১১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সমুদ্র সম্পদ নিরাপদ রাখতে চায়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৫৮

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রতিদিনের নিউজ:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সামুদ্রিক সম্পদ ও সামুদ্রিক বাণিজ্য রক্ষায় সমুদ্রে নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন। আমাদের সরকার সামুদ্রিক সম্পদের অপার সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে সামুদ্রিক খাতের উন্নয়নে ব্যাপক ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু সমৃদ্ধ অর্থনীতি কেবল তখনই সম্ভব, যখন আমরা সমুদ্রে একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবো।সে লক্ষ্যে তার সরকার সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় পরিকল্পিত সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গুণগত উন্নয়নমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের নৌবাহিনীর আধুনিকায়ন করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। বুধবার,৭ ডিসেম্বর সকালে ‘ফ্রেন্ডশিপ বিয়ন্ড দ্য হরাইজন’ শীর্ষক বাংলাদেশ নৌবাহিনী আয়োজিত কক্সবাজারের ইনানী সৈকতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউ-২০২২-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, সৌদি আরব, ভারত, চীন, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডস ও স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশের নৌবাহিনী ও মেরিটাইম সংস্থার অংশগ্রহণে চারদিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউ (আইএফআর) শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এ আইএফআরের আয়োজন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবাধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ সমুদ্র অপরিহার্য। কারণ, বর্তমানে বিশ্বের ৯০ শতাংশ বাণিজ্য সমুদ্রপথে হয়। আন্তর্জাতিক ভৌগোলিক সীমানার মাধ্যমে আমাদের সব দেশ বিভক্ত হলেও বন্ধুত্বের সেতুবন্ধনে সমুদ্র উপকূলীয় দেশগুলোর সঙ্গে আমরা একই সূত্রে গাঁথা। ‘ফ্রেন্ডশিপ বিয়ন্ড দ্য হরাইজন’ এ উপজীব্যকে ধারণ করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আয়োজিত ‘আইএফআর-২০২২’ ইভেন্টটি আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে সক্ষম হবে। যা সব সামুদ্রিক দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধিৎ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা যে সমুদ্রসীমা আইন করে যান তার ভিত্তিতেই প্রতিবেশী দুই দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়। আর এই আইনটি জাতিসংঘ অনেক পরে ১৯৮২ সালে প্রণয়ন করেছিল। জাতির পিতা ভারতের সঙ্গেও স্থলসীমানা চুক্তি করে। সে অনুযায়ী আমাদের সংবিধান সংশোধন করে যান এবং পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ সরকার উদ্যোগ নিলে ভারতের সংসদে দলমত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দল সর্বসম্মতভাবে আইনটি পাস করে।প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বিদেশি জাহাজের ক্রুদের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ,সিল কমান্ডোদের মহাকাশ থেকে ফ্রি-ফল জাম্প, নানা কসরৎ এবং বহরের অপারেশনাল প্রদর্শনী উপভোগ করেন। ‘বঙ্গবন্ধু ও নৌবাহিনীর ৫০ বছরে যাত্রা’ শিরোনামের একটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন। এছাড়াও সমুদ্র সৈকতে নৌবাহিনীর একটি জেটি উদ্বোধন করেন।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল। অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অগ্রযাত্রার ওপর আলোকপাত করে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা প্রদর্শিত হয়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সমুদ্র সম্পদ নিরাপদ রাখতে চায়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ০৬:৩৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রতিদিনের নিউজ:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সামুদ্রিক সম্পদ ও সামুদ্রিক বাণিজ্য রক্ষায় সমুদ্রে নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন। আমাদের সরকার সামুদ্রিক সম্পদের অপার সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে সামুদ্রিক খাতের উন্নয়নে ব্যাপক ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু সমৃদ্ধ অর্থনীতি কেবল তখনই সম্ভব, যখন আমরা সমুদ্রে একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবো।সে লক্ষ্যে তার সরকার সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় পরিকল্পিত সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গুণগত উন্নয়নমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের নৌবাহিনীর আধুনিকায়ন করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। বুধবার,৭ ডিসেম্বর সকালে ‘ফ্রেন্ডশিপ বিয়ন্ড দ্য হরাইজন’ শীর্ষক বাংলাদেশ নৌবাহিনী আয়োজিত কক্সবাজারের ইনানী সৈকতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউ-২০২২-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, সৌদি আরব, ভারত, চীন, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডস ও স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশের নৌবাহিনী ও মেরিটাইম সংস্থার অংশগ্রহণে চারদিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউ (আইএফআর) শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এ আইএফআরের আয়োজন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবাধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ সমুদ্র অপরিহার্য। কারণ, বর্তমানে বিশ্বের ৯০ শতাংশ বাণিজ্য সমুদ্রপথে হয়। আন্তর্জাতিক ভৌগোলিক সীমানার মাধ্যমে আমাদের সব দেশ বিভক্ত হলেও বন্ধুত্বের সেতুবন্ধনে সমুদ্র উপকূলীয় দেশগুলোর সঙ্গে আমরা একই সূত্রে গাঁথা। ‘ফ্রেন্ডশিপ বিয়ন্ড দ্য হরাইজন’ এ উপজীব্যকে ধারণ করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আয়োজিত ‘আইএফআর-২০২২’ ইভেন্টটি আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে সক্ষম হবে। যা সব সামুদ্রিক দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধিৎ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা যে সমুদ্রসীমা আইন করে যান তার ভিত্তিতেই প্রতিবেশী দুই দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়। আর এই আইনটি জাতিসংঘ অনেক পরে ১৯৮২ সালে প্রণয়ন করেছিল। জাতির পিতা ভারতের সঙ্গেও স্থলসীমানা চুক্তি করে। সে অনুযায়ী আমাদের সংবিধান সংশোধন করে যান এবং পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ সরকার উদ্যোগ নিলে ভারতের সংসদে দলমত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দল সর্বসম্মতভাবে আইনটি পাস করে।প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বিদেশি জাহাজের ক্রুদের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ,সিল কমান্ডোদের মহাকাশ থেকে ফ্রি-ফল জাম্প, নানা কসরৎ এবং বহরের অপারেশনাল প্রদর্শনী উপভোগ করেন। ‘বঙ্গবন্ধু ও নৌবাহিনীর ৫০ বছরে যাত্রা’ শিরোনামের একটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন। এছাড়াও সমুদ্র সৈকতে নৌবাহিনীর একটি জেটি উদ্বোধন করেন।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল। অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অগ্রযাত্রার ওপর আলোকপাত করে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা প্রদর্শিত হয়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন