১১:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বাগমারায় হত্যা চেষ্টা মামলার আসামীকে গ্রেফতার ও বিচার দাবীতে মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১০:৪৯:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৯১

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাগমারা প্রতিনিধি :

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের পলাশী গ্রামে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলার মূল হোতা রিপন (২৪) কে গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা পৌনে বারোটার দিকে মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। মামলা করায় বাদির পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখানো ও প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদি রেজাউল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, মাত্র নব্বই টাকার দোকান বাঁকিকে কেন্দ্র করে গত ১এপ্রিল পলাশী গ্রামের চা দোকানের মালিক একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করে আসা মৃত সাদেক মন্ডলের ছেলে আতাব আলী, স্ত্রী রেহেনা বিবি ও তাদের ছেলে মোস্তাক এর সঙ্গে একই গ্রামের মৃত কালাচাঁন শাহ এর ছেলে রাজমিস্ত্রি আবু বক্কর এর কথাকাটি ও বাক বিতন্ডা সৃষ্টি হয়।স্থানীয়রা ওই বিষয়টি উভয়ের মধ্যে মিমাংসা করে দেয়। পরদিন (২এপ্রিল) সকালে আবু বক্কর আতাব আলীর বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজে যাওয়ার সময় মোস্তাক এর ছেলে রিপন ধারালো হাসুয়া দিয়ে অতর্কিত ভাবে আবু বক্কর কে কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে মারাত্বক জখম ও রক্তক্ষরন অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে যায় আবু বক্কর।তার গোঙ্গানিতে স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারী রিপন পালিয়ে যায়। তবে পুলিশ আতাব আলী ও মোস্তাক কে গ্রেফতার করলেও একদিন পরই তারা জামিনে আসে
কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় আহত আবু বক্করের ছেলে রেজাউল ইসলাম বাদি হয়ে রিপন, আতাব আলী, মোস্তাক ও রেহেনা বিবিসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে জামিনে এসে আতাব আলী ও মোস্তাক বাদির পরিবার কে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা। সাংবাদিক সম্মেলনে মামলার বাদি রেজাউল ইসলাম, তার মা লেহেমা, চাচি রজুফা,দাদি রেজিয়া, চাচা আক্কাছ আলী, প্রতিবেশী রেবেকাসহ অন্যরা জানায়, রিপন একজন মাদক সেবী ও সন্ত্রাসী।সে এলাকায় বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করে। তার দাদা একটি হত্যা করে জেল খেটে বেরিয়ে এসেছে। সেও প্রয়োজনে সেরকমই করবে এমন উক্তি তার মুখে অনেকেই শুনেছেন বলে জানিয়েছেন।মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলনে ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যসহ পলাশী গ্রামের বিপুল সংখ্যক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সোহাইল রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকেই মামলার প্রধান আসামি রিপন পলাতক রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা এবং বিভিন্ন উপায়ে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

বাগমারায় হত্যা চেষ্টা মামলার আসামীকে গ্রেফতার ও বিচার দাবীতে মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন

আপডেট সময় : ১০:৪৯:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাগমারা প্রতিনিধি :

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের পলাশী গ্রামে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলার মূল হোতা রিপন (২৪) কে গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা পৌনে বারোটার দিকে মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। মামলা করায় বাদির পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখানো ও প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদি রেজাউল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, মাত্র নব্বই টাকার দোকান বাঁকিকে কেন্দ্র করে গত ১এপ্রিল পলাশী গ্রামের চা দোকানের মালিক একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করে আসা মৃত সাদেক মন্ডলের ছেলে আতাব আলী, স্ত্রী রেহেনা বিবি ও তাদের ছেলে মোস্তাক এর সঙ্গে একই গ্রামের মৃত কালাচাঁন শাহ এর ছেলে রাজমিস্ত্রি আবু বক্কর এর কথাকাটি ও বাক বিতন্ডা সৃষ্টি হয়।স্থানীয়রা ওই বিষয়টি উভয়ের মধ্যে মিমাংসা করে দেয়। পরদিন (২এপ্রিল) সকালে আবু বক্কর আতাব আলীর বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজে যাওয়ার সময় মোস্তাক এর ছেলে রিপন ধারালো হাসুয়া দিয়ে অতর্কিত ভাবে আবু বক্কর কে কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে মারাত্বক জখম ও রক্তক্ষরন অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে যায় আবু বক্কর।তার গোঙ্গানিতে স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারী রিপন পালিয়ে যায়। তবে পুলিশ আতাব আলী ও মোস্তাক কে গ্রেফতার করলেও একদিন পরই তারা জামিনে আসে
কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় আহত আবু বক্করের ছেলে রেজাউল ইসলাম বাদি হয়ে রিপন, আতাব আলী, মোস্তাক ও রেহেনা বিবিসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে জামিনে এসে আতাব আলী ও মোস্তাক বাদির পরিবার কে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা। সাংবাদিক সম্মেলনে মামলার বাদি রেজাউল ইসলাম, তার মা লেহেমা, চাচি রজুফা,দাদি রেজিয়া, চাচা আক্কাছ আলী, প্রতিবেশী রেবেকাসহ অন্যরা জানায়, রিপন একজন মাদক সেবী ও সন্ত্রাসী।সে এলাকায় বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করে। তার দাদা একটি হত্যা করে জেল খেটে বেরিয়ে এসেছে। সেও প্রয়োজনে সেরকমই করবে এমন উক্তি তার মুখে অনেকেই শুনেছেন বলে জানিয়েছেন।মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলনে ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যসহ পলাশী গ্রামের বিপুল সংখ্যক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সোহাইল রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকেই মামলার প্রধান আসামি রিপন পলাতক রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা এবং বিভিন্ন উপায়ে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন