০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে খুনীদের আস্ফালন দেখছি : শামীম ওসমান

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:৫২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ৬৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, নেত্রী বলেছেন “নো আলোচনা”। খুনীদের সাথে কীসের আলোচনা। তারা কি করতে চায়, ওরা লাশ চায়। যে তিনটা জায়গাকে টার্গেট করা হয়েছে তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ এক নম্বরে। রোববার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের আনুষ্ঠানিক দায়িত্বভার গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, অনেকে বলেন আমি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছি। আমি যাইনি, আমি পঙ্গু ছিলাম। নেত্রীর নির্দেশে আমাকে যেতে হয়েছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম মরতে নয় মারতে সৃষ্টি হয়েছি। মারতে বলতে অস্ত্র হাতে মারা নয়, রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করা।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার সময় বাজেট ছিল ৬০ হাজার কোটি টাকা। আজ শেখ হাসিনার বাজেট ৬০ লক্ষ কেটি টাকা। নেত্রী বলেছেন উন্নয়ন না দেখলে চোখে চশমা পড়ুন। উন্নয়ন যা হওয়ার হয়েছে। কিন্তু রাজনীতির মাঠে কারা নেমেছে? কী হচ্ছে দেশে? কারা মাঠে নেমেছে? আমি আমার দেশের জন্য রাজনীতি করি। আমরাও পুলিশের সাথে লড়াই করেছি গুলি খেয়েছি। লাশ নিয়ে গোরস্থান যেতে পারিনি। সম্মান দেখাতে চেয়েছিলাম। স্লোগানও ছিলনা। তবুও আমাদের গুলি করা হল। একটা লাশ তাদের হাত থেকে নিস্তার পায়নি। সেই লাশ থেকে ৭০টা গুলি বের করেছি। পরে লিংক রোডের পাশে তাদের দাফন করেছি। আমরা কাউকে আঘাত করিনি।

নারায়ণগঞ্জে অনেক খুনীদের আস্ফালন দেখছি। বিএনপি নেতা তৈমূর ভাইয়ের ছোট ভাই সাব্বিরকেও হত্যা করা হয়েছিল মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায়। আমাদের কর্মীদের মারা হল আমার বড় ভাইয়ের ওপর হামলা নির্যাতন হল। আমরা কাউকে টাচ করিনি কাউকে মিথ্যা মামলাও দেইনি। আমি ভোটে পাশ করেছিলাম। নেত্রী বলেছিলেন ঢাকা বিভাগে একমাত্র তুমি পাশ করেছো। সেখানে আমাদের নেতাদের গণহারে গ্রেফতার করা হল। আমরা এগুলো মোকাবিলা করেছি। ঢাকায় আমার বাড়ির পেছনে গর্ত করে ঢোকা হয়েছিল। পরে আমার ফলাফল বদলে দেয়।

বিএনপি নেতাদের বলতে চাই আপনারা ক্ষমতার কাছেও আসবেন না। আপনারা আপনাদের পলাতক নেতার নির্দেশে মাঠে লাফাচ্ছেন। মিষ্টির দোকানের সামনে বড় তাওয়া থাকে। সে তাওয়া চুলায় বসিয়ে গরম করা হয়। গরম হওয়ার পরে সেটায় পরোটা দেয় এক সেকেন্ডে হয়ে যায়। আপনারদের তাওয়া। আপনাদের গরম করে তারা খেলছে।

বিএনপিতে এখন আম্মা গ্রুপ ও ভাইয়্যা গ্রুপ। যে মায়ের চিন্তা করে না দেশের চিন্তা কী করবে। বিএনপি ২০১৩ সাল থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত ৩৫৫২ টি গাড়ি পুড়িয়েছে। ৫শ জন মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এগুলো কার নেতৃত্বে হয়েছে? তাদের নেতা তারেক রহমান। আগে একটা চেয়ার খালি থাকত এখন দুটো খালি থাকে।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ওরা শান্ত হয়নি। জননেত্রীকে একুশবার মারার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের ছোট ছোট ছেলেদের মারা হয়েছে। যখন হতাশ হই তখন চন্দনের সাথে কথা বলি। এ শক্তির সাথে আমাদের লড়াই করতে হবে। আমার দেশের বাহিনীর ওপর স্যাংশন আসে আর তারা দাঁত কেলিয়ে হাসে। আপনারা খুশি হন কেন।

তিনি বলেন, সারা দুনিয়ায় আজ সংকট। সেখানে শেখ হাসিনা এ দেশকে ধরে রেখেছেন। এই সুযোগটা শকুনরা নিতে চায়। এ শকুন শুধু বিএনপি জামাতরা না, আরও অনেকেই আছে। তারা ভাবে ভোটে তো আসতে পারবে না দেখি অন্য কোন পথে আসা যায় কী না।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

