মোরেলগঞ্জে স্কুল ছাত্রী অপহরনের চেষ্টার অভিযোগ, অভিভাবক মহলে আতঙ্ক
- আপডেট সময় : ০৯:১১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৫৪
বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পল্লীতে প্রাথামিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী অপহরনের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেয়েটির দাবী খুলনা থেকে পালিয়ে আত্মরক্ষা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক মহলে। শিশু শিক্ষার্থী মালা আক্তারের ভাষ্য অনুযায়ী সন্ধেহের তীঁর সংশ্লীষ্ট স্কুলের সহকারী শিক্ষিকার দিকে।
শিশু ছাত্রীর অভিযোগ ৩০৬ নং মধ্য কালিকাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাসুদা আক্তার তাকে একটি ব্যাগ এগিয়ে দেয়ার জন্য বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কালভার্টের কাছে পাঠায়। সেখানে এক অজ্ঞাত লোকের কাছে ব্যাগটি দেওয়ার পর অজ্ঞান হয় শিশুটি। জ্ঞান ফিরলে খুনলা প্রবেশ দ্বারে পেট্রল পাম্পে থামিয়ে থাকা ট্রাকের মধ্যে মূখে টেপ লাগানো অবস্থায় নিজেকে আবিস্কার করে বলে জানায়।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার কালিকাড়ী গ্রামে। জানা যায় মালা আক্তার (১১) ওই গ্রামের মো. সুলতান খানের মেয়ে। সে ৩০৬ নং মধ্য কালিকাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। প্রতি দিনের ন্যায় ওই দিনও মালা বেলা সাড়ে ১১ টায় ক্লাসে আসে। ১২টার দিকে বিদ্যালয়ে ওই শিক্ষিকা শিশুটির পিতা মোঃ সুলতান খানের কাছে ফোন করে বলেন তার কন্যাকে স্কুলে পাওয়া যাচ্ছে না। তাৎক্ষনিক শিশুটির অভিভাবকগন বিভিন্ন স্থানে মেয়েকে খুঁজতে থাকে।
এরই মধ্যে ওই দিন সন্ধায় শিশুটিকে খুলনায় পেয়ে তার এক নিকটাত্মীয় রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়িতে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরের দিন সোমবার সকালে ঘটনাস্থল ছুটