দর্শনায় কেরুজ চিনিকলে কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে কর্তন বেতন উত্তোলন
- আপডেট সময় : ০৭:৩১:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪
- / ৮২
মাহমুদ হাসান রনি :
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরুজ চিনিকলে কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে জৈব সার কারখানায় মৌসুমী কম্পিউটার অপারেটর ও কেরুজ শ্রমিককর্মচারী ইউনিয়নের সদস্য কামরুল হাসান লোমান টাকা ফেরত দিয়েছে।
কারখানা ব্যবস্থাপক সুমন সাহা জানান, লোমান কেরু চিনিকলের মৌশুমি কর্মচারী। মাড়াই মৌমুম চলাকালীন ইক্ষু বিভাগে চাকরি করেন। বছরের বাকি মাসগুলো লোমানের মত অনেক কর্মচারীকে বিভিন্ন দপ্তরে দৈনিক হাজিরার বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক পোষ্টিং দেযা হয়। তেমনি লোমান কেরু জৈব সার কারখানায় কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে কাজ করে আসছিল।
গত ফেব্রুয়ারী মাসের ২৩ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত শিক্ষা সফরের নামে পরিচিত জনদের সাথে লোমান কক্সবাজার অবস্থান করে। এদিকে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারনে লোমানের হাজিরা শীটে ২৩/০২/২৪ থেকে ২৮/০২/২৪ পর্যন্ত মোট ৬ দিনের হাজিরা কর্তন করা হয়। এদিকে মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন সাহা এবং ব্যবস্থাপক(উৎপাদন) মো. জাহিদুল হক টুটুল স্বাক্ষরিত মাসিক হাজিরা শীট বেতন শাখায় পাঠিয়ে দেয়। একই বিভাগে কম্পিউটার বিভাগে কাজ করায় লোমান হাজিরা শীটটি গোপনে সংগ্রহ করে তা নষ্ট করে ফেলে এবং আরেকটি হাজিরা শীটে পূর্ন মাসের হাজিরা সহ কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে বেতন শাখায় জমা দেয়।পরে অন্যান্য সহকর্মীরা বেতন তুলতে যেয়ে দেখে নোমান পূর্ন মাসের হাজিরা পেলেও সহকর্মীদের হাজিরা ৬ দিনের ৩হাজার ৩শ৫৪ টাকা কম। তখনই বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ে।অন্যান্য শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেনের কানে পৌছালে তিনি কারখানা ব্যবস্থাপক সুমন সাহা ও কেমিষ্ট জাহিদুল হক টুটুলকে নিজ কক্ষে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে তারা হাজিরা শীটের স্বাক্ষর জাল বলে সনাক্ত করেন।তবে একটি সূত্র জানায়, ওই বিভাগে কেই ছুটি চাইলে সুমন সাহা তাদের মৌখিক ছুটি দিলেও পরে কমিশন বানিজ্যে তা উত্তোলন করে কমিশন খেতেন। তবে তিনি তা অস্বীকার করেছেন।
এদিকে লোমান জানায়, তিনি তার কর্মকর্তাদের জানিয়ে কক্সবাজারে গেছেন। এখন তারা অস্বীকার করছে। তবে স্বাক্ষর জালের বিষযটি নিয়ে লোমান তার অপরাধ স্বীকার করে মোবাইলে (০১৯১৪৬৩৩৫৮৯) বলেন, অফিসের একজনের প্ররোচনায় পড়ে স্বাক্ষর জাল করেছি। তবে তার নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।এদিকে হাজিরা সিট জাল করে জমা দেবার কথা জানাজানি হয়ে গেলে হাজিরা ৬ দিনের টাকা কেটে রেখে বাকি দিনের হাজিরার টাকা সে উত্তোলন করেছেন বলে জানান।
এব্যাপারে কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, অপরাধী প্রমানিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।এর আগে এমন ঘটনা কেউ ঘটালেও ছাড় পাবেনা।