বাকেরগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী ও সন্তানকে নির্মম নির্যাতন,হত্যার চষ্টা
- আপডেট সময় : ০১:০১:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৭৪
মোঃ রানা সন্যামত, বরিশাল:-
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৬ নং ফরিদপুর ইউনিয়নের মঙ্গলশী গ্রামের মামুন সিকদারের বাড়িতে ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী ও সন্তানকে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী মো. মামুন শিকদারের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় ৮ বছর সংসার জীবনে অনেক নির্যাতন করেছেন। ফুটফুটে দুইটি সন্তান রয়েছে ছেলে আলিফ(১বছর), মেয়ে মিথিলা(৪ বছর) যৌতুকের দাবিতে নিজের সন্তানকে অনেকবার হত্যার চেষ্টা করেছেন। স্ত্রী মোসাঃ শাহনাজ কোন কুল না পেয়ে নিরুপায় হয়ে নানার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে এসে বিভিন্ন ধরনের ভয় ভিত্তি হুমকি প্রদান করে স্ত্রী ও সন্তানকে মারধর শুরু করলে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে শটকে পড়ে কাকরধা ফাঁড়িতে গিয়ে একটি অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুই পক্ষকে ডেকে মীমাংসার করার কথা বলেন।
এ ব্যাপারে শাহনাজ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামী সব সময় মাদক সেবন করে বাসায় এসে আমাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে থাকে এবং তিনি বলেন তোর তো কোন কাবিননামা নেই তোর আবার কিসের সংসার। এই কথা বলে আমাকে অনেক মারধর করে আমার সন্তানকে এলোপাতালি মারধর শুরু করে সইতে না পেরে আমার নানার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি সেখানেও আমাকে বিভিন্ন মানুষ এবং পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে আসছে আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে আমি নাকি স্বামীর সংসার থেকে অনেক কিছু নিয়ে বাপের বাড়িতে এসেছি অথচ আমাকে জোর করে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে রওনা হয়। এই খবর আমার নানা পেয়ে বিষয়টির চেয়ারম্যান কে জানালে তিনি চৌকিদার সহ এলাকার লোকজন নিয়ে শশী থেকে নিয়ে আসে। আমার স্বামী এবং শাশুড়ি আমাকে অনেক জ্বালাতন করে আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যৌতুক ও নির্মম নির্যাতনের বিচার চাই।
অভিযুক্ত মামুন শিকদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্যি নয়। আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঘর সংসার করতে চাই। কিন্তু সে আমার শশুর বাড়ির লোকজনের গান কথা শুনে বাপের বাড়িতে বেশি সময় থাকে আমার স্ত্রীর সন্তানকে আমার কাছে আনার জন্য থানায় গিয়েছিলাম আমার কোন অভিযোগ থানায় নেয়নি আমি বিচার না পেয়ে ঢাকায় চলে এসেছি। কাবিনের এর বিষয়ে জানতে চাইলে, মামুন শিকদার তিনি বলেন আমার ৫০ হাজার টাকার কাবিননামা রয়েছে। আমি ফটোকপি কাকরধা পুলিশ ফাঁড়িতে দিয়েছি।