বাকেরগঞ্জে বোনের সম্পত্তি জাল হেবা দলিল করলে ভাতিজার বিরুদ্ধে মামলা
- আপডেট সময় : ০৭:১০:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
- / ৮১
মোঃ রানা সন্যামত, বরিশাল ব্যুরো:
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৩নং দাড়িয়াল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কাজলাকাঠি গ্রামে মৃত্যু জবেদ আলী শিকদারের চার সন্তান, মৃত্যু সোবহান সিকদার, মৃত্যু ইসমাইল সিকদার,চাঁদবানু বেগম,শাহিনুর বেগম, দুই বোনের সম্পত্তি জাল জালিয়াতি করে নেওয়া দুই ভাইয়ের ছেলেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছেন ভুক্তভোগী চাঁদবানু।
মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত সি আর মামলা নং ৫৬৪/২৩ উল্লেখিত জল জালিয়াতির মামলায় ১৩জনকে আসামি করা হয়েছে। হেমায়েত উদ্দিন সিকদার,শারমিন সুলতানা,শাহিদা শারমিন, হেলাল উদ্দিন সিকদার, শহিদুল হাওলাদার, আঃ রাজ্জাক সরদার, মিরাজ শিকদার, মিজান শিকদার, মশিউর রহমান, মহিবুল ইসলাম, আছমা বেগম, রেশমা, মিনারা বেগম, পরস্পর্শের নিকটতম আত্মীয়।জবেদ শিকদারের দুই ছেলে মৃত্যুর পরে দুই মেয়ে সম্পত্তির কথা জিজ্ঞাসা করলে এবং ভোগ দখল করার কথা বললে একটি হেবা দলিল দেখিয়ে বলে নামজারি ও পিটিশন করা হয়ে গেছে সেই জমি থেকে কিছু জমি অন্যের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী দুই বোনে অভিযোগ করে বলে, আমার বাবা মৃত্যুবরণ করেছেন ২০০৪ সালে আর দলিল দিয়েছে ২০০৫ সালে তোমরা আমার ভাইয়েরা মৃত্যুবরণ করার প্রায় ১৮ বছর পরে ২০০৬ সালে আমার বাবা মৃত্যুর পরে কিভাবে একটি জাল হেবা দলিল দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে পাশের বাড়ির আইয়ুব আলী কে দিয়ে একটি হেবা দলিল তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হেবা দলিলের পরিচিতি শহিদুল ইসলামকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই দলিলের বিষয়ে কিছুই জানিনা কিভাবে কোথা থেকে দলিল এসেছে আমার জানা নেই। এ বিষয়ে দারীয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মৃত জবেদ আলী শিকদারের উত্তরসূরী দুই ছেলে দুই মেয়ে রেখে যান, মৃত ইসমাইল সিকদার, মৃত সোবাহান শিকদার, চাঁদবানু বেগম, শাহিনুর বেগমকে রেখে জান, দুই ভাই মৃত্যুর পরে দুই বোন সম্পত্তির ভাগাভাগির বিষয়ে কথা বললে তার ভাইয়ের ছেলেরা একটি হেবা দলিল বের করে বলে দাদা জমিজমা সব ছেলেদের নামে হেবা দলিল করে দিয়েছে কয়েক বছর পরে একটি হেবা দলিল বের করে দেখায়। চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আরও বলেন ইউনিয়ন পরিষদে এ পর্যন্ত মৃত্যু জবেদ আলী শিকদারের মৃত্যুর সার্টিফিকেট তিনটি আমার হাতে এসেছে আমি সব যাচাই-বাছাই করে সঠিক তাই বিজ্ঞ আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে হস্তান্তর করব এবং আমাকে এ বিষয়ে পি বি আই এর কর্মকর্তা আমাকে ফোন দিয়েছে। দাড়িয়াল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ৯ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার হাবিবুর রহমান কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে জবেদ আলী শিকদারের মেয়ে চাঁদবানু বেগম তার বাবা কত সালে মৃত্যুবরণ করেছে বলে একটি দরখস্তের