ডিম চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম,আটক-১
- আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩
- / ৯১
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরশহরের নওহাল এলাকায় মনোহারি দোকান থেকে ডিম চুরির ঘটনায় অভিভাবকের কাছে নালিশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে শাহ আলম (২২) নামের এক বখাটে যুবক রামদা দিয়ে কুপিয়ে ব্যবসায়ীকে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। আজ (৯ অক্টোবর) সোমবার দুপুরে শাহ আলম (২২) নামে ওই বখাটে যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে মোহনগঞ্জ থানা পুলিশ।
এর আগে রবিবার রাত ১০টার দিকে মোহনগঞ্জ পৌরশহরের নওহাল সুইস গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত আসামি শাহ আলম নওহাল গ্রামের মৃত ছদ্দু মিয়ার ছেলে। আহত ব্যবসায়ী মোহন মিয়ার বাড়ি একই গ্রামে। শহরের টেংগাপাড়া এলাকায় সুইস গেট সংলগ্ন মোহন মিয়ার একটি মনোহারি দোকান রয়েছে।
এ ঘটনায় মোহনের স্ত্রীর বড় ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে শাহ আলম, তার মা ললিতা বেগম ও চাচা ফুল মিয়াকে আসামি করে মোহনগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, গত ৩ দিন আগে মোহন মিয়ার দোকান থেকে ডিম চুরি করে শাহ আলম। ডিম চুরির বিষয়টি ব্যবসায়ী মোহন টের পেয়ে, অভিযুক্ত শাহ আলমের পরিবারকে জানায়। এতে শাহ আলাম ক্ষিপ্ত হয়ে গত রবিবার রাত ১০টার দিকে একটি রামদা নিয়ে এসে দোকানের ভেতরে থাকা ব্যবসায়ী মোহনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
এসময়, মোহন নিজেকে বাঁচাতে হাত দিয়ে বাধা দিতে গেলে রামদা’র কুপে তার হাতের দুটি আঙ্গুল কেটে ঝুলে যায়। এছাড়াও তার হাতে-পায়ে ও মাথায় অন্তত (৭-৮)টি কুপ লাগে। চিৎকার চেচামেচি শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে শাহ আলম পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর জখম হওয়া মোহনকে প্রথমে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) পাঠান।
এ ঘটনার সংবাদে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। এদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই অভিযুক্ত শাহ আলমকে আটক করে।
এলাকাবাসী জানায়, শাহ আলম তিন মাস আগে সৌদিআরব যান। সেখান থেকে (১৫-২০) দিন আগে বাড়ি চলে আসেন। এসে বিভিন্ন ধরনের নেশায় জড়িয়ে পড়েন।
নওহাল গ্রামের জসীম আলম জানান, ডিম চুরি করার ঘটনা পরিবারকে জানানোর কারণে মোহনের প্রতি ক্ষিপ্ত হয় শাহ আলম। পরে রাতে দোকানে গিয়ে সে রামদা দিয়ে মোহনকে কোপায়।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর সুমন আহমেদ বলেন, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এর যথাযথ বিচার হোক প্রশাসনের কাছে এটাই আমার দাবি। এমন ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)’র দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া শাহ আলমকে আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অন্য আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।