ভাতা দেওয়ার প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি
- আপডেট সময় : ০৫:৪৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩
- / ৬২
আশরাফুল হক, লালমনিরহাট:
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় সরকারি বিভিন্ন ভাতা করে দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ভুয়া প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আকৃষ্ট করে গ্রামের দুই শতাধিক নারীর কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নাসিমা আকতার স্বপ্না নামে এক নারীর বিরুদ্ধে।
হাতিয়ে নেওয়া অর্থ ফেরতের দাবিতে মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে মানববন্ধন শেষে ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। অভিযুক্ত নারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের টাওয়ার পাড়া গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে।
মানববন্ধন থেকে ভুক্তভোগী নারী সাথী বেগম, রোজিনা বেগম, আরিফা বেগম সহ আরো অনেকে জানান, অভিযুক্ত নাসিমা আক্তার স্বপ্নার মা কোহিনূর বেগমের নামে রয়েছে সমাজসেবা থেকে রেজিষ্ট্রেশনপ্রাপ্ত ‘দুঃস্থ্ মহিলা কল্যাণ সমিতি’ নামে একটি এনজিও। ওই এনজিওর ব্যানারে মেয়ে স্বপ্না নেয় কৌশলের আশ্রয়। প্রথমে সে গ্রামের নারীদের নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে আকৃষ্ট করে। পরে এনজিও থেকে গরু, সমাজসেবা থেকে এককালীন অনুদান, শিশু ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সরকারি নানা সুযোগ সুবিধার প্রলোভন দিয়ে গ্রামের সহজ সরল নারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া শুরু করে। বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে প্রত্যেক নারীর কাছ থেকে ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত গ্রহণ করে। এভাবে এক পর্যায়ে গ্রামের দুই শতাধিক নারীর কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় কৌশলী স্বপ্না। পরবর্তীতে কোন সুযোগ সুবিধা দিতে না পারলে এলাকার নারীরা স্বপ্নার ছলচাতুরী বুঝতে পারে। পরে তারা টাকা ফেরত চাইলে নানা টালবাহানা করতে থাকে স্বপ্না। একপর্যায়ে তাদের নানা ভয়ভীতি দেখায় স্বপ্না। উপায়ান্তর না পেয়ে ভুক্তভোগীদের অনেকে থানায় অভিযোগ করেন। অনেকে আবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু এতেও কোন কাজ না হওয়ায় রাস্তায় নেমে আসে ভুক্তভোগী নারীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে তারা উপজেলার ঢাকা-বুড়িমারী মহা সড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোজাম্মেল হক জানান, নানা প্রলোভনে গ্রামের নারীদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগের সাথে তারা টাকা গ্রহণের কোন প্রমাণ দিতে পারেননি। তবুও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আদিতমারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারোয়ার বলেন, নানা প্রলোভনে গ্রামের নারীদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের বিষয়ে ভুক্তভোগী কয়েকজন এসে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাদের মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। বিষয়টি উর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলেও তিনি জানান।
পিএন/নিউজ