প্রতারক মুন্নি ডিবি পরিচয় ১৮ লাখ টাকা ছিনতাই আদালতে মামলা
- আপডেট সময় : ০৯:১১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১৩০
বরিশাল প্রতিনিধি :
ট্রাফে ফেলে জোরপূর্বক বিয়ে বসা এবং পরবর্তীতে আদালতে মামলা করে দেনমোহরের টাকা আদায় সহ বহু অপকর্মের হোতা মুন্নি আক্তার ব্যাপক অনুসন্ধানে জানা গেছে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি গ্রামের মৃত মাহবুবুর রহমান হাওলাদারের কন্যা মুন্নি আক্তার বর্তমানে বরিশাল নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডের অ্যাডভোকেট নাসিরের দ্বিতীয় তলায় ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করে মুন্নি সহযোগী বরিশাল পুলিশে কর্মরত কনস্টেবল মোহাম্মদ রফিক যার কনস্টেবল নং-২৬২ বিপি নং ৭৬৯১১ ১০৩৩, রফিকের বাড়ি ঝালোকাঠি জেলার নলসিটি থানার কামদেবপুর গ্রামে।
মুন্নির প্রতারণার শিকার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল বরিশাল নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডের রুইয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ সোফের উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র।
কান্না জড়িত কন্ঠে সাবেক পুলিশ কনস্টেবল নুরুল ইসলাম জানান মুন্নির এলাকার জনৈক্য পিন্টুর কাছে পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে মুন্নির সাথে তার পরিচয় হয় পরিচয় একপর্যায়ে মুন্নি এবং রফিক জোরপূর্বক নিয়ামতি বাজারে মুন্নির সাথে নুর ইসলামের বিয়ে দেয়। সেই সুবাদে মুন্নি নুর ইসলামের বাসা চেনে বিবাহের পরে নুরুল ইসলাম জানতে পারে মুন্নির বহুবিবাহ রয়েছে। এছাড়া আরো জানতে পারে মুন্নি রফিক মামুন এবং লুৎফন্নেসা একদলীয় পরস্পর আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠ সহচর। এই চক্রটি মুন্নি কে তাল বাহানা করে অনৈতিক কর্মে লিপ্ত করে এবং পুরুষদের আটক করে ছলে বলে কৌশলে টাকা পয়সা আদায় করে।
এই চক্রটি পুরুষের বাড়ি চেনার পর মানুষের অনুপস্থিতে টাকা পয়সা লুণ্ঠন করা তাদের নেশা এবং পেশা। মুন্নি নিজেকে কখনো র্যাবের স্ত্রী আবার কখনো ডিবি দারোগার স্ত্রী পরিচয় দিয়ে চলে। দুই বছর আগে নুরুল ইসলাম পুলিশ কনস্টেবল হতে অবসর গ্রহণ করে। টাইলসের কারখানা দেবার জন্য নুরুল ইসলাম ১২-১১-২০২৩ সালে পাঁচ শতাংশ জমি বিক্রি করে ১৭ লক্ষ টাকা এবং বড় ভাইয়ের কাছ থেকে ধার নেয়া এক লক্ষ টাকা মোট ১৮ লক্ষ টাকা গত ১৫-১১২৩ বাসায় এনে রেখে দেয়। নুরুল ইসলাম বাসা তালাবদ্ধ করে বাকেরগঞ্জ এ যায় একটি পুরাতন মেশিন খুজতে। বাকেরগঞ্জ পৌঁছার পরে ঐদিন সকাল ১১ টায় ভাড়াটিয়া রহমান এবং তার স্ত্রী মোবাইলে জানাই মুন্নি রফিক এবং তাদের সাথে আরো ৪-৫ জন লোক নিজেদের ডিবি দারোগা পরিচয় দিয়ে নুরুল ইসলামের বাসার তালা ভেঙ্গে নগত ১৮ লক্ষ টাকা নিয়ে কালো ও লাল রঙের একটি পালসার গাড়ি ও অন্য একটি হুন্ডা করে চলে যায়।
এই চক্রটি ১৭/১১ /২০২৩ তারিখ মুন্নি মামুন ও রফিক নুর ইসলামের বাসার সামনে সিএনজি যুগে এসে রাত একটায়হুমকি দেয় সে যেন তা না করে করলে খুন করে ফেলা হবে বলে জানায় নুর ইসলাম পরদিন বিষয়টি বরিশাল পুলিশ সুপারকে মৌখিকভাবে জানায় এরপর নুর ইসলাম ট্রিপল নাইনে ফোন দিলে তারা সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের পরামর্শ দেয় নুর ইসলাম ট্রিপল নাইনের কথামতো আরপুর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে নসি মামলা গ্রহণ না করে তে মামলা করার নির্দেশ দেন পরবর্তীতে নুরুল ইসলাম কোতায়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বর্ণপর্ণ হলে অভিযোগ গ্রহণ করেন অসহায় নুরুল ইসলাম মুন্নী এবং রফিক আতঙ্কে ভুগছে এদিকে রফিকের বুদ্ধিমত মুন্নি নুর ইসলামের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকার একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন যার মামলা নাম্বার- ৭৭ /২৩।