তুচ্ছ ঘটনায় রাবি ছাত্রলীগের দুপক্ষের মারামারি
- আপডেট সময় : ০৯:২৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩
- / ৮৩
রাজশাহী ব্যুরো:
হলের ক্যান্টিনে বসাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সাকিবুল হাসান বাকিকে মারধর করে ক্যাম্পাস ছাড়া করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা। আজ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা, আশিকুর রহমান অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক কাব্বিরুজ্জামান রুহুল, জাহিদ হাসান সোহাগ, হল ছাত্রলীগের নেতা আকাশ, ডালিম মির্জা, লাবিব, মারুফ, টম, আজমি, রাফি, ইসমাইল।
তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিবের অনুসারী। ছাত্রলীগ ও ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলের ক্যান্টিনে দুপুরে খাওয়ার জন্য একটি সিটে বসেন জাহিদ হাসান নামে এক শিক্ষার্থী। এর কিছুক্ষণ পর শান্ত নামে এক ছেলে এসে জাহিদকে উঠতে বলেন এবং তিনি আগে ওই সিটে আগে বসেছিলেন বলে দাবি করেন। জাহিদ তাকে অন্য সিটে বসতে বললে তর্কাতর্কি শুরু হয়। পরে জাহিদ তার বন্ধু রিফাতের কক্ষে অবস্থান নিলে শান্ত কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে নিয়ে এসে কক্ষের দরজায় লাথি মারতে থাকে।
বিষয়টি মিমাংসার কথা বলে আরও কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে তাদের দুজনকে মারধর করেন বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা ও তার অনুসারীরা। মারধরের শিকার জাহিদ ও রিফাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারী।
অপরদিকে শান্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিবের অনুসারী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পাশে ভাস্কর সাহাকে মারধর করেন সাকিবুল ইসলাম বাকির অনুসারীরা। ঘটনা শোনার পর বিকেল ৫ টার দিকে পরিবহণ মার্কেটে আসলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা বাকিকে এলোপাথারি মারধর শুরু করেন। এতে আহত হয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা। এ বিষয়ে মারধরের শিকার সাকিবুল হাসান বাকি বলেন, ‘হলে আমার অনুসারীদের মারধর করা হয়েছে এমন কথা শুনে আমি ক্যাম্পাসের পরিবহণ মার্কেটে আসি। এসময় আমার কয়েকজন অনুসারীও সঙ্গে ছিল। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমিসহ আমার ৮-১০জন কর্মী আহত হই।’
এবিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিবকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘আমরা ছাত্রলীগের দুই পক্ষকেই ডেকে বিষয়টি শুনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ক্যাম্পাসে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা টহল দিচ্ছে।