মাধ্যমে মৃত্যুর সার্টিফিকেট চেয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের রেজিস্ট্রি বইটিতে ২০০৪ থেকে ২০০৫ ভলিয়ম কাটাকাটির জন্য পুনরায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দিয়েছে, জবেদ আলী সিকদার কত সালে মারা গিয়েছে সরে জমিনে গিয়ে এলাকার এবং তার নিকটতম আত্মীয়স্বজনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন জাবেদ আলী শিকদারের জানাজায় আমরা উপস্থিত ছিলাম এবং জবেদ আলী ভাই ২০০৪ সালে ইন্তেকাল করেন। জাবেদ আলী শিকদারের আপন ভাগ্নি হালিমা বেগম তিনি বলেন আমি ২০০৩ সালে বাড়ি করি এবং আমার মামা জবেদ আলি শিকদার ২০০৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৃত্যু ইসমাইল শিকদারের ছেলে মোঃ মিরাজ শিকদার তিনি বলেন, আমার দাদা জবেদ আলী সিকদার ২০০৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন এবং তিনি ২০০৫ সালে আমাদেরকে দলিল দিয়েছেন। দারীয়াল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মিজান মিয়া আমাদেরকে ২০০৬ সালে একটি দাদার মৃত্যুর সার্টিফিকেট প্রদান করেন ও বর্তমান চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আমার দাদার মৃত্যুর সার্টিফিকেট চাইতে গেলে তিনি বলেন, রেজিস্টার খাতায় মৃত্যুর তারিখ কাটাকাটির জন্য যাচাই বাছাই করে দিবে বলে জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পি বি আই এর এস আই শামসুদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মামলার তদন্ত শেষ না করে আমি কিছু বলিতে পারিব না।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী চাঁদ বানুর পৈত্রিক সম্পত্তি জাল হেবা দলিল ঘোষণাপত্র দলিলের ফটোকপি ভুক্তভোগী চাঁদবানু হাতে পেয়ে আসামিদের তৈরি করা জাল হেবা ঘোষণা পত্র সম্পর্কে জানতে পারেন ৭ থেকে ১৩ নং আসামিরা জানে তাহাদের পরবর্তী মৃত্যুর ইসমাইল সিকদার গং জাল হেবা ঘোষণা পত্র দলিল তৈরি করিয়াছে। জাল দলিল জানা সত্তে ও ইহাকে বাদীর বিরুদ্ধে আসল দলীল হিসেবে ব্যবহার করিয়া আসিতেছে, ১ থেকে ১৩ নং আসামিরা পারিবারিক ভাবে নিকটতম আত্মীয় সম্পর্ক বাদী ও তাহার পরিবারকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার মন মানসিকতা অপরাধ মূলক ওয়ারিশের সাথে বিশ্বাস ভঙ্গ প্রতারণা ও জাল জালিয়াতি ভাবে বাদীর অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে হেবা জাল দলিল তৈরি করে ওয়ারিশের সম্পত্তি গ্রাস করেছে বলে বাদী কোটে জাল জালিয়াতি উল্লেখ করে মামলা করেন। এলাকার সূত্রে আরও জানা যায়, জবেদ আলী শিকদারের জানাজা দাফন কাফনের সময় উপস্থিত থাকা আশেপাশের কয়েকজন সাধারণ জনগণের নাম উল্লেখ করা হলো। মোঃ মকবুল হোসেন খান (৭৮) মোঃ জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৫৬) আয়শা বেগম (৬১) ইউনুছ শিকদার ( ৭০) বাদশাহ সিকদার(৬০) মোঃ রফিকুল ইসলাম হাওলাদার।(৫১)মোঃ হাবিবুর রহমান সিকদার (৫৩) সেতারা বেগম (৫১) হালিমা বেগম (৫১) বজলুর রহমান মাল (৪৬) আ: হাকিম মাল,নূর হোসেন খান, মোঃ শাহিন আলম (৪৭) রাহিমা বেগম, কবির মাল, আঃ করিম হাওলাদার বাবুল আরো অনেকের সাথে কথা বলে, জবেদ আলী সিকদার ০৩/০৫/২০০৪ সালে তার নিজ বাড়িতে অবস্থানরত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন