সোনারগাঁও উপজেলার বাজার গুলোতে শীতের সবজি মুলা,কপি, শিমসহ নানা ধরনের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। আরি স্থানীয় কৃষকরা এই সবজির চাহিদা পূরণ করছেন। এই বছর সবজি বিক্রি করে ভাল দাম পেয়ে খুশি কৃষক।
সোনারগাঁও উপজেলা ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। প্রায় সব কয়টি ইউনিয়নেই বছর জুড়ে নানা ধরনের সবজির আবাদ করা হয়ে থাকে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে।
চলতি বছর শীতকালীন সবজির চাষ করা হয়েছে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে। আশার কথা হলো স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ২৫-৩০ বছর ধরে লন্ডন, দুবাই, কানাডা, সৌদি আরব, ইতালিসহ যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত সবজি রফতানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি সম্পসারন অধিদফতর কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম গুলিতে দেখা গেছে, কৃষকরা বেগুন, ঢেড়শ, লালশাক, পুঁইশাক খেতে আগাছা পরিস্কারে নিড়ানি দিচ্ছেন। কেউবা বেগুন ও ঢেড়শ গাছে লাকড়ি পুতে দিচ্ছেন। কেউবা সবজি খেতে কীটনাশক স্প্রে করছেন। মাঠে লাল-সবুজ বেগুন, মুলা, কপি, ঢেড়শসহ বিভিন্ন সবজির খেত। বেড়ে উঠছে সবজি গুলো। বেগুন, ঢেড়শ গাছে ফুল এসেছে। কেউবা ফুলকপি, মুলা, ঢেড়শ, বেগুন,পালংশাক, লালশাক বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন । ভাল দাম পেয়ে কৃষকরাও খুশি।
বৈদ্যের বাজার মন্নার বাঘ গ্রামের কৃষক বাবলু মিয়া জানালেন, তিনি তার ৪০ শতক উচুভিটায় পটল আবাদ করেছেন। প্রতি মন পটল তিনি ১২০০ থেকে১৪০০ টাকা মন দরে বিক্রি করছেন। খোরশেদ মিয়া ২৫ শতক জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। ফুলকপি প্রতি পিস তিনি ৪০/৫০ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি করেছেন। হাটে-বাজারে ফুলকপি, পটল বিক্রি করে ভাল দাম পেয়ে খুশি তিনি।
সোনারগাঁও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা জানান, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় কৃষকরা মাঠে আমন ধানের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষ শুরু করেছেন। সবজি চাষে বাজার মূল্য ভাল পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। এ জন্য কৃষি বিভাগ কৃষকদের উৎসাহ এবং সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না