০৩:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামীর বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির দুই স্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:১৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৭১

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রিপন কান্তি গুণ:

নেত্রকোনা পৌর শহরের কুড়পাড় এলাকায় ‘বিয়ে বাড়ি’ কমিউনিটি সেন্টারে পুরোদমে চলছিল বিয়ের সকল আয়োজন। বিয়ে অনুষ্ঠানের আনন্দ উল্লাসের মাঝে হঠাৎ করেই হাজির হয় দুই নারী। দু’জনেরই দাবি, তারা বর সাজ্জাদ হোসেনের আগের পক্ষের স্ত্রী। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশও এসে হাজির হয় বিয়ের অনুষ্ঠানে। ফলে পণ্ড হয়ে যায় বিয়ের অনুষ্ঠান। নেত্রকোনা শহরের কুড়পাড় ‘বিয়ে বাড়ি’ কমিউনিটি সেন্টারে এমনই ঘটনা ঘটে।
বর সেজে বিয়ে করতে আসা সাজ্জাদ হোসেন সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
তিনি নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার মাখনা গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে। স্ত্রী দাবি করা দুই নারী হলেন, একই উপজেলার পিয়া জাহান ও নওরিন হাসান নিসা।
বর সাজ্জাদ হোসেনের দাবি, স্ত্রীর দাবি নিয়ে আসা পিয়া জাহানের সঙ্গে তার বিয়ে হলেও তিনি তাকে তালাক দিয়েছেন। আদালতে এ নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। অপরজন নওরিন হাসান নিসার সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
সাজ্জাদের প্রথম স্ত্রী পিয়া জাহানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার সাথে তিন বছর আগে বিয়ে হয় সাজ্জাদের। বিয়ের পর থেকে আমরা একসাথেই ময়মনসিংহে ছিলাম। পরে সে ধর্মপাশা বদলি হয়ে চলে গেলে তখন থেকে তার সাথে আমার দূরত্ব বাড়ে। বছরখানেক আগে সে আরেকজনকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। সেখানেও আমি উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেই। পরে শুনি সে তার আত্মীয় নিসাকে বিয়ে করে। এরপর আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করি। মামলাটি এখনো চলমান।’
দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা নিসার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে ২০২২ সালের ১ জুলাই আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমার সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তবে কয়েকমাস আগে সাজ্জাদ আমার সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার সাথে বিয়ে হওয়ার আগেরও সাজ্জাদের এক স্ত্রী রয়েছে। তার সঙ্গেও ডিভোর্সের মামলা চলমান। আজ শুনি তার আরেক বিয়ের আয়োজন চলছে। বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিকভাবে আমি পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে বিয়ে বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ দিই। পরে পুলিশ গিয়ে বিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। আমি সাজ্জাদের বিচার চাই।’
অপরদিকে সাজ্জাদ হোসেন পিয়া জাহানকে বিয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘পিয়াকে আমি তালাক দিয়েছি। তার সঙ্গে আমার মামলা চলছে। বিষয়টি আমি আইনিভাবে মোকাবিলা করবো।’
তবে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা নিসাকে আত্মীয় দাবি করে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন সাজ্জাদ হোসেন।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

স্বামীর বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির দুই স্ত্রী

আপডেট সময় : ০৬:১৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রিপন কান্তি গুণ:

নেত্রকোনা পৌর শহরের কুড়পাড় এলাকায় ‘বিয়ে বাড়ি’ কমিউনিটি সেন্টারে পুরোদমে চলছিল বিয়ের সকল আয়োজন। বিয়ে অনুষ্ঠানের আনন্দ উল্লাসের মাঝে হঠাৎ করেই হাজির হয় দুই নারী। দু’জনেরই দাবি, তারা বর সাজ্জাদ হোসেনের আগের পক্ষের স্ত্রী। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশও এসে হাজির হয় বিয়ের অনুষ্ঠানে। ফলে পণ্ড হয়ে যায় বিয়ের অনুষ্ঠান। নেত্রকোনা শহরের কুড়পাড় ‘বিয়ে বাড়ি’ কমিউনিটি সেন্টারে এমনই ঘটনা ঘটে।
বর সেজে বিয়ে করতে আসা সাজ্জাদ হোসেন সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
তিনি নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার মাখনা গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে। স্ত্রী দাবি করা দুই নারী হলেন, একই উপজেলার পিয়া জাহান ও নওরিন হাসান নিসা।
বর সাজ্জাদ হোসেনের দাবি, স্ত্রীর দাবি নিয়ে আসা পিয়া জাহানের সঙ্গে তার বিয়ে হলেও তিনি তাকে তালাক দিয়েছেন। আদালতে এ নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। অপরজন নওরিন হাসান নিসার সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
সাজ্জাদের প্রথম স্ত্রী পিয়া জাহানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার সাথে তিন বছর আগে বিয়ে হয় সাজ্জাদের। বিয়ের পর থেকে আমরা একসাথেই ময়মনসিংহে ছিলাম। পরে সে ধর্মপাশা বদলি হয়ে চলে গেলে তখন থেকে তার সাথে আমার দূরত্ব বাড়ে। বছরখানেক আগে সে আরেকজনকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। সেখানেও আমি উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেই। পরে শুনি সে তার আত্মীয় নিসাকে বিয়ে করে। এরপর আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করি। মামলাটি এখনো চলমান।’
দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা নিসার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে ২০২২ সালের ১ জুলাই আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমার সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তবে কয়েকমাস আগে সাজ্জাদ আমার সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার সাথে বিয়ে হওয়ার আগেরও সাজ্জাদের এক স্ত্রী রয়েছে। তার সঙ্গেও ডিভোর্সের মামলা চলমান। আজ শুনি তার আরেক বিয়ের আয়োজন চলছে। বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিকভাবে আমি পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে বিয়ে বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ দিই। পরে পুলিশ গিয়ে বিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। আমি সাজ্জাদের বিচার চাই।’
অপরদিকে সাজ্জাদ হোসেন পিয়া জাহানকে বিয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘পিয়াকে আমি তালাক দিয়েছি। তার সঙ্গে আমার মামলা চলছে। বিষয়টি আমি আইনিভাবে মোকাবিলা করবো।’
তবে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা নিসাকে আত্মীয় দাবি করে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন সাজ্জাদ হোসেন।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন