সোহেল রানা, রাজশাহী :
রাজশাহীর উপজেলার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে পুকুর খনন। এতে একদিকে কমছে আবাদি জমি অন্যদিকে নিধন হচ্ছে বৃক্ষ। আর ইট পোড়ানোর কাজে ভাটায় যাচ্ছে খড়ি। পাশাপাশি, মাটি ও খড়ি পবিহনের ফলে বিনষ্ট হচ্ছে সরকারি রাস্তা, ভয়াবহ দূষণের শিকার হচ্ছে পরিবেশ, বাড়ছে রোগ-বালাই। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মনে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ বিরাজ করলেও রহস্যজনক কারণে নির্বিকার সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বেশি লাভের আশায় পুকুর খননের ফলে কোথাও কোথাও জমির আম গাছসহ অন্যান্য বৃক্ষও কাটা পড়ছে। ভূমি আইন উপেক্ষা করে অবাধে পুকুর খনন করায় কমে যাচ্ছে তিন ফসলী জমির পরিমাণ। পাশাপাশি মাটির চাহিদা মেটাতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে পুকুরের মাটি। বিক্রি করা এ মাটি পরিবহনের ভারি ডামট্রাক ও ট্রাক্টরের চলাচলে নষ্ট হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ের গ্রামীণ পাকা রাস্তা -সড়ক। রাস্তার আশে পাশের ধুলো উরিয়ে এলাকার পরিবেশে বায়ু দূষণ করছেন। এতে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজশাহী বাগমারার তাহেরপুর্স্থ এলাকা জুড়ে বেশ কয়েকটি স্থানে পুকুর খনন কাজ চলছে। অপরদিকে আরো ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়,
সোহল নামে একজন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সর্বনিম্ন ১০০-১২০ বিঘা পুকুর করছেন, প্রতি বছরে এই সোহল বেশ কয়েকটি পুকুর খনন করেছেন তা তদন্তমূলক ভাবে পাওয়া গেছে, পুকুর খননের মাটিগুলো যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায় এবং মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের কারণে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা।
সোহের সাথে পুকুর খনন বিষয়ে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমি পুকুর খনন করলে আপনাদের কি।
এ বিষয়ে কথা বলতে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তিনি বলেন আমাকে পুকুর খননের ঠিকানা গুলো লিখে পাঠান। তাহলেই আমি ব্যবস্থা নিবো।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন প্রশাসন ম্যানেজ করেই এসব পুকুর খনন কাজ সমানে চালাচ্ছে।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না