রামপালে বিএনপি জামায়াতের ১৮ নেতাকর্মীদের নামে মামলা, গ্রেফতার-৭
- আপডেট সময় : ০৯:৫৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩
- / ৮৬
বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের রামপালে নাশতার অভিযোগে বিএনপি জামায়াতের৭ নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৭ অক্টোবর) গ্রেফতাকৃতদের বাগেরহাটের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাতে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে বিএনপি ও জামায়াতের ১৮ জন নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামী করে রামপাল থানায় মামলা দায়ের হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক মেইল বার্তা পাঠিয়েছেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার বাঁশতলী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ফকির আজমল হোসেন, পেড়িখালী ইউনিয়ন যুবদল নেতা শেখ মইন উদ্দিন। গ্রেফতার জামায়াতের নেতাকর্মীরা হলেন, উপজেলার ইসলামাবাদ গ্রামের কুদরতি মাওলানা আলাউদ্দিন, একই গ্রামের মাহ্ফুজুর রহমান, শরাবপুর গ্রামের মওদুদ ও গৌরম্ভার বর্ণিত গ্রামের কাজী হেমায়েত হোসেন ও শ্রীরম্ভা গ্রামের জামাল বয়াতী।
শনিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে ৫টা দিকে গ্রেফতারের নিশ্চিত করেছেন রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম।
মামলায় বিএনপির এজহারভুক্ত আসামীরা হচ্ছেন, উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক শেখ ফিরোজ কবির, স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা আহবায়ক কাজী অজিয়ার রহমান, পেড়িখালী ইউনিয়ন যুবদল নেতা লিটন শেখ, উজলকুড় ইউনিয়ন যুবদল নেতা মুজাহিদ শেখ ও উজলকুড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পল্লব হোসেন রাজু।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, রামপাল থানা পুলিশ অতি উৎসাহিত হয়ে প্রতিদিন বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ীতে হয়রানি মূলক অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশ টার্গেট করেই আমাদের নেতা কর্মীদের মামলা দিচ্ছে। জাতীয় সংসদ নিবার্চন কে সামনে রেখে মাঠ ফাঁকা করতে পুলিশী দমনপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। যাতে করে আগামী নির্বাচনে বিএনপি নেতাকর্মীরা মাঠেই দাড়াতে না পারে। তিনি সকাল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী করেন।
এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি এস, এম আশরাফুল আলম জানান, আসামীরা শুক্রবার রাত সাড়ে ১২ টায় ভরসাপুর এলাকায় নাশতার উদ্দেশ্যে জড় হয়ে দলবদ্ধ হয়েছিল, ওই সময় ৭ জনকে আটক করা হয়, তাদের কাছ থেকে ২ টি অবিস্ফোরিত ককটেল, বিস্ফোরিত ককটেলের ৭ টি জালের কাঠি, ৪ টি টিনের ভাঙ্গা অংশ, ৯ টি লোহার রড ও ১৭ টি বাঁশের লাঠি জব্দ করা হয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।