এসিল্যান্ড হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বদলে দিলেন ত্রিশাল ভূমি অফিসের সেবার চিত্র
- আপডেট সময় : ০৩:১৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ২০৫
প্রতিদিনের নিউজ :
ভূমি একজন মানুষের শ্রেষ্ঠ অবলম্বন। মানুষ তার সারাজীবনের সঞ্চয় দিয়ে একখন্ড ভূমি কিনে সেই ভূমির প্রশাসনিক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব যদি যোগ্য হাতে না পড়ে তবেই বাড়ে জনভোগান্তি। ভূমি অফিসগুলোর দীর্ঘ দিনের জীর্ণতা আর দৈন্যতাকে পিছনে ঝেরে ফেলে নতুন উদ্যোমে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও অফিস সিষ্টেম সংস্কারের ব্রত নিয়েই ত্রিশালে এসেছিলেন বর্তমান সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ । যিনি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন ইতিবাচক মনোভাব সম্পন্ন কর্মকর্তা।
আমাদের দেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জনগণের অভাব-অভিযোগই কেবল শোনা যায় নিত্য। তবে তাদের মাঝে ব্যতিক্রমও পাওয়া যায়। যারা নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে জনগণের আস্থা ও প্রিয় মানুষ হয়ে ওঠেন। হয়রানি থেকে মুক্তি দেন মানুষকে। নিজের সরকারি দপ্তরকে করে তোলেছেন জনবান্ধব।
যেখানে ভূমি অফিস মানেই ভোগান্তি, টাকার ছড়াছড়ি। সাধারণ মানুষের হয়রানি আর অসহায়তার জায়গা। সেখানে একটি স্বচ্ছ, ঘুষবিহীন ও জবাবদিহিতামূলক সেবাকার্যক্রম পাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ । তার নেতৃত্বে ত্রিশাল উপজেলা ভূমি অফিসের সব নৈরাজ্য দূর হয়ে সেখানে তৈরি হয়েছে আস্থার পরিবেশ।
বর্তমান এসিল্যান্ড যোগদানের পর থেকে তার ইতিবাচক মনোভাবের কারণে উপজেলা ভূমি অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব দেখা গেছে। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রয়েছে অভিযোগ বক্স ও নিয়মিত তদারকি ব্যাবস্থা এবং সরাসরি অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত সমস্যা সমাধানকরন কার্যক্রম। তাছাড়া এসিল্যান্ড অফিসে অফিসের সৌন্দর্য বর্ধায়ন সিটিজেন চার্টার ও জনসচেতনামূলক বিভিন্ন লিপলেটসহ নানা কার্যক্রম দেখা গেছে।
জানা যায়, এই এসিল্যান্ড হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নেতৃত্বে উপজেলার বেদখলকৃত সরকারি জমি উদ্ধার হয়েছে। মিসকেসে (নামজারি জমাভাগ খারিজ সংক্রান্ত) মামলা শুনানির মাধ্যমে খুব কম সময়ে নিষ্পত্তি করেন। সরকারি খাস জমি, খাস পুকুর রক্ষায়,বাল্যবিবাহ বন্ধ করনে সবসময় তৎপর রয়েছেন।তিনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় অর্ধ শত বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন। ভূমি অফিসকে দালালমুক্ত করে গতিশীল করেছেন।
এছাড়া এই কর্মকর্তা জমিসংক্রান্ত সব ধরনের সেবাগ্রহিতার অধিকার নিশ্চিত করে সবার কাছে ভূমি অফিসকে সহজ, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও গ্রহণযোগ্য করে গড়ে তুলেছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ বালু উত্তোলনসহ ভেজালবিরোধী অভিযান গতিশীল করেছেন। জনগণের সেবা প্রাপ্তির বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেন। অফিসের নথি ব্যবস্থাপনা, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধিসহ জনগণের সেবা প্রাপ্তির বিষয়টিকে বেশি সমৃদ্ধ করেছেন।
অফিস টাইম সকাল ৯টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আগত ভূমি মালিকদের সমস্যা আন্তরিকতার সাথে শুনে তাৎক্ষনিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করেন। পাশাপাশি সপ্তাহে একদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ও গণশুনানী নিয়ে তাৎক্ষনিক প্রতিকারের চেষ্টা করেন। এমন অসংখ্য ভালো কাজ করে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন এ ভূমি কর্মকর্তা।
মাঝে মধ্যে ব্যাক্তিগত পরিচয় লুকিয়ে ছুটে যান তিনি গ্রামের প্রত্যান্ত অঞ্চলে। কখনো ক্রিকেট খেলছেন, কখনো গ্রামের নদীতে নৌকা নিয়ে ঘুরছেন।কখনো মুমুর্ষ রোগীকে রক্ত দিতে ছুটে গেছেন হাসপাতালে।এ যেনো মানুষকে বুঝার, জানার দারুন চেষ্টা।
এরই মধ্যে উপজেলার এই সহকারী কমিশনার (ভূমি) এখানে সবার কাছে প্রিয় কর্মকর্তা হয়ে ওঠেছেন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রিয় হয়ে উঠেছেন।
হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ৩৬ তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন সদস্য। ইতিপূর্বে তিনি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন সুনামের সাথে। ত্রিশালে সহকারী কমিশনার ভূমি হিসাবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করার অবদান হিসাবে ইতিমধ্যে তিনি সরকারের সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।