নারায়ণগঞ্জে খুনীদের আস্ফালন দেখছি : শামীম ওসমান

আপডেট সময় : ০৮:৫২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, নেত্রী বলেছেন “নো আলোচনা”। খুনীদের সাথে কীসের আলোচনা। তারা কি করতে চায়, ওরা লাশ চায়। যে তিনটা জায়গাকে টার্গেট করা হয়েছে তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ এক নম্বরে। রোববার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের আনুষ্ঠানিক দায়িত্বভার গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, অনেকে বলেন আমি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছি। আমি যাইনি, আমি পঙ্গু ছিলাম। নেত্রীর নির্দেশে আমাকে যেতে হয়েছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম মরতে নয় মারতে সৃষ্টি হয়েছি। মারতে বলতে অস্ত্র হাতে মারা নয়, রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করা।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার সময় বাজেট ছিল ৬০ হাজার কোটি টাকা। আজ শেখ হাসিনার বাজেট ৬০ লক্ষ কেটি টাকা। নেত্রী বলেছেন উন্নয়ন না দেখলে চোখে চশমা পড়ুন। উন্নয়ন যা হওয়ার হয়েছে। কিন্তু রাজনীতির মাঠে কারা নেমেছে? কী হচ্ছে দেশে? কারা মাঠে নেমেছে? আমি আমার দেশের জন্য রাজনীতি করি। আমরাও পুলিশের সাথে লড়াই করেছি গুলি খেয়েছি। লাশ নিয়ে গোরস্থান যেতে পারিনি। সম্মান দেখাতে চেয়েছিলাম। স্লোগানও ছিলনা। তবুও আমাদের গুলি করা হল। একটা লাশ তাদের হাত থেকে নিস্তার পায়নি। সেই লাশ থেকে ৭০টা গুলি বের করেছি। পরে লিংক রোডের পাশে তাদের দাফন করেছি। আমরা কাউকে আঘাত করিনি।

নারায়ণগঞ্জে অনেক খুনীদের আস্ফালন দেখছি। বিএনপি নেতা তৈমূর ভাইয়ের ছোট ভাই সাব্বিরকেও হত্যা করা হয়েছিল মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায়। আমাদের কর্মীদের মারা হল আমার বড় ভাইয়ের ওপর হামলা নির্যাতন হল। আমরা কাউকে টাচ করিনি কাউকে মিথ্যা মামলাও দেইনি। আমি ভোটে পাশ করেছিলাম। নেত্রী বলেছিলেন ঢাকা বিভাগে একমাত্র তুমি পাশ করেছো। সেখানে আমাদের নেতাদের গণহারে গ্রেফতার করা হল। আমরা এগুলো মোকাবিলা করেছি। ঢাকায় আমার বাড়ির পেছনে গর্ত করে ঢোকা হয়েছিল। পরে আমার ফলাফল বদলে দেয়।

বিএনপি নেতাদের বলতে চাই আপনারা ক্ষমতার কাছেও আসবেন না। আপনারা আপনাদের পলাতক নেতার নির্দেশে মাঠে লাফাচ্ছেন। মিষ্টির দোকানের সামনে বড় তাওয়া থাকে। সে তাওয়া চুলায় বসিয়ে গরম করা হয়। গরম হওয়ার পরে সেটায় পরোটা দেয় এক সেকেন্ডে হয়ে যায়। আপনারদের তাওয়া। আপনাদের গরম করে তারা খেলছে।

বিএনপিতে এখন আম্মা গ্রুপ ও ভাইয়্যা গ্রুপ। যে মায়ের চিন্তা করে না দেশের চিন্তা কী করবে। বিএনপি ২০১৩ সাল থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত ৩৫৫২ টি গাড়ি পুড়িয়েছে। ৫শ জন মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এগুলো কার নেতৃত্বে হয়েছে? তাদের নেতা তারেক রহমান। আগে একটা চেয়ার খালি থাকত এখন দুটো খালি থাকে।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ওরা শান্ত হয়নি। জননেত্রীকে একুশবার মারার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের ছোট ছোট ছেলেদের মারা হয়েছে। যখন হতাশ হই তখন চন্দনের সাথে কথা বলি। এ শক্তির সাথে আমাদের লড়াই করতে হবে। আমার দেশের বাহিনীর ওপর স্যাংশন আসে আর তারা দাঁত কেলিয়ে হাসে। আপনারা খুশি হন কেন।

তিনি বলেন, সারা দুনিয়ায় আজ সংকট। সেখানে শেখ হাসিনা এ দেশকে ধরে রেখেছেন। এই সুযোগটা শকুনরা নিতে চায়। এ শকুন শুধু বিএনপি জামাতরা না, আরও অনেকেই আছে। তারা ভাবে ভোটে তো আসতে পারবে না দেখি অন্য কোন পথে আসা যায় কী না।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন