০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

কয়রায় জরাজীর্ণ সেতুতে,ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল: আতঙ্কে এলাকাবাসী

মোক্তার হোসেন:
  • আপডেট সময় : ০৯:০২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১৬৯

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার কয়রা উপজেলার কয়রা সদর ইউনিয়নের ২নং কয়রার ওড়াতলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার সামনে ১৯৯৬ সালে খালের ওপর নির্মিত সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। হাজারো মানুষের প্রতিনিয়ত চলাচল এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর উপর দিয়ে। মূহুর্তের মধ্যে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুর দুই পাশে নেই কোনো রেলিং। বেশির ভাগ পিলারের পলেস্তরা ওঠে গেছে এবং সেতুটির মাঝখানে ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেরিয়ে গেছে রড। ভেঙে যাওয়া সেতুটির বড় একটি অংশে কাঠের পাটাতন ও বাঁশ বিছিয়ে দিয়ে পার হচ্ছে ৪ গ্রামের হাজারো মানুষ ও যানবাহন। যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে প্রাণ হানির মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। স্হানীয়রা জানান,
সেতুটির উপর দিয়ে বৃদ্ধ ও শিশুদের মারাত্বক ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। ইতোপূর্বে সেতু দিয়ে পারাপারের সময় অনেকে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে। শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায় সময় ছোট বড় দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বর্তমান সেতুটির অবস্থা খুবই করুণ।যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন পথচারী ও শিক্ষার্থীরা। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থীর চলাচলের একমাত্র সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা। স্কুলে ছেলে-মেয়েদের পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় তাদের। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূর্বের স্থলে একটি সেতু নির্মাণের।
কয়রা সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জনমনে আতঙ্ক আর ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সেতুটি যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি সেতুটি দ্রুত পূনঃ নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দাবি জানান।
কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম বলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের ৪ ও ২নং ওয়ার্ডের সংযোগস্থলে নির্মিত সেতুটির ওপর দিয়ে পাশ্ববর্তী ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের জনসাধারণের কয়রা সদরে আসতে হয়। ওই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচলের সময় আতঙ্কে থাকতে হয়। কখন যেন এটি ভেঙে পড়ে। এমন আশঙ্কা নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ দারুল হুদা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি পুনঃনির্মাণ করা হবে।
কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, সেতুটি অনেক আগেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সেতুটি পুনঃনির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

কয়রায় জরাজীর্ণ সেতুতে,ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল: আতঙ্কে এলাকাবাসী

আপডেট সময় : ০৯:০২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার কয়রা উপজেলার কয়রা সদর ইউনিয়নের ২নং কয়রার ওড়াতলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার সামনে ১৯৯৬ সালে খালের ওপর নির্মিত সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। হাজারো মানুষের প্রতিনিয়ত চলাচল এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর উপর দিয়ে। মূহুর্তের মধ্যে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুর দুই পাশে নেই কোনো রেলিং। বেশির ভাগ পিলারের পলেস্তরা ওঠে গেছে এবং সেতুটির মাঝখানে ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেরিয়ে গেছে রড। ভেঙে যাওয়া সেতুটির বড় একটি অংশে কাঠের পাটাতন ও বাঁশ বিছিয়ে দিয়ে পার হচ্ছে ৪ গ্রামের হাজারো মানুষ ও যানবাহন। যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে প্রাণ হানির মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। স্হানীয়রা জানান,
সেতুটির উপর দিয়ে বৃদ্ধ ও শিশুদের মারাত্বক ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। ইতোপূর্বে সেতু দিয়ে পারাপারের সময় অনেকে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে। শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায় সময় ছোট বড় দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বর্তমান সেতুটির অবস্থা খুবই করুণ।যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন পথচারী ও শিক্ষার্থীরা। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থীর চলাচলের একমাত্র সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা। স্কুলে ছেলে-মেয়েদের পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় তাদের। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূর্বের স্থলে একটি সেতু নির্মাণের।
কয়রা সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জনমনে আতঙ্ক আর ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সেতুটি যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি সেতুটি দ্রুত পূনঃ নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দাবি জানান।
কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম বলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের ৪ ও ২নং ওয়ার্ডের সংযোগস্থলে নির্মিত সেতুটির ওপর দিয়ে পাশ্ববর্তী ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের জনসাধারণের কয়রা সদরে আসতে হয়। ওই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচলের সময় আতঙ্কে থাকতে হয়। কখন যেন এটি ভেঙে পড়ে। এমন আশঙ্কা নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ দারুল হুদা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি পুনঃনির্মাণ করা হবে।
কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, সেতুটি অনেক আগেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সেতুটি পুনঃনির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন