০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫

বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়ে ফিসারী’র লক্ষাধিক টাকার মাছ ভেসে গেছে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:০৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৯৮

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ষ্টাফ রিপোর্টার:

ময়মনসিংহের সদর উপজেলার কুষ্টিয়া ইউনিয়নে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের টানা ভারী বর্ষণে মৎস চাষী মুঞ্জরুল হক মুঞ্জুর প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পানি ভেসে গেছে। এতে ভাঁজ পড়েছে তার কপালে। এছাড়াও ফসলের ক্ষেত ও ফিসারী, বাড়ী-ঘর প্লাবিত হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ভারি বৃষ্টিতে ফসলের ও মাছের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে কুষ্টিয়া ইউনিয়নের শতাধিক পুকুর ও ফিসারির মাছ ভেসে গেছে। অনেকের ফসলি জমিতে এখনো পানি জমে আছে। এতে আমন ধান ও সবজির ফলন বিপর্যয়সহ ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের কপালে।
চাষিরা জানান, আশ্বিন মাসে অত বৃষ্টি তারা আগে কখনও দেখেননি। মূলত আশ্বিন-কার্তিক মাসে বৃষ্টি হলেও তখন ফসলের ততটা ক্ষতি হয় না। কিন্তু এ বার ভারি বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষেতে জল জমে গিয়েছে। ওই জল সরতে বেশ সময় লেগে যাবে বলে মনে করছেন চাষিরা। ফলে নিচু অঞ্চলের আমন ধান ও জমিতে থাকা কাঁচা মরিচ, বেগুন, মূলা, করলা-সহ শীতের আগাম সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
ইউনিয়নের ফিসারী ও খামারি মালিক এডভোকেট মুঞ্জুরুল হক মুঞ্জু জানান, তার বাড়িসহ পুকুর ও ফিসারীসহ মোট ৮ টি জলাশয়ের ৭টি একেবারে তলিয়ে গেছে। আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। চারপাশে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় রান্না করার জন্য চুলাও জ্বলাতে পারছেন না। বোঝার উপায় নাই কোথায় পুকুর, কোথায় ফিসারী, কোথায় মাঠ। এতে তার ৩একর জমিতে করা ফিসারীর ৭টিতে চাষকৃত শিং,টেংড়া,দেশীয় রুই,কাতলা ও মৃগেল,সিলভার কার্প সহ আনুমানিক প্রায় ৫০-৬০ লক্ষ টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। বৃষ্টি কমলেও এখনো সাধারণ মানুষদের মাছ শিকার করতে দেখা যায়।
আরেক মৎস্য চাষি তাজুল ইসলাম জানান, তার প্রায় কয়েকটা পুকুর ও ফিসারীর সব পুকুর ভেসে গেছে।এতে তার ৫-৬লক্ষ টাকার পোনা মাছ ভেসে গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, আমরা মাঠে থেকে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ করছি। তবে চুড়ান্ত ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে আরো সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান-উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যেন ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতির পরিমাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে সরকারি সহযোগিতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়ে ফিসারী’র লক্ষাধিক টাকার মাছ ভেসে গেছে

আপডেট সময় : ০৯:০৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ষ্টাফ রিপোর্টার:

ময়মনসিংহের সদর উপজেলার কুষ্টিয়া ইউনিয়নে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের টানা ভারী বর্ষণে মৎস চাষী মুঞ্জরুল হক মুঞ্জুর প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পানি ভেসে গেছে। এতে ভাঁজ পড়েছে তার কপালে। এছাড়াও ফসলের ক্ষেত ও ফিসারী, বাড়ী-ঘর প্লাবিত হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ভারি বৃষ্টিতে ফসলের ও মাছের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে কুষ্টিয়া ইউনিয়নের শতাধিক পুকুর ও ফিসারির মাছ ভেসে গেছে। অনেকের ফসলি জমিতে এখনো পানি জমে আছে। এতে আমন ধান ও সবজির ফলন বিপর্যয়সহ ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের কপালে।
চাষিরা জানান, আশ্বিন মাসে অত বৃষ্টি তারা আগে কখনও দেখেননি। মূলত আশ্বিন-কার্তিক মাসে বৃষ্টি হলেও তখন ফসলের ততটা ক্ষতি হয় না। কিন্তু এ বার ভারি বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষেতে জল জমে গিয়েছে। ওই জল সরতে বেশ সময় লেগে যাবে বলে মনে করছেন চাষিরা। ফলে নিচু অঞ্চলের আমন ধান ও জমিতে থাকা কাঁচা মরিচ, বেগুন, মূলা, করলা-সহ শীতের আগাম সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
ইউনিয়নের ফিসারী ও খামারি মালিক এডভোকেট মুঞ্জুরুল হক মুঞ্জু জানান, তার বাড়িসহ পুকুর ও ফিসারীসহ মোট ৮ টি জলাশয়ের ৭টি একেবারে তলিয়ে গেছে। আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। চারপাশে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় রান্না করার জন্য চুলাও জ্বলাতে পারছেন না। বোঝার উপায় নাই কোথায় পুকুর, কোথায় ফিসারী, কোথায় মাঠ। এতে তার ৩একর জমিতে করা ফিসারীর ৭টিতে চাষকৃত শিং,টেংড়া,দেশীয় রুই,কাতলা ও মৃগেল,সিলভার কার্প সহ আনুমানিক প্রায় ৫০-৬০ লক্ষ টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। বৃষ্টি কমলেও এখনো সাধারণ মানুষদের মাছ শিকার করতে দেখা যায়।
আরেক মৎস্য চাষি তাজুল ইসলাম জানান, তার প্রায় কয়েকটা পুকুর ও ফিসারীর সব পুকুর ভেসে গেছে।এতে তার ৫-৬লক্ষ টাকার পোনা মাছ ভেসে গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, আমরা মাঠে থেকে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ করছি। তবে চুড়ান্ত ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে আরো সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান-উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যেন ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতির পরিমাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে সরকারি সহযোগিতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন