইকেলসহ কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না ওই পুল থেকে।

এ বিষয় মধ্য খারইখালী গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী আঃ লতিফ হাওলাদার, কাদের শেখ ও আঃ গনি বলেন, এই পুলটি দিয়ে পাড় হয়ে প্রতিদিন আমরা পার্শ্ববর্তী পাঁচগাও বাজার, পঞ্চকরন নতুন বাজার ও সোনাখালী বাজারসহ বিভিন্ন স্হানে যাতায়াত করতে হয়। পুলটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এ এলাকার স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীসহ আমাদের পারাপারে ভোগান্তি লাগবে দ্রুত পুলটি মেরামত করার দাবী জানাই।

১৩ নং মধ্য খারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহিরা আফরোজা বলেন, ভাঙ্গা পুলটির কারনে বিদ্যালয়ে দিনদিন ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এখনতো পুলটির একপাশ থেকে আমরা নিজেরা ছাত্র/ছাত্রীদের পাড় করে স্কুলে নিয়ে আসি, পুলটি দ্রুত সংস্কার না হলে সম্পূর্ন ভেঙ্গে গেলে ওপারের ছাত্র/ছাত্রী আমাদের স্কুলে আসতে পারবে না। ফলে স্কুল ও শিক্ষার্থীরা পড়বে বিপাকে।

এ বিষয় জানতে চাইলে পঞ্চকরন ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, পুলটি সংস্কারের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী ও জেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে, পুলটি দ্রুত সংস্কার করা হবে।
এ সম্পর্কে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, মধ্য খারইখালীর ভাঙ্গা পুলটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ তালিকায় আছে। অর্থ বরাদ্দ চুড়ান্ত হলেই সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান পুলটির সংস্কার কাজ করবেন বলে তিনি জানান।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন