০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ঝিকরগাছায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে ছুটির আবেদন ব্যতীত প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত

আফজাল হোসেন চাঁদ :
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • / ২৪৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আফজাল হোসেন চাঁদ :

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকারপরও ছুটির লিখিত আবেদন ব্যতীত অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। বিদ্যালয়ের সভাপতির সাথে আতাত করে তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
তথ্য অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, ঝিকরগাছা উপজেলার ৮নং নির্বাসখোলা ইউনিয়নের অন্তগত শিওরদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের তালিকায় আপডেট না থাকলেও সিনিয়র সহকারী শিক্ষক রবিউল ইসলামের বরাতে জানা যায়, সাবেক প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ২০১৩ সালে যোগদান করে ২০২০সালে অবসরে যান। ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক আঃ মমিন। এরপর শার্শা উপজেলার উলশী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২৩ সালের ০১ অক্টোবর হতে অদ্যবধি দায়িত্ব পালন করছেন প্রধান শিক্ষক কার্তিক কুমার। তার মাতা ০১ মার্চ পরলোকগমন করেছেন।
রবিবার (১৭ মার্চ) তার মায়ের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান থাকার দোহায় দিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। যদি তার মায়ের শেষকৃত্য হয়ে থাকে তাহলে তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারবে না মর্মে সভাপতির নিকট লিখিত আবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি একজন বিচক্ষুণ প্রধান শিক্ষক হয়ে ছুটির আবেদন না দিয়ে কি ভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের আয়োজনের দিন ছুটি পালন করছে এটা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে তিব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক কার্তিক কুমারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আজ আমার মায়ের শেষকৃত্য। যার জন্য আমি ছুটিতে আছি। ছুটির জন্য কোন আবেদন দিয়েছেন কিনা এই সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি সভাপতিকে জানিয়েছি। কিন্তু সত্যি কথা কলতে লিখিত আবেদন দেওয়া হয়নি।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আঃ ছাত্তার বলেন, গতকাল আমার কাছে ফোন করে মৌখিক ভাবে বলে ছিলো। আমার কাছে ছুটির জন্য কোন আবেদন দেয়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান মোঃ জাহাঙ্গীর হুসাইন মিঞা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এছাড়াও সরকারি বা জাতীয় প্রোগ্রামে সাধারণত কোন ছুটি হয় না। তারপরও তিনি যেহেতু অনুপস্থিত ছিলেন, সেহেতু আমি তার সাথে কথা বলে দেখি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ঝিকরগাছায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে ছুটির আবেদন ব্যতীত প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত

আপডেট সময় : ০৭:৩৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আফজাল হোসেন চাঁদ :

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকারপরও ছুটির লিখিত আবেদন ব্যতীত অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। বিদ্যালয়ের সভাপতির সাথে আতাত করে তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
তথ্য অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, ঝিকরগাছা উপজেলার ৮নং নির্বাসখোলা ইউনিয়নের অন্তগত শিওরদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের তালিকায় আপডেট না থাকলেও সিনিয়র সহকারী শিক্ষক রবিউল ইসলামের বরাতে জানা যায়, সাবেক প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ২০১৩ সালে যোগদান করে ২০২০সালে অবসরে যান। ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক আঃ মমিন। এরপর শার্শা উপজেলার উলশী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২৩ সালের ০১ অক্টোবর হতে অদ্যবধি দায়িত্ব পালন করছেন প্রধান শিক্ষক কার্তিক কুমার। তার মাতা ০১ মার্চ পরলোকগমন করেছেন।
রবিবার (১৭ মার্চ) তার মায়ের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান থাকার দোহায় দিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। যদি তার মায়ের শেষকৃত্য হয়ে থাকে তাহলে তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারবে না মর্মে সভাপতির নিকট লিখিত আবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি একজন বিচক্ষুণ প্রধান শিক্ষক হয়ে ছুটির আবেদন না দিয়ে কি ভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের আয়োজনের দিন ছুটি পালন করছে এটা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে তিব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক কার্তিক কুমারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আজ আমার মায়ের শেষকৃত্য। যার জন্য আমি ছুটিতে আছি। ছুটির জন্য কোন আবেদন দিয়েছেন কিনা এই সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি সভাপতিকে জানিয়েছি। কিন্তু সত্যি কথা কলতে লিখিত আবেদন দেওয়া হয়নি।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আঃ ছাত্তার বলেন, গতকাল আমার কাছে ফোন করে মৌখিক ভাবে বলে ছিলো। আমার কাছে ছুটির জন্য কোন আবেদন দেয়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান মোঃ জাহাঙ্গীর হুসাইন মিঞা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এছাড়াও সরকারি বা জাতীয় প্রোগ্রামে সাধারণত কোন ছুটি হয় না। তারপরও তিনি যেহেতু অনুপস্থিত ছিলেন, সেহেতু আমি তার সাথে কথা বলে দেখি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন