১১:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সুন্দরবন কে ঘিরে নির্মাণ হচ্ছে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৭১

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোক্তার হোসেন, খুলনা:

সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন। তাই পৃথিবীর অনেক পর্যটকের প্রধান আকর্ষণের জায়গা এই সুন্দরবন। সুন্দরবনকে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে এবং এখানকার সুযোগ সুবিধা বাড়াতে তারই সন্নিকটে নির্মাণ হচ্ছে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র।খুলনার কয়রা উপজেলায় সুন্দরবনের কোলঘেঁষা গোলখালী শিংয়ের চর এলাকায় আধুনিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ চলছে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা সুন্দরবনে আসেন। কয়রার গোলখালীতে পর্যটন কেন্দ্র চালু হলে সুন্দরবনের সৌন্দর্য্য উপভোগ ও ওই এলাকার এলাকার ইতিহাস-ঐতিহ্য জানতে পারবে পর্যটকরা। গোলখালীর শিংয়ের চরে তিন নদীর মোহনা এবং তিন দিকে গভীর সুন্দরবন থাকায় পর্যটকদের আকর্ষণ করবে।গোলখালী এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।কয়রা উপজেলা সদর থেকে ১৬ কিলোমিটার দক্ষিণে শাকবাড়িয়া নদী ও কপোতাক্ষ নদের কোলে অবস্থিত দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন। নদী দু’টি তিন দিক দিয়ে ঘিরে রেখেছে ইউনিয়নটিকে। নদীর একপাশে লোকালয় অন্য পাশে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি সুন্দরবন। ৩০ হাজার জনসংখ্যার ইউনিয়নটিতে আছে একটি পুলিশ ক্যাম্প, একটি কাস্টমস চেকপোস্ট, একটি কোষ্টগার্ড ভবন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের লোকালয়ের পারে গোলখালী গ্রামের সামনে বেড়িবাঁধের বাইরে মূল বন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পলি জমে গড়ে উঠেছে আর একটি বন, যা শিংয়ের চর বন নামে পরিচিত।গোলখালীর সুন্দরবনে সুন্দরী, গরান, কেওড়া, গেউয়া, পশুর, গোলসহ অসংখ্য প্রজাতির বৃক্ষের দেখা মেলে। পৃথিবী বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ নানা প্রজাতির পশু পাখি ও বিষধর সাপের বসবাস এখানে।নদীতে কুমির ও শুশকসহ নানা প্রজাতির মাছ দেখা যায়।কয়রা উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি মো.খায়রুল আলম বলেন,গোলখালীতে সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ হলে খুলনাঞ্চলের পর্যটন শিল্পের দোয়ার খুঁলে যাবে।গোলখালীতে পর্যটন কেন্দ্র চালু হওয়ার অপার সম্ভাবনা আছে।আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল কয়রা এলাকায় সুন্দরবন কে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র চালু করার, অবশেষে আমাদের দাবি পূরণ হলো।স্থানীয় শিক্ষক হরপ্রসাদ মন্ডল হিমেল বলেন,পর্যটন কেন্দ্র চালু হলে এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়ন হবে,এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। গোলখালীতে পর্যটন কেন্দ্র করায় এলাকাবাসী আনন্দিত।স্থানীয় সংসদ মো.আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, আমাদের এ দেশে হয়ত কোনো সোনা, রূপা কিংবা হীরার খনি নেই।কিন্তু রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শন তার, মধ্যে সুন্দরবন অন্যতম। এই সুন্দরবনকে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। পৃথিবীর অনেক দেশ স্বমহিমায় উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে। কয়রা গোলখালীতে সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ হলে আমাদের দেশের পর্যটন শিল্পকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হিসাবে কাজ করবে কয়রা পর্যটন কেন্দ্র।যা দেশের প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে এবং অনেক


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সুন্দরবন কে ঘিরে নির্মাণ হচ্ছে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র

আপডেট সময় : ০৬:২৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোক্তার হোসেন, খুলনা:

সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন। তাই পৃথিবীর অনেক পর্যটকের প্রধান আকর্ষণের জায়গা এই সুন্দরবন। সুন্দরবনকে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে এবং এখানকার সুযোগ সুবিধা বাড়াতে তারই সন্নিকটে নির্মাণ হচ্ছে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র।খুলনার কয়রা উপজেলায় সুন্দরবনের কোলঘেঁষা গোলখালী শিংয়ের চর এলাকায় আধুনিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ চলছে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা সুন্দরবনে আসেন। কয়রার গোলখালীতে পর্যটন কেন্দ্র চালু হলে সুন্দরবনের সৌন্দর্য্য উপভোগ ও ওই এলাকার এলাকার ইতিহাস-ঐতিহ্য জানতে পারবে পর্যটকরা। গোলখালীর শিংয়ের চরে তিন নদীর মোহনা এবং তিন দিকে গভীর সুন্দরবন থাকায় পর্যটকদের আকর্ষণ করবে।গোলখালী এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।কয়রা উপজেলা সদর থেকে ১৬ কিলোমিটার দক্ষিণে শাকবাড়িয়া নদী ও কপোতাক্ষ নদের কোলে অবস্থিত দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন। নদী দু’টি তিন দিক দিয়ে ঘিরে রেখেছে ইউনিয়নটিকে। নদীর একপাশে লোকালয় অন্য পাশে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি সুন্দরবন। ৩০ হাজার জনসংখ্যার ইউনিয়নটিতে আছে একটি পুলিশ ক্যাম্প, একটি কাস্টমস চেকপোস্ট, একটি কোষ্টগার্ড ভবন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের লোকালয়ের পারে গোলখালী গ্রামের সামনে বেড়িবাঁধের বাইরে মূল বন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পলি জমে গড়ে উঠেছে আর একটি বন, যা শিংয়ের চর বন নামে পরিচিত।গোলখালীর সুন্দরবনে সুন্দরী, গরান, কেওড়া, গেউয়া, পশুর, গোলসহ অসংখ্য প্রজাতির বৃক্ষের দেখা মেলে। পৃথিবী বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ নানা প্রজাতির পশু পাখি ও বিষধর সাপের বসবাস এখানে।নদীতে কুমির ও শুশকসহ নানা প্রজাতির মাছ দেখা যায়।কয়রা উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি মো.খায়রুল আলম বলেন,গোলখালীতে সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ হলে খুলনাঞ্চলের পর্যটন শিল্পের দোয়ার খুঁলে যাবে।গোলখালীতে পর্যটন কেন্দ্র চালু হওয়ার অপার সম্ভাবনা আছে।আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল কয়রা এলাকায় সুন্দরবন কে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র চালু করার, অবশেষে আমাদের দাবি পূরণ হলো।স্থানীয় শিক্ষক হরপ্রসাদ মন্ডল হিমেল বলেন,পর্যটন কেন্দ্র চালু হলে এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়ন হবে,এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। গোলখালীতে পর্যটন কেন্দ্র করায় এলাকাবাসী আনন্দিত।স্থানীয় সংসদ মো.আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, আমাদের এ দেশে হয়ত কোনো সোনা, রূপা কিংবা হীরার খনি নেই।কিন্তু রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শন তার, মধ্যে সুন্দরবন অন্যতম। এই সুন্দরবনকে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। পৃথিবীর অনেক দেশ স্বমহিমায় উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে। কয়রা গোলখালীতে সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ হলে আমাদের দেশের পর্যটন শিল্পকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হিসাবে কাজ করবে কয়রা পর্যটন কেন্দ্র।যা দেশের প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে এবং অনেক


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন