০৩:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫

দর্শনায় মিম হত্যা’র আসামী আপন ভাই গ্রেফতার

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:২৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৯০

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মাহমুদ হাসান রনি, চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গা দর্শনার মিম হত্যার চাঞ্চল্যকর রহস্য উদঘাটন হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত আপন ভাই জড়িত ফেসে যাওয়ার ভয়তে সাজানো নাটক। বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সোমবার, ২৩ আক্টোবর বিকাল ৪ টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের প্রকৃত ঘটনার তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আল আজাদ।
শনিবার রাত সাড়ে ৮ টায় দর্শনার মোহাম্মদ পুর মৃত আরমান আলীর কন্যা ও সুরুজ মিয়ার স্ত্রী মিম আক্তার মঞ্জুরা (২৮) কে ঘরে দেখতে না পেয়ে তার শাশুড়ির কাছে জানতে পারে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারীরা তার স্ত্রী মিম ও শ্যালক আলমগীর (৩৮)কে জোরপূর্বক অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী মাঠের দিকে নিয়ে গেছে।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মাঠের মধ্যে থেকে শ্যালক আলমগীরকে হাত-পা বাঁধা মাথায় সামান্য জখম অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে স্ত্রীকে খোজাখুজির একপর্যায়ে পরদিন রবিবার সকাল ৬ টার দিকে বাড়ির সামনে মোমিনের বেগুন ক্ষেতের মধ্যে মিমের গলাকেটে জবাই করা অবস্থায় দেখতে পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বর্ণিত ঘটনার সাথে জড়িত আসামী গ্রেফতারসহ মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখা ও দর্শনা থানাকে নির্দেশনা প্রদান করে।
পুলিশ সুপারের নির্দেশেনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপারেশন) এবং সিনিয়র-সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল)জাকিয়া সুলতানার সহযোগিতায় ফেরদৌস ওয়াহিদ,অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখার নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ বাদী ও আশপাশের লোকজনের বক্তব্য পর্যালোচনা ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্ণিত ঘটনার সাথে জড়িত আসামী মোঃ আলমগীর কবীর(৩২)-কে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আসামী স্বীকার করে যে, মিম আক্তার মঞ্জুরা তার আপন ছোট বোন। বিবাহের পর থেকেই তার স্বামীসহ একত্রে তাদের বাড়ীতে বসবাস করত। মিম তার আপন খালাতো বোনের স্বামীর সাথে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। আলমগীর তাকে পরকিয়া থেকে ফিরে আসতে বারবার সর্তক করে। কিন্তু, সে প্রেমের সম্পর্ক থেকে ফিরে আসতে নারাজ এবং প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনে কথা বলতে থাকে। ফলে আলমগীর রাগের বশবর্তী হয়ে বোন মিম আক্তার মঞ্জুরাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পরে কৌশলে বাড়ীর পার্শ্বে আমবাগানে ডেকে নিয়ে যায় এবং তাকে নিজের ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বেগুন ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধারালো দা দিয়ে গলাকেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
পরবর্তীতে ঘটনা অন্যদিক প্রবাহিত করার জন্য আলমগীর দা দিয়ে নিজের মাথায় তিনটি পোঁচ দেয় এবং আমগাছে থাকা রশি নিয়ে নিজে নিজের হাত-পা বেঁধে চিৎকার করতে থাকে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করলে উক্ত অপহরণের নাটক সাজিয়ে বিভ্রান্ত করে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

দর্শনায় মিম হত্যা’র আসামী আপন ভাই গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৭:২৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মাহমুদ হাসান রনি, চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গা দর্শনার মিম হত্যার চাঞ্চল্যকর রহস্য উদঘাটন হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত আপন ভাই জড়িত ফেসে যাওয়ার ভয়তে সাজানো নাটক। বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সোমবার, ২৩ আক্টোবর বিকাল ৪ টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের প্রকৃত ঘটনার তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আল আজাদ।
শনিবার রাত সাড়ে ৮ টায় দর্শনার মোহাম্মদ পুর মৃত আরমান আলীর কন্যা ও সুরুজ মিয়ার স্ত্রী মিম আক্তার মঞ্জুরা (২৮) কে ঘরে দেখতে না পেয়ে তার শাশুড়ির কাছে জানতে পারে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারীরা তার স্ত্রী মিম ও শ্যালক আলমগীর (৩৮)কে জোরপূর্বক অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী মাঠের দিকে নিয়ে গেছে।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মাঠের মধ্যে থেকে শ্যালক আলমগীরকে হাত-পা বাঁধা মাথায় সামান্য জখম অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে স্ত্রীকে খোজাখুজির একপর্যায়ে পরদিন রবিবার সকাল ৬ টার দিকে বাড়ির সামনে মোমিনের বেগুন ক্ষেতের মধ্যে মিমের গলাকেটে জবাই করা অবস্থায় দেখতে পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বর্ণিত ঘটনার সাথে জড়িত আসামী গ্রেফতারসহ মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখা ও দর্শনা থানাকে নির্দেশনা প্রদান করে।
পুলিশ সুপারের নির্দেশেনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপারেশন) এবং সিনিয়র-সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল)জাকিয়া সুলতানার সহযোগিতায় ফেরদৌস ওয়াহিদ,অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখার নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ বাদী ও আশপাশের লোকজনের বক্তব্য পর্যালোচনা ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্ণিত ঘটনার সাথে জড়িত আসামী মোঃ আলমগীর কবীর(৩২)-কে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আসামী স্বীকার করে যে, মিম আক্তার মঞ্জুরা তার আপন ছোট বোন। বিবাহের পর থেকেই তার স্বামীসহ একত্রে তাদের বাড়ীতে বসবাস করত। মিম তার আপন খালাতো বোনের স্বামীর সাথে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। আলমগীর তাকে পরকিয়া থেকে ফিরে আসতে বারবার সর্তক করে। কিন্তু, সে প্রেমের সম্পর্ক থেকে ফিরে আসতে নারাজ এবং প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনে কথা বলতে থাকে। ফলে আলমগীর রাগের বশবর্তী হয়ে বোন মিম আক্তার মঞ্জুরাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পরে কৌশলে বাড়ীর পার্শ্বে আমবাগানে ডেকে নিয়ে যায় এবং তাকে নিজের ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বেগুন ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধারালো দা দিয়ে গলাকেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
পরবর্তীতে ঘটনা অন্যদিক প্রবাহিত করার জন্য আলমগীর দা দিয়ে নিজের মাথায় তিনটি পোঁচ দেয় এবং আমগাছে থাকা রশি নিয়ে নিজে নিজের হাত-পা বেঁধে চিৎকার করতে থাকে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করলে উক্ত অপহরণের নাটক সাজিয়ে বিভ্রান্ত করে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন