১১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

লালমনিরহাটে নিখোঁজের ৪ মাস পর অটো চালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার আটক-১

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৫৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট।

লালমনিরহাটে নিখোঁজের ৪ মাস পর মাটির নিচ থেকে আশরাফুল ইসলাম (২০) নামে এক অটো চালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে রংপুর ব্যাব-১৩। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ধাইরখাতা এলাকার মোখলেছুর রহমানের বাড়ির একটি খোলা ঘরের মাটির নিচ থেকে অর্ধগলিত ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মনির হোসেন (৩৮) নামে এক যুবককে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে র‌্যাব।
নিহত আশরাফুল সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের চর খাটামারি এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে। আটক মনির হোসেন শহরের বাবু পাড়া এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে।
জানাগেছে, প্রতিনিনের মতো গত ২৫ জুন বাড়ি থেকে অটো নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হয় আশরাফুল। পরিবাবের লোকজন তাকে খুঁজে না পেয়ে পরদিন ২৬ জুন লালমনিরহাট সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন আশরাফুলের পিতা ইয়াকুব আলী। এর ২০ দিন পর গত ১৬ জুলাই ইয়াকুব আলীর ব্যবহৃত (০১৭০৬৬০৮১২৪) নম্বরে অজাত ব্যক্তি (০১৯৪২৩৮৩৭৭০) নম্বর থেকে কল দিয়ে অটো সহ হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে ফেরত দেওয়ার কথা বলে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে শহরে বি ডি আর গেট এলাকায় দেখা করতে বলে। পরে সারাদিন ধার দেনা করে ২ লাখ টাকা জোগাড় করে রাতে দেখা করার জন্য ওই স্থানে এসে ফোন দিলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে আর ওই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবারের লোকজন। পরদিন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিখোঁজ আশরাফুলের পিতা ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে অগ্যাত নামে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৪৯। তারিখ ২৭/৭/২৩ইং।
পরে মামলাটির তদন্তে নামে রংপুর ব্যাব ১৩। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিখোঁজের ৪ মাস ২ দিন পর ঢাকার গাজিপুর চান্দুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে যুবক মনির হোসেনকে সন্দেহভাজন অবস্থায় আটক করে রংপুর র্যাব অফিস নিয়ে আসে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে সে অটো চালক আশরাফুলকে গলা টিপে হত্যা করে মরদেহ মাটি চাপা দিয়ে অটো অন্যত্রে বিক্রি করেছে বলে স্বীকার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে, লালমনিরহাট জেলা পুলিশের সহায়তায় সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ধাইরখাতা এলাকার মোখলেছুর রহমানের বাড়ির একটি খোলা ঘরের মাটির নিচ থেকে অটো চালক আশরাফুলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব।
রংপুর র্যাব ১৩ এর অধিনায়ক আরাফাত ইসলাম জানান, শহরে বাসা বাড়ি থাকা সত্বেয় আটক মনির হোসেন কুলাঘাট ইউনিয়নের ধাইরখাতা এলাকার মোখলেছুর রহমানের বাড়িটি ঘটনার ২০ দিন আগে ভাড়া নেয়। ঘটনার দিন অটোতে সারাদিন ঘুরে অটোসহ চালক আশরাফুলকে সন্ধ্যায় কৌশলে ওই ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখানে মনির হোসেন শ্বাসরোধ করে আশরাফুলকে হত্যা করে মরদেহ মাটিতে পুতে রাখে। ঘটনার ২০ দিন পর ওই বাসা ছেড়ে দিয়ে সে ঢাকায় চলে যায়। মামলার এজাহার মতে তথ্য প্রযুক্তির সাহয্যে তাকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং ঠাকুরগাঁও জেলার রানিশংকর এলাকা থেকে অটোটিও উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত আরো একজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান র্যাবের ওই কর্মকর্তা।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

লালমনিরহাটে নিখোঁজের ৪ মাস পর অটো চালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার আটক-১

আপডেট সময় : ০৮:০৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট।

লালমনিরহাটে নিখোঁজের ৪ মাস পর মাটির নিচ থেকে আশরাফুল ইসলাম (২০) নামে এক অটো চালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে রংপুর ব্যাব-১৩। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ধাইরখাতা এলাকার মোখলেছুর রহমানের বাড়ির একটি খোলা ঘরের মাটির নিচ থেকে অর্ধগলিত ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মনির হোসেন (৩৮) নামে এক যুবককে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে র‌্যাব।
নিহত আশরাফুল সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের চর খাটামারি এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে। আটক মনির হোসেন শহরের বাবু পাড়া এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে।
জানাগেছে, প্রতিনিনের মতো গত ২৫ জুন বাড়ি থেকে অটো নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হয় আশরাফুল। পরিবাবের লোকজন তাকে খুঁজে না পেয়ে পরদিন ২৬ জুন লালমনিরহাট সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন আশরাফুলের পিতা ইয়াকুব আলী। এর ২০ দিন পর গত ১৬ জুলাই ইয়াকুব আলীর ব্যবহৃত (০১৭০৬৬০৮১২৪) নম্বরে অজাত ব্যক্তি (০১৯৪২৩৮৩৭৭০) নম্বর থেকে কল দিয়ে অটো সহ হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে ফেরত দেওয়ার কথা বলে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে শহরে বি ডি আর গেট এলাকায় দেখা করতে বলে। পরে সারাদিন ধার দেনা করে ২ লাখ টাকা জোগাড় করে রাতে দেখা করার জন্য ওই স্থানে এসে ফোন দিলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে আর ওই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবারের লোকজন। পরদিন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিখোঁজ আশরাফুলের পিতা ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে অগ্যাত নামে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৪৯। তারিখ ২৭/৭/২৩ইং।
পরে মামলাটির তদন্তে নামে রংপুর ব্যাব ১৩। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিখোঁজের ৪ মাস ২ দিন পর ঢাকার গাজিপুর চান্দুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে যুবক মনির হোসেনকে সন্দেহভাজন অবস্থায় আটক করে রংপুর র্যাব অফিস নিয়ে আসে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে সে অটো চালক আশরাফুলকে গলা টিপে হত্যা করে মরদেহ মাটি চাপা দিয়ে অটো অন্যত্রে বিক্রি করেছে বলে স্বীকার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে, লালমনিরহাট জেলা পুলিশের সহায়তায় সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ধাইরখাতা এলাকার মোখলেছুর রহমানের বাড়ির একটি খোলা ঘরের মাটির নিচ থেকে অটো চালক আশরাফুলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব।
রংপুর র্যাব ১৩ এর অধিনায়ক আরাফাত ইসলাম জানান, শহরে বাসা বাড়ি থাকা সত্বেয় আটক মনির হোসেন কুলাঘাট ইউনিয়নের ধাইরখাতা এলাকার মোখলেছুর রহমানের বাড়িটি ঘটনার ২০ দিন আগে ভাড়া নেয়। ঘটনার দিন অটোতে সারাদিন ঘুরে অটোসহ চালক আশরাফুলকে সন্ধ্যায় কৌশলে ওই ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখানে মনির হোসেন শ্বাসরোধ করে আশরাফুলকে হত্যা করে মরদেহ মাটিতে পুতে রাখে। ঘটনার ২০ দিন পর ওই বাসা ছেড়ে দিয়ে সে ঢাকায় চলে যায়। মামলার এজাহার মতে তথ্য প্রযুক্তির সাহয্যে তাকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং ঠাকুরগাঁও জেলার রানিশংকর এলাকা থেকে অটোটিও উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত আরো একজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান র্যাবের ওই কর্মকর্তা।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন