১২:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা মুক্তিযুদ্ধা দবির উদ্দিনের

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:৫২:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৫৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নাটোর সংবাদদাতা

নাটোরের গুরুদাসপুর কালাকন্দর নিবাসী মো. দবির উদ্দিন, পিতা ফজের উদ্দিন। ১৯৭১ সালে দেশের টানে স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবনপন রেখে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মো. দবিড়উদ্দিন। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও সরকারি নথিভূক্ত হতে পারেননি এই যোদ্ধা।

সরেজমিনে কথা বলে জানা যায়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সেক্টর ৪ এর কমান্ডার আবুল কালামের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযোদ্ধা দবির উদ্দিন। নাটোর ক্যাম্পে আনছার ট্রেনিং শেষে দীর্ঘ সময় যুদ্ধ শেষ করে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে বাড়ী ফেরেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধা মো. দবির উদ্দিন বলেন, বাবা-মায়ের এক সন্তান হবার পরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেখ মুজিবরের আহ্বানে সারা দিয়ে দেশের জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। যুদ্ধ শেষে স্বাধীনতা নিয়ে বাড়ী ফিরি এবং যুদ্ধকালিন সময় ব্যবহৃত অস্ত্র জমা দেবার দুই মাস পর আমার সকল কাগজাদি হাতে আসে। কিন্তু স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পাড় হলেও সরকারি নথিভূক্ত হওয়াতো দুরের কথা, কেউ আমার খোঁজ-খবরও রাখে নাই।

আমি এখন বৃদ্ধ, আমার ছয় ছেলে-মেয় নিয়ে অতি কষ্টে জীবন অতিবাহিত করছি। জীবনের শেষ প্রান্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আকুল আবেদন, আমাকে যেন মুক্তিযুদ্ধের সরকারি নথিভূক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা মুক্তিযুদ্ধা দবির উদ্দিনের

আপডেট সময় : ০৮:৫২:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নাটোর সংবাদদাতা

নাটোরের গুরুদাসপুর কালাকন্দর নিবাসী মো. দবির উদ্দিন, পিতা ফজের উদ্দিন। ১৯৭১ সালে দেশের টানে স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবনপন রেখে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মো. দবিড়উদ্দিন। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও সরকারি নথিভূক্ত হতে পারেননি এই যোদ্ধা।

সরেজমিনে কথা বলে জানা যায়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সেক্টর ৪ এর কমান্ডার আবুল কালামের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযোদ্ধা দবির উদ্দিন। নাটোর ক্যাম্পে আনছার ট্রেনিং শেষে দীর্ঘ সময় যুদ্ধ শেষ করে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে বাড়ী ফেরেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধা মো. দবির উদ্দিন বলেন, বাবা-মায়ের এক সন্তান হবার পরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেখ মুজিবরের আহ্বানে সারা দিয়ে দেশের জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। যুদ্ধ শেষে স্বাধীনতা নিয়ে বাড়ী ফিরি এবং যুদ্ধকালিন সময় ব্যবহৃত অস্ত্র জমা দেবার দুই মাস পর আমার সকল কাগজাদি হাতে আসে। কিন্তু স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পাড় হলেও সরকারি নথিভূক্ত হওয়াতো দুরের কথা, কেউ আমার খোঁজ-খবরও রাখে নাই।

আমি এখন বৃদ্ধ, আমার ছয় ছেলে-মেয় নিয়ে অতি কষ্টে জীবন অতিবাহিত করছি। জীবনের শেষ প্রান্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আকুল আবেদন, আমাকে যেন মুক্তিযুদ্ধের সরকারি নথিভূক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন