১১:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

অবহেলিত রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নিলেন চেয়ারম্যান আফছার আলী

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০১:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৮৩

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মিজানুর রহমান :

সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার দুর্গানগর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম হওয়াতে ভাটবেড়া রাস্তাঘাটে দিক দিয়ে উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত। জনাব আফছার আলী চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই গ্রামের জনগ দীর্ঘদিন যাবত যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত। সাবেক মেম্বার মরহুম করিমকে দিয়ে একবার রাস্তাটা মাটি ফালানো হয়েছি হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় করি মেম্বার মারা যাওয়ার পর রাস্তাটিকে আরো মজবুত করার জন্য বেকু দিয়ে মাটি ভরা করতে চাইলেও অনেক চেষ্টার পরও কিছু হিংসা পরায়ন ব্যক্তির কারণে রাস্তাটি আর সংস্কার করতে পারেনি। এখন পুনরায় আবার উদ্যোগ নিয়েছি ভাটবেড়া কবরস্থান হয়ে ভাটবেড়া উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দিয়ে গ্রামের ভিতর দিয়ে নিয়ে ভাটবেড়া-মাহমুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাটবেড়া থেকে চর ভাটবেড়া হার্ট পর্যন্ত রাস্তাটি তৈরি করা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমি গ্রামবাসী সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ ব্যাপারে সাধারণ জনগণের মতামত নিতে গিয়ে, ভাটবেড়া বঙ্গবন্ধু ক্লাবের সাবেক সভাপতি বর্তমান উপদেষ্টা কলি, উপদেষ্টা মজনু, ভাটবেড়া বঙ্গবন্ধু ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অন্যতম সদস্য, বর্তমান ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান (মিন্টু) বলেন, ভাটবেড়া গ্রামটি এক সময় প্রভাবশালী হিন্দু বসবাস কারণে এলাকাতে গ্রামটির সুনাম এবং কদর ছিল।জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রাম হবে শহর ঘোষণা করার পরও, আশপাশে গ্রামগুলো রাস্তা ঘাটের উন্নয়নের ছোঁয়া পেলেও এ থেকে ভাটবেড়া গ্রামটি অনেকটাই বঞ্চিত। এই গ্রামে প্রায় ৭০০ ভোটার রয়েছে। গ্রামের প্রধান কর্ম কৃষি। এসব কৃষকের উৎপাদিত পণ্য রাস্তার অভাবে সময় মত বাজারজাত করতে পারে না।রাস্তার অভাবে গর্ভকালীন সময় নারীদের সময় মত হাসপাতাল পৌঁছাতে সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। গ্রামটির উত্তর পাশে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে যেখানে রাস্তা এবং খেলার অভাবে ছেলেমেয়েরা স্কুলে উপস্থিত হতে অনীহা প্রকাশ করেন।
সরকারি প্রাইমারি স্কুলের নিজস্ব সম্পদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার কারণে স্কুলের সামনে মাঠ সংকীর্ণ। যাওয়ার ফলে ছেলেমেয়েরা ঠিকমতো খেলাধুলা করতে পারে না। এতে সাধারণ ছোট ছোট কিশোর কিশোরীরা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পরছে। অনেক কিশোর মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা অফিসার মহোদয় নিজ উদ্যোগে যদি এই স্কুলের সম্পদ ছরিয়ে ছিটিয়ে না রেখে স্কুলের সামনে জায়গার মালিককে যদি ওইসব সম্পদ বুঝিয়ে দিয়ে,স্কুলের সামনে মাঠ প্রশস্ত হলে তবে এখানে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা খেলাধুলায় মনোনিবেশ করলে ভবিষ্যতে মাদকাসক্ত থেকে অনেকটাই দূরে থাকবে বলে আশা করি। এই কাজগুলো সফলভাবে করতে হলে এলাকার যুব সমাজ সহ সকল শ্রেণীর মানুষ এবং জন প্রতিনিধি, প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

অবহেলিত রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নিলেন চেয়ারম্যান আফছার আলী

আপডেট সময় : ০১:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মিজানুর রহমান :

সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার দুর্গানগর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম হওয়াতে ভাটবেড়া রাস্তাঘাটে দিক দিয়ে উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত। জনাব আফছার আলী চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই গ্রামের জনগ দীর্ঘদিন যাবত যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত। সাবেক মেম্বার মরহুম করিমকে দিয়ে একবার রাস্তাটা মাটি ফালানো হয়েছি হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় করি মেম্বার মারা যাওয়ার পর রাস্তাটিকে আরো মজবুত করার জন্য বেকু দিয়ে মাটি ভরা করতে চাইলেও অনেক চেষ্টার পরও কিছু হিংসা পরায়ন ব্যক্তির কারণে রাস্তাটি আর সংস্কার করতে পারেনি। এখন পুনরায় আবার উদ্যোগ নিয়েছি ভাটবেড়া কবরস্থান হয়ে ভাটবেড়া উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দিয়ে গ্রামের ভিতর দিয়ে নিয়ে ভাটবেড়া-মাহমুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাটবেড়া থেকে চর ভাটবেড়া হার্ট পর্যন্ত রাস্তাটি তৈরি করা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমি গ্রামবাসী সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ ব্যাপারে সাধারণ জনগণের মতামত নিতে গিয়ে, ভাটবেড়া বঙ্গবন্ধু ক্লাবের সাবেক সভাপতি বর্তমান উপদেষ্টা কলি, উপদেষ্টা মজনু, ভাটবেড়া বঙ্গবন্ধু ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অন্যতম সদস্য, বর্তমান ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান (মিন্টু) বলেন, ভাটবেড়া গ্রামটি এক সময় প্রভাবশালী হিন্দু বসবাস কারণে এলাকাতে গ্রামটির সুনাম এবং কদর ছিল।জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রাম হবে শহর ঘোষণা করার পরও, আশপাশে গ্রামগুলো রাস্তা ঘাটের উন্নয়নের ছোঁয়া পেলেও এ থেকে ভাটবেড়া গ্রামটি অনেকটাই বঞ্চিত। এই গ্রামে প্রায় ৭০০ ভোটার রয়েছে। গ্রামের প্রধান কর্ম কৃষি। এসব কৃষকের উৎপাদিত পণ্য রাস্তার অভাবে সময় মত বাজারজাত করতে পারে না।রাস্তার অভাবে গর্ভকালীন সময় নারীদের সময় মত হাসপাতাল পৌঁছাতে সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। গ্রামটির উত্তর পাশে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে যেখানে রাস্তা এবং খেলার অভাবে ছেলেমেয়েরা স্কুলে উপস্থিত হতে অনীহা প্রকাশ করেন।
সরকারি প্রাইমারি স্কুলের নিজস্ব সম্পদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার কারণে স্কুলের সামনে মাঠ সংকীর্ণ। যাওয়ার ফলে ছেলেমেয়েরা ঠিকমতো খেলাধুলা করতে পারে না। এতে সাধারণ ছোট ছোট কিশোর কিশোরীরা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পরছে। অনেক কিশোর মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা অফিসার মহোদয় নিজ উদ্যোগে যদি এই স্কুলের সম্পদ ছরিয়ে ছিটিয়ে না রেখে স্কুলের সামনে জায়গার মালিককে যদি ওইসব সম্পদ বুঝিয়ে দিয়ে,স্কুলের সামনে মাঠ প্রশস্ত হলে তবে এখানে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা খেলাধুলায় মনোনিবেশ করলে ভবিষ্যতে মাদকাসক্ত থেকে অনেকটাই দূরে থাকবে বলে আশা করি। এই কাজগুলো সফলভাবে করতে হলে এলাকার যুব সমাজ সহ সকল শ্রেণীর মানুষ এবং জন প্রতিনিধি, প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন