১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৪:১৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৮৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নাজিম উদ্দিন রানা:

শৈত্যপ্রবাহ না হলেও লক্ষ্মীপুরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত এখন জেলার মানষুদের কাপিয়ে তুলছে। দিনভর সূর্যের দেখা কিছুটা মিললেও সন্ধ্যা নামলেই পুরো এলাকা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে শীতের দাপটে অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষের । হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ম ও মধ্যবিত্ত আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। একই সঙ্গে দিন দিন বেড়েই চলেছে ঠান্ডাজনিত রোগ। প্রতিনিয়ত বয়স্ক থেকে শুরু করে নারী-শিশুসহ সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা বলছেন ঠান্ডা এড়িয়ে চলে নিজেদের আরো সচেতন হতে হবে।
রোববার বিকালে সরেজমিন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ৩য় তলার শিশু ওয়ার্ডে প্রতিটি বেডে ২জন করে রোগী। ৮টি বেডের বিপরীতে মেঝেতেসহ মোট ৫৩ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন ওই ওয়ার্ডে। এসব শিশুর পরিবারসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের কেউ জ্বর, ঠান্ডা, আবার কেউ সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছেন বলে জানান রোগীর স্বজনরা। ভর্তিকৃত রোগীদের কিছুটা উন্নতি হলেও প্রতিদিনই হাসপাতালে আসছে নতুন নতুন রোগী। এতে করে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ১৫-২০ জন রোগী ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন। ইনডোর ও আউটডোরো প্রতিদিন শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়। গত কয়েকদিন থেকে এমন পরিস্থিতি চলছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সব হাসপাতালের চিত্র এখন একই রকম। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পাল্লাদিয়ে হাসপাতাল গুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে বয়স্কদের তুলনায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বর্তমানে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও শীতকালীন রোগে আক্রান্ত হওয়ার বড় ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশেষ করে শিশুদের গরম কাপড় পরানো, ঘন ঘন মায়ের দুধ সেবন করাসহ তাদের প্রতি বাড়তি নজর রাখা এবং সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

লক্ষ্মীপুরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা

আপডেট সময় : ০৪:১৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নাজিম উদ্দিন রানা:

শৈত্যপ্রবাহ না হলেও লক্ষ্মীপুরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত এখন জেলার মানষুদের কাপিয়ে তুলছে। দিনভর সূর্যের দেখা কিছুটা মিললেও সন্ধ্যা নামলেই পুরো এলাকা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে শীতের দাপটে অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষের । হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ম ও মধ্যবিত্ত আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। একই সঙ্গে দিন দিন বেড়েই চলেছে ঠান্ডাজনিত রোগ। প্রতিনিয়ত বয়স্ক থেকে শুরু করে নারী-শিশুসহ সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা বলছেন ঠান্ডা এড়িয়ে চলে নিজেদের আরো সচেতন হতে হবে।
রোববার বিকালে সরেজমিন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ৩য় তলার শিশু ওয়ার্ডে প্রতিটি বেডে ২জন করে রোগী। ৮টি বেডের বিপরীতে মেঝেতেসহ মোট ৫৩ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন ওই ওয়ার্ডে। এসব শিশুর পরিবারসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের কেউ জ্বর, ঠান্ডা, আবার কেউ সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছেন বলে জানান রোগীর স্বজনরা। ভর্তিকৃত রোগীদের কিছুটা উন্নতি হলেও প্রতিদিনই হাসপাতালে আসছে নতুন নতুন রোগী। এতে করে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ১৫-২০ জন রোগী ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন। ইনডোর ও আউটডোরো প্রতিদিন শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়। গত কয়েকদিন থেকে এমন পরিস্থিতি চলছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সব হাসপাতালের চিত্র এখন একই রকম। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পাল্লাদিয়ে হাসপাতাল গুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে বয়স্কদের তুলনায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বর্তমানে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও শীতকালীন রোগে আক্রান্ত হওয়ার বড় ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশেষ করে শিশুদের গরম কাপড় পরানো, ঘন ঘন মায়ের দুধ সেবন করাসহ তাদের প্রতি বাড়তি নজর রাখা এবং সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন