মাহমুদ হাসান রনি, চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এক সঙ্গে জন্ম নেওয়া ৪ শিশু পদ্মা,মেঘনা,যমুনার ৩৬ ঘন্টার মাথায় মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে তাসলিমা খাতুন (২৬) তিন মেয়ে শিশু মারা গিয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আকলিমা খাতুন সফল নরমাল ডেলিভারি করেন। জন্মের আধা ঘণ্টা পর ছেলে সন্তানটি মারা গিয়েছিল। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিশুদের বাবা ইমরান হোসেন বলেন, আমার তিন মেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সুস্থই ছিল। হটাৎ এক জনের নাক দিয়ে রক্ত বের হয়ে কিছুক্ষণ পর মারা যায়। তার কিছুক্ষণ পর আরো এক মেয়ে অসুস্থ হয়ে মারা যায়। মৃত ২ মেয়েকে নিয়ে বাড়ি এসে দাফন করার প্রস্তুতি নিতে নিতে আরও একজন মারা যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, সাধারণত কোনো শিশু যদি ৩৭ সপ্তাহের পর জন্ম গ্রহণ করে ও তার ওজন ২-২.৫০ কেজি হয় তাকে আমরা পুষ্ট বাচ্চা বলি। এর চেয়ে কম হলে সেগুলো অপুষ্ট বাচ্চা। এক সঙ্গে যে চারটা বাচ্চা জন্ম নিয়েছে তারা সময়ের ২ মাস আগেই জন্ম গ্রহণ করেছে। তাদের এক এক জনের ওজন ১.৫ কেজির মত বা তারও কিছু কম ছিল। যার কারণে তাদের ফুসফুসসহ অনেক অঙ্গ পরিপক্ব হয়নি। নিজে থেকেও শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারছিলো না। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্যে ও আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়ার জন্যে বাইরে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমরা কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যবস্থাও করেছি। যতটা সম্ভব আমরা চিকিৎসা প্রদান করেছি। আপ্রাণ চেষ্টা করেও তাদের বাঁচানো সম্ভব হলো না।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না