০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মাধ্যমে আইনি সহায়তার আবেদন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪০

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গত ২৫ শে অক্টোবর দৈনিক যুগান্তর ও দৈনিক সমকাল সহ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত ” চাকুরিচ্যুত জেলা রেজিস্ট্রার এর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হয়রানির অভিযোগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে ২৮অক্টোবর, শনিবার মোরেলগঞ্জের কর্মরত সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিকারের দাবি করেন ভুক্তভোগী বাগেরহাট সদর রাধাবল্লভ এলাকার বাসিন্দা সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলার রহমান।
তিনি বলেন ,আমি চাকুরিরত অবস্থায় ৭/৮ বছর পূর্বে মোরেলগঞ্জ উপজেলার উত্তর চিংড়াখালী গ্রামের হেমায়েত হোসেনের মেয়ে জাহানারা জনৈক নুরুজ্জামানের মাধ্যমে আমার বাসায় ঝিয়ের কাজ করতে আসে।
নুরুজ্জামান ও তখন আমার বাসার কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করত।
জাহানারার বোন মনোয়ারাও তার বোনের কাজের সুবাদে আমার বাসায় মাঝে মধ্যে যাতায়াত সহ ঝিয়ের কাজ করত। এমন কি জাহানারা আমাকে বাবা বলে ডাকত ,আমিও সন্তানের মতো দেখতাম বিধায় সরলতার সুযোগ নেয়।
এক পর্যায় , আমি চাকুরির সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় থাকায় বাসায় আমার স্ত্রী একাকী থাকার সুযোগে স্ত্রীর গহনা, নগদ টাকা সহ মালামাল জাহানারা ও নুরুজ্জামান দু’জনে মিলে সু কৌশলে চুরি করতে থাকে। খবর পেয়ে আমি ছুটিতে বাড়িতে এসে সবকিছু দেখতে ও জানতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা অস্বীকার করে। পরবর্তীতে তাদের উভয়কে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেই ।
ফজলার রহমান আরো জানান যে, জাহানারা ও মনোয়ারা চুরি করা টাকা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে জায়গা-জমি কিনেছে। তারা খারাপ প্রকৃতির লোক । বিভিন্ন লোকের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা-পয়সার মালিক হয়েছে।জাহানারা ,মনোয়ারা ও নুরুজ্জামান একত্রে মিলে বিভিন্ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। ঢাকায় মোস্তফা নামক জনৈক ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করতে থাকলে মোস্তফা মামলা দিয়ে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠায়।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে ওই তিনজন মিলে তাকে মারপিট, মিথ্যা মামলায় জড়ানো সহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে । তিনি এদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট সদর থানায় একটি জিডি করেন যার নং ২২/২৩। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আবারো চাঁদা দাবি সহ বিভিন্ন হুমকি-ধামকি মিথ্যা মামলার ভয় দেখালে তিনি বাগেরহাট সদর থানায় একটি মামলা করেন যার নং ৩৩৩/২৩। ওই মামলায় আসামিরা জামিনে এসে আবারো ভয় ভীতি চাঁদা দাবি সহ হুমকি-ধামকি দিলে তিনি পুনরায় একটি জিডি করেন যার নং ৩২৯/২৩।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে জাহানারাকে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ২০১১-২০১৭ ইং সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করা সংক্রান্ত সংবাদটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর।
আমি, এর তীব্র প্রতিবাদ সহ সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে আইনি সহায়তার দাবি জানাই।
এ বিষয়ে, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জাহানারা বেগমকে মুঠোফোনে পাওয়া না গেলেও তার বোন মনোয়ারা বলেন, আমার বোন জাহানারা কে ফজলার রহমান চাকুরী দেওয়া সহ বিভিন্ন প্রলোভনে ধর্ষণ করেছে । আমরা এখন আইনের আশ্রয় নিবো ও ধর্ষণ মামলা করব। তবে , এতো বছরে মামলা করেননি কেন ? প্রশ্ন করলে মনোয়ারা বলেন, মান-সম্মানের ভয়ে এবং পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল না বলে মামলা দিতে পারিনি। এখন মামলা দিব।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মাধ্যমে আইনি সহায়তার আবেদন

আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গত ২৫ শে অক্টোবর দৈনিক যুগান্তর ও দৈনিক সমকাল সহ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত ” চাকুরিচ্যুত জেলা রেজিস্ট্রার এর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হয়রানির অভিযোগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে ২৮অক্টোবর, শনিবার মোরেলগঞ্জের কর্মরত সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিকারের দাবি করেন ভুক্তভোগী বাগেরহাট সদর রাধাবল্লভ এলাকার বাসিন্দা সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলার রহমান।
তিনি বলেন ,আমি চাকুরিরত অবস্থায় ৭/৮ বছর পূর্বে মোরেলগঞ্জ উপজেলার উত্তর চিংড়াখালী গ্রামের হেমায়েত হোসেনের মেয়ে জাহানারা জনৈক নুরুজ্জামানের মাধ্যমে আমার বাসায় ঝিয়ের কাজ করতে আসে।
নুরুজ্জামান ও তখন আমার বাসার কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করত।
জাহানারার বোন মনোয়ারাও তার বোনের কাজের সুবাদে আমার বাসায় মাঝে মধ্যে যাতায়াত সহ ঝিয়ের কাজ করত। এমন কি জাহানারা আমাকে বাবা বলে ডাকত ,আমিও সন্তানের মতো দেখতাম বিধায় সরলতার সুযোগ নেয়।
এক পর্যায় , আমি চাকুরির সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় থাকায় বাসায় আমার স্ত্রী একাকী থাকার সুযোগে স্ত্রীর গহনা, নগদ টাকা সহ মালামাল জাহানারা ও নুরুজ্জামান দু’জনে মিলে সু কৌশলে চুরি করতে থাকে। খবর পেয়ে আমি ছুটিতে বাড়িতে এসে সবকিছু দেখতে ও জানতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা অস্বীকার করে। পরবর্তীতে তাদের উভয়কে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেই ।
ফজলার রহমান আরো জানান যে, জাহানারা ও মনোয়ারা চুরি করা টাকা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে জায়গা-জমি কিনেছে। তারা খারাপ প্রকৃতির লোক । বিভিন্ন লোকের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা-পয়সার মালিক হয়েছে।জাহানারা ,মনোয়ারা ও নুরুজ্জামান একত্রে মিলে বিভিন্ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। ঢাকায় মোস্তফা নামক জনৈক ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করতে থাকলে মোস্তফা মামলা দিয়ে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠায়।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে ওই তিনজন মিলে তাকে মারপিট, মিথ্যা মামলায় জড়ানো সহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে । তিনি এদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট সদর থানায় একটি জিডি করেন যার নং ২২/২৩। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আবারো চাঁদা দাবি সহ বিভিন্ন হুমকি-ধামকি মিথ্যা মামলার ভয় দেখালে তিনি বাগেরহাট সদর থানায় একটি মামলা করেন যার নং ৩৩৩/২৩। ওই মামলায় আসামিরা জামিনে এসে আবারো ভয় ভীতি চাঁদা দাবি সহ হুমকি-ধামকি দিলে তিনি পুনরায় একটি জিডি করেন যার নং ৩২৯/২৩।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে জাহানারাকে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ২০১১-২০১৭ ইং সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করা সংক্রান্ত সংবাদটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর।
আমি, এর তীব্র প্রতিবাদ সহ সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে আইনি সহায়তার দাবি জানাই।
এ বিষয়ে, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জাহানারা বেগমকে মুঠোফোনে পাওয়া না গেলেও তার বোন মনোয়ারা বলেন, আমার বোন জাহানারা কে ফজলার রহমান চাকুরী দেওয়া সহ বিভিন্ন প্রলোভনে ধর্ষণ করেছে । আমরা এখন আইনের আশ্রয় নিবো ও ধর্ষণ মামলা করব। তবে , এতো বছরে মামলা করেননি কেন ? প্রশ্ন করলে মনোয়ারা বলেন, মান-সম্মানের ভয়ে এবং পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল না বলে মামলা দিতে পারিনি। এখন মামলা দিব।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন