০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

পটুয়াখালী-২ আ’লীগের মনোনীত প্রার্থীর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৪৬ গুণ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:১৭:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১১৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বরিশাল ব্যুরো:

পটুয়াখালী-২ আসনের সংসদ-সদস্য আ স ম ফিরোজের প্রার্থিতা একবার ব্যাংক ঋণের দায়ে বাতিলের অবস্থা সৃষ্টি হলেও এখন তার বার্ষিক আয় দেড় কোটি টাকার ওপরে। জাদুর কাঠির জোরে শুধু তার বার্ষিক আয় বাড়েনি, বরং স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ও বেড়েছে। গৃহিণী স্ত্রীর আয় ও সম্পদ দুই-ই বেড়েছে। ১৫ বছরে সাবেক চিফ হুইপ ফিরোজের সম্পদ ৯ গুণ এবং তার স্ত্রীর সম্পদ ৪৬ গুণ বেড়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
টানা তিনবারের সংসদ-সদস্য আ স ম ফিরোজের বার্ষিক আয় ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আয়ের উৎস বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকানসহ অন্যসব ভাড়া। নগদ ১ লাখ ২০ হাজার ৪৯৪ টাকা। আগে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৯ লাখ, ৫২ হাজার ৯৫২ টাকা। এ সম্পদের দেড় গুণ টাকা তার ব্যাংক ঋণ ছিল। তখন তার স্ত্রীর কোনো আয় না থাকলেও ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণ এবং ৬০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক্স মালামালসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ৩ লাখ ৯২ হাজার টাকার। তাদের যৌথ মালিকানায় ছিল ৪৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকার সম্পদ।
বর্তমানে ফিরোজের বার্ষিক আয় কমলেও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৩ সালের হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ১৯ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৫ টাকা। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ১৬২ টাকা। এ সময় তার ব্যাংক ঋণ ছিল ২ কোটি ২২ লাখ ৬৪ হাজার ৩২৩ টাকা।
পাঁচ বছরে ৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা থেকে তার স্ত্রীর নগদ টাকা দাঁড়ায় ২০ লাখ ৫০ হাজার আর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
২০১৮ সালে ফিরোজের বার্ষিক আয় একলাফে বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ২৯ লাখ ৯৪ হাজার ৪১৫ টাকা। তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ কোটি ৬৪ লাখ ১৫ হাজার ১১৮ টাকা। এ সময় তার ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি ৫৯ লাখ ৬৬ হাজার ১৪৩ টাকা। তার স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। এ সময় তার ৮৩ লাখ ৮২ হাজার ৯৬৯ টাকার সম্পদ ছিল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় ফিরোজের বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৫ হাজার ২৮৪ টাকা। তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ লাখ ৭০০ হাজার ৫৬৩ টাকার। আগের ২৪ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করে তিনি ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৪১ টাকা নিয়েছেন। ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করে ফিরোজ নিজের নামে দুই কোটি টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৪০ লাখ টাকার এফডিআর করেছেন। স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত নয় এমন একটি কোম্পানির ১৪ লাখ ১১ হাজার টাকার ও ফাতেমা হেলথ টেকনোলজি অ্যান্ড ইনস্টিটিউটের ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে আ স ম ফিরোজের।
তার স্ত্রী ফাতেমা হেলথ টেকনোলজি অ্যান্ড ইনস্টিটিউটে ৪৯ লাখ টাকা ও পায়রা পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তার ফ্ল্যাট বাড়ি ও ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাড়ি রয়েছে।
২০০৮ সালে ফিরোজের বার্ষিক আয় ছিল ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এখন তার বার্ষিক আয় ১ কোটি ৬১ লাখ ৫ হাজার ২৮৪ টাকা। ১৫ বছরে তিনি প্রায় ঋণ মুক্ত হয়েছেন আর সম্পদের পরিমাণ অনেক গুণ বাড়িয়েছেন। গাড়ি-বাড়ি, জায়গাজমি কিনেছেন। স্থায়ী আমানত বাড়িয়েছেন। ১৫ বছরে আ স ম ফিরোজের সম্পদ বেড়েছে নয় গুণের মতো।
২০০৮ সালে ফিরোজপত্নীর কাছে কোনো নগদ টাকা না থাকলেও বর্তমানে তার নগদ অর্থ ২৬ লাখ ৬৬ হাজার ৫৪৯ টাকা। আগে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ৩ লাখ ৯২ হাজার টাকার। এখন তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৬ হাজার ৫৪৯ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে- স্বর্ণ, ফ্ল্যাট, গাড়ি, কোম্পানির শেয়ার, স্থায়ী আমানত। আলাদিনের চেরাগের ছোঁয়ায় ১৫ বছরে ফিরোজের স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৪৬ গুণ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

পটুয়াখালী-২ আ’লীগের মনোনীত প্রার্থীর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৪৬ গুণ

আপডেট সময় : ০৮:১৭:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বরিশাল ব্যুরো:

পটুয়াখালী-২ আসনের সংসদ-সদস্য আ স ম ফিরোজের প্রার্থিতা একবার ব্যাংক ঋণের দায়ে বাতিলের অবস্থা সৃষ্টি হলেও এখন তার বার্ষিক আয় দেড় কোটি টাকার ওপরে। জাদুর কাঠির জোরে শুধু তার বার্ষিক আয় বাড়েনি, বরং স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ও বেড়েছে। গৃহিণী স্ত্রীর আয় ও সম্পদ দুই-ই বেড়েছে। ১৫ বছরে সাবেক চিফ হুইপ ফিরোজের সম্পদ ৯ গুণ এবং তার স্ত্রীর সম্পদ ৪৬ গুণ বেড়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
টানা তিনবারের সংসদ-সদস্য আ স ম ফিরোজের বার্ষিক আয় ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আয়ের উৎস বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকানসহ অন্যসব ভাড়া। নগদ ১ লাখ ২০ হাজার ৪৯৪ টাকা। আগে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৯ লাখ, ৫২ হাজার ৯৫২ টাকা। এ সম্পদের দেড় গুণ টাকা তার ব্যাংক ঋণ ছিল। তখন তার স্ত্রীর কোনো আয় না থাকলেও ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণ এবং ৬০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক্স মালামালসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ৩ লাখ ৯২ হাজার টাকার। তাদের যৌথ মালিকানায় ছিল ৪৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকার সম্পদ।
বর্তমানে ফিরোজের বার্ষিক আয় কমলেও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৩ সালের হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ১৯ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৫ টাকা। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ১৬২ টাকা। এ সময় তার ব্যাংক ঋণ ছিল ২ কোটি ২২ লাখ ৬৪ হাজার ৩২৩ টাকা।
পাঁচ বছরে ৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা থেকে তার স্ত্রীর নগদ টাকা দাঁড়ায় ২০ লাখ ৫০ হাজার আর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
২০১৮ সালে ফিরোজের বার্ষিক আয় একলাফে বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ২৯ লাখ ৯৪ হাজার ৪১৫ টাকা। তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ কোটি ৬৪ লাখ ১৫ হাজার ১১৮ টাকা। এ সময় তার ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি ৫৯ লাখ ৬৬ হাজার ১৪৩ টাকা। তার স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। এ সময় তার ৮৩ লাখ ৮২ হাজার ৯৬৯ টাকার সম্পদ ছিল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় ফিরোজের বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৫ হাজার ২৮৪ টাকা। তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ লাখ ৭০০ হাজার ৫৬৩ টাকার। আগের ২৪ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করে তিনি ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৪১ টাকা নিয়েছেন। ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করে ফিরোজ নিজের নামে দুই কোটি টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৪০ লাখ টাকার এফডিআর করেছেন। স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত নয় এমন একটি কোম্পানির ১৪ লাখ ১১ হাজার টাকার ও ফাতেমা হেলথ টেকনোলজি অ্যান্ড ইনস্টিটিউটের ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে আ স ম ফিরোজের।
তার স্ত্রী ফাতেমা হেলথ টেকনোলজি অ্যান্ড ইনস্টিটিউটে ৪৯ লাখ টাকা ও পায়রা পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তার ফ্ল্যাট বাড়ি ও ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাড়ি রয়েছে।
২০০৮ সালে ফিরোজের বার্ষিক আয় ছিল ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এখন তার বার্ষিক আয় ১ কোটি ৬১ লাখ ৫ হাজার ২৮৪ টাকা। ১৫ বছরে তিনি প্রায় ঋণ মুক্ত হয়েছেন আর সম্পদের পরিমাণ অনেক গুণ বাড়িয়েছেন। গাড়ি-বাড়ি, জায়গাজমি কিনেছেন। স্থায়ী আমানত বাড়িয়েছেন। ১৫ বছরে আ স ম ফিরোজের সম্পদ বেড়েছে নয় গুণের মতো।
২০০৮ সালে ফিরোজপত্নীর কাছে কোনো নগদ টাকা না থাকলেও বর্তমানে তার নগদ অর্থ ২৬ লাখ ৬৬ হাজার ৫৪৯ টাকা। আগে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ৩ লাখ ৯২ হাজার টাকার। এখন তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৬ হাজার ৫৪৯ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে- স্বর্ণ, ফ্ল্যাট, গাড়ি, কোম্পানির শেয়ার, স্থায়ী আমানত। আলাদিনের চেরাগের ছোঁয়ায় ১৫ বছরে ফিরোজের স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৪৬ গুণ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন