বাগমারায় উন্নয়নের ১৫ বছর ও বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ০৪:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
- / ৬৩
বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার উন্নয়নের ১৫ বছর এবং বঙ্গবন্ধু টানেলের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।শনিবার সকাল ১০ টায় ভবানীগঞ্জ নিউ মার্কেট অডিটোরিয়ামে উক্ত সমাবেশের আয়োজন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ। দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন মহোৎসবের মাসে বঙ্গবন্ধু টানেল এর শুভ উদ্বোধন, বাগমারা উপজেলার উন্নয়নের ১৫ বছর এবং ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাগমারা গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় সুধী সমাবেশ।উক্ত সুধী সমাবেশের শুরুতে দেশের উন্নয়ন চিত্রের পাশাপাশি বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের সচিত্র তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে আগামীর স্মার্ট বাগমারা বিনির্মাণে সুধীজনদের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া হয়।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।প্রধান অতিথি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রতিটি এলাকার সকল মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে টলেছে।তারই একটু জ¦লন্ত উদাহরণ বঙ্গবন্ধু টানেল। সেই সাথে স্কুল, কলেজ, যোগাযোগ, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে উন্নয়ন হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই প্রতিটি ভাতা চালু আছে। এর আগে অনেক সরকার গেছে তারা দেশের উন্নয়ন তো দূরের কথা মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। শহরের উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। শুধু তাই না সারা দেশের ন্যায় সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীর আওতায় বাগমারায় ৬৭ হাজারের অধিক পরিবারকে বিভিন্ন ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। যা সংখ্যা হিসাব করতে গেলে ২ লাখের অধিক।প্রধান অতিথি আরো বলেন, দেশের মানুষ যে উন্নয়ন পেয়েছে তা এর আগে কোনদিন চোখে দেখেনি। উন্নয়নে বদলে গেছে দেশ।আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বাগমারায় মানুষের চলাচল করা ছিল কষ্টসাধ্য। বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়ে বাগমারায় সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হতো। চালানো হতো নির্যাতন। সেই বাগমারা আর আগের মতো নেই। মানুষ এখন নিরাপদে চলাচল সহ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই তা সম্ভব হয়েছে। বাগমারা আর বিএনপি-জামায়াতের হাতে দিয়ে রক্তাক্ত করতে দেয়া হবে না। সেই সাথে সাধারণ মানুষকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়াও হবে না। তাই দলমত ভুলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় ঘটাতে হবে। কারণ নৌকার বিজয় শেখ হাসিনার বিজয়।উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুলের পরিচালনায় স্মার্ট বাগমারা বিনির্মাণে সুধীজনদের সরাসরি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি।
এতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, মতিউর রহমান টুকু, রিয়াজ উদ্দীন আহমেদ, আহসান হাবিব, মরিয়ম বেগম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দীন সুরুজ, আসাদুজ্জামান আসাদ, মকবুল হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশীদ সরকার, জাহাঙ্গীর আলম, দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফরহাদ হোসেন মজনু, সহ-প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আশিকুর রহমান সজল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হাকিম প্রামানিক, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল জব্বার, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আলী হাসান, সদস্য হামিরকুৎসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, রেজাউল হক, মাজেদুল ইসলাম সোহাগ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবী, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য নার্গিস বেগম, সদস্য হাবিবুর রহমান মটর, বকুল আলী খরাদী, জাহেদুর রহিম মিঠু, হাচেন আলী, উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি কহিনুর বানু, সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাবু, যুব মহিলী লীগের সভাপতি শাহিনুর খাতুন, সাধারণ সম্পাদক পারভীন আক্তার, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সান্টু, ছাত্রলীগ নেতা নাইম আদনান, আব্দুর রউফ রাজ।উক্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাগমারা উপজেলার সকল রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সম্মানিত সুধীজন, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলী, সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, মসজিদের ইমামগণ ও বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।