০৮:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫

মতলব উত্তরে নদীতে অবৈধ মাছের ঘের

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৮১

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মমিনুল ইসলাম:

মতলব উত্তর উপজেলায় নদীতে অবৈধভাবে ঘের দিয়ে মাছ নিধন চলছে। মেঘনা-ধনাগোদা ও গোমতি নদীতে বাঁশ পুঁতে ও গাছের ডালপালা ফেলে মাছ শিকারের ঘের তৈরি করেছে প্রভাবশালী মহল।
সরেজমিন উপজেলা সদর, মেঘনা নদী, ধনাগোদা ও গোমতি নদীসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, নদীতে নির্দিষ্ট একটি স্থান দখল করে চারপাশে বাঁশ পুঁতে রাখা। ভেতরে কচুরিপানা ও গাছের ডালপালা ফেলে ঘের দেওয়া হয়েছে। ঘেরের ভেতরে প্রচুর পরিমাণে মাছের খাবার ফেলা হয়। খাবারের খোঁজে মাছ ভেতরে চলে আসলে চারদিকে জাল দিয়ে ঘের আটকানো হয়। তারপর আটকা পরা মাছসহ পোনা শিকার করা হয়। উপজেলার নদীর তীরবর্তী ১৪টি ইউনিয়নে তিনটি নদীতে প্রায় ৩০টি ঘের রয়েছে। নদীতে ঘের দেওয়ার কারণে নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। অন্যদিকে স্থানীয় প্রকৃত জেলেরা নদী থেকে উন্মুক্তভাবে মাছ শিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘের তৈরিতে ছোট ছিদ্রযুক্ত জাল ব্যবহার করায় মা ও পোনা মাছসহ সব ধরনের মাছ আটকা পড়ছে। এতে জীববৈচিত্র্য ও মৎস্যসম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। অবৈধভাবে মাছ শিকার রোধে উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের সচেতনতামূলক কোনো কার্যক্রম নেই।
নদীতীরবর্তী স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কিছু প্রভাবশালী মহল নদীতে ঘের দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। সময়ের ব্যবধানে নদীর নাব্য হারিয়ে ক্রমশ মরা খালে পরিণত হচ্ছে। নদী দখল, পলি জমে ভরাট হওয়া, অবৈধভাবে ঘের দিয়ে মাছ শিকার করা এর অন্যতম কারণ।
উপজেলার গালিমখাঁ এলাকার একজন মৎস্যজীবী বলেন, নদীতে এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। নদীতে ঠিকমতো নামতেও পারেন না তারা। যেখানে সেখানে ঝোপ বা ঘের তৈরি করার ফলে নৌকা চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও ঘেরের আশপাশে মাছ ধরতেও তাদের বাধা দেওয়া হয়।
মতলব উত্তর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম বলেন, নদী থেকে ঘের বা ঝোপ দিয়ে মাছ শিকার সম্পূর্ণ নিষেধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে মাছের বংশবিস্তার হবে না। নদীতে ঘের দেয়ায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মতলব উত্তরে নদীতে অবৈধ মাছের ঘের

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মমিনুল ইসলাম:

মতলব উত্তর উপজেলায় নদীতে অবৈধভাবে ঘের দিয়ে মাছ নিধন চলছে। মেঘনা-ধনাগোদা ও গোমতি নদীতে বাঁশ পুঁতে ও গাছের ডালপালা ফেলে মাছ শিকারের ঘের তৈরি করেছে প্রভাবশালী মহল।
সরেজমিন উপজেলা সদর, মেঘনা নদী, ধনাগোদা ও গোমতি নদীসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, নদীতে নির্দিষ্ট একটি স্থান দখল করে চারপাশে বাঁশ পুঁতে রাখা। ভেতরে কচুরিপানা ও গাছের ডালপালা ফেলে ঘের দেওয়া হয়েছে। ঘেরের ভেতরে প্রচুর পরিমাণে মাছের খাবার ফেলা হয়। খাবারের খোঁজে মাছ ভেতরে চলে আসলে চারদিকে জাল দিয়ে ঘের আটকানো হয়। তারপর আটকা পরা মাছসহ পোনা শিকার করা হয়। উপজেলার নদীর তীরবর্তী ১৪টি ইউনিয়নে তিনটি নদীতে প্রায় ৩০টি ঘের রয়েছে। নদীতে ঘের দেওয়ার কারণে নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। অন্যদিকে স্থানীয় প্রকৃত জেলেরা নদী থেকে উন্মুক্তভাবে মাছ শিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘের তৈরিতে ছোট ছিদ্রযুক্ত জাল ব্যবহার করায় মা ও পোনা মাছসহ সব ধরনের মাছ আটকা পড়ছে। এতে জীববৈচিত্র্য ও মৎস্যসম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। অবৈধভাবে মাছ শিকার রোধে উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের সচেতনতামূলক কোনো কার্যক্রম নেই।
নদীতীরবর্তী স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কিছু প্রভাবশালী মহল নদীতে ঘের দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। সময়ের ব্যবধানে নদীর নাব্য হারিয়ে ক্রমশ মরা খালে পরিণত হচ্ছে। নদী দখল, পলি জমে ভরাট হওয়া, অবৈধভাবে ঘের দিয়ে মাছ শিকার করা এর অন্যতম কারণ।
উপজেলার গালিমখাঁ এলাকার একজন মৎস্যজীবী বলেন, নদীতে এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। নদীতে ঠিকমতো নামতেও পারেন না তারা। যেখানে সেখানে ঝোপ বা ঘের তৈরি করার ফলে নৌকা চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও ঘেরের আশপাশে মাছ ধরতেও তাদের বাধা দেওয়া হয়।
মতলব উত্তর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম বলেন, নদী থেকে ঘের বা ঝোপ দিয়ে মাছ শিকার সম্পূর্ণ নিষেধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে মাছের বংশবিস্তার হবে না। নদীতে ঘের দেয়ায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন