০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ভেঙে ফেলা হচ্ছে রামগঞ্জের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র যাবেদ সিনেমা হল

মোহাম্মদ আলী, রামগঞ্জ :
  • আপডেট সময় : ০১:০৩:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ২০৮

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোহাম্মদ আলী, রামগঞ্জ :

ভেঙে ফেলা হচ্ছে রামগঞ্জ উপজেলার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র যাবেদ সিনেমা হলটি। জেলার ১০টি সিনেমা হলের মধ্যে রায়পুর উপজেলার বাশরী সিনেমা ও তাজমহল সিনেমা, বুলবুল টকিজ, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হ্যাপি ও ঝুমুর সিনেমা হল রামগতি বাজারের বর্ণালী, আলেকজান্ডারের বানী, উপকূল সিনেমা, করুনানগরের রিতা, হাজিরহাঁটের মেঘনা সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে বহু আগেই। বেশিরভাগ সিনেমা হল ভেঙ্গে করা হয়েছে আধুনিক মার্কেট ও ফ্লাট-বাড়ী।
শক্তিমান অভিনেতা সোহেল রানা, জসিম, নায়িকা সুচরিতা, নূতন, ভিলেন আহম্মেদ শরীফ ও আজিম অভিনীত জনি ছবির মধ্যে দিয়ে রামগঞ্জ যাবেদ সিনেমা হলটির যাত্রা শুরু হয় ৯০’র দশকে।।
২০১২ ইং সনে হটাৎ করেই যাবেদ সিনেমা হলটি বন্ধ করে দেন প্রেক্ষাগৃহের মালিক উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত পরিবারের একমাত্র সন্তান সৈয়দ যাবেদ চৌধুরী।
সকল মালামাল খুলে অন্যত্রে বিক্রি করে দেয়া হয়। উপজেলার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র যাবেদ সিনেমা হল বন্ধ হওয়ায় হতাশ হন হাজার হাজার সিনেমাপ্রেমি দর্শক।
সম্প্রতি হলটি ভেঙে ফেলার কাজে হাত দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরই সূত্র ধরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে ভাঙ্গার কাজ শুরু করেন নিলামপ্রাপ্ত ব্যক্তি হাবিবুর রহমান।
স্থানীয়রা জানান, সিনেমা হলের পরিবেশ, রুচিসম্মত ছবির অভাব, আকাশ সংস্কৃতি, ঘরে ঘরে টেলিভিশন ও মোবাইল ফোনের দাপটে সিনেমা ব্যবসায় ধস নেমেছে অনেক আগেই। অথচ এক সময় এ সিনেমা হলটিই ছিল রামগঞ্জ উপজেলার মানুষের আনন্দ-বিনোদনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র।
স্কুল কলেজ ফাঁকি দিয়ে ৯০ দশক পরবর্তী প্রজন্মের অধিকাংশ যুব সমাজের কাছে একমাত্র প্রেক্ষাগৃহ ছিলো যাবেদ সিনেমা হল। হলটি ভাঙার ফলে অনেকেই স্মৃতিরোমন্থন করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
সেইসঙ্গে সিনেমা হলটিতে কর্মসংস্থান ছিল এ এলাকার বহু মানুষের। ম্যানেজার থেকে শুরু করে টিকিট কাউন্টার মাস্টার, রিল মাস্টার, প্রচারম্যান, গেইটম্যান ইত্যাদি বিভিন্ন পদে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করতো অনেকেই।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ভেঙে ফেলা হচ্ছে রামগঞ্জের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র যাবেদ সিনেমা হল

আপডেট সময় : ০১:০৩:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোহাম্মদ আলী, রামগঞ্জ :

ভেঙে ফেলা হচ্ছে রামগঞ্জ উপজেলার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র যাবেদ সিনেমা হলটি। জেলার ১০টি সিনেমা হলের মধ্যে রায়পুর উপজেলার বাশরী সিনেমা ও তাজমহল সিনেমা, বুলবুল টকিজ, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হ্যাপি ও ঝুমুর সিনেমা হল রামগতি বাজারের বর্ণালী, আলেকজান্ডারের বানী, উপকূল সিনেমা, করুনানগরের রিতা, হাজিরহাঁটের মেঘনা সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে বহু আগেই। বেশিরভাগ সিনেমা হল ভেঙ্গে করা হয়েছে আধুনিক মার্কেট ও ফ্লাট-বাড়ী।
শক্তিমান অভিনেতা সোহেল রানা, জসিম, নায়িকা সুচরিতা, নূতন, ভিলেন আহম্মেদ শরীফ ও আজিম অভিনীত জনি ছবির মধ্যে দিয়ে রামগঞ্জ যাবেদ সিনেমা হলটির যাত্রা শুরু হয় ৯০’র দশকে।।
২০১২ ইং সনে হটাৎ করেই যাবেদ সিনেমা হলটি বন্ধ করে দেন প্রেক্ষাগৃহের মালিক উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত পরিবারের একমাত্র সন্তান সৈয়দ যাবেদ চৌধুরী।
সকল মালামাল খুলে অন্যত্রে বিক্রি করে দেয়া হয়। উপজেলার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র যাবেদ সিনেমা হল বন্ধ হওয়ায় হতাশ হন হাজার হাজার সিনেমাপ্রেমি দর্শক।
সম্প্রতি হলটি ভেঙে ফেলার কাজে হাত দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরই সূত্র ধরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে ভাঙ্গার কাজ শুরু করেন নিলামপ্রাপ্ত ব্যক্তি হাবিবুর রহমান।
স্থানীয়রা জানান, সিনেমা হলের পরিবেশ, রুচিসম্মত ছবির অভাব, আকাশ সংস্কৃতি, ঘরে ঘরে টেলিভিশন ও মোবাইল ফোনের দাপটে সিনেমা ব্যবসায় ধস নেমেছে অনেক আগেই। অথচ এক সময় এ সিনেমা হলটিই ছিল রামগঞ্জ উপজেলার মানুষের আনন্দ-বিনোদনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র।
স্কুল কলেজ ফাঁকি দিয়ে ৯০ দশক পরবর্তী প্রজন্মের অধিকাংশ যুব সমাজের কাছে একমাত্র প্রেক্ষাগৃহ ছিলো যাবেদ সিনেমা হল। হলটি ভাঙার ফলে অনেকেই স্মৃতিরোমন্থন করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
সেইসঙ্গে সিনেমা হলটিতে কর্মসংস্থান ছিল এ এলাকার বহু মানুষের। ম্যানেজার থেকে শুরু করে টিকিট কাউন্টার মাস্টার, রিল মাস্টার, প্রচারম্যান, গেইটম্যান ইত্যাদি বিভিন্ন পদে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করতো অনেকেই।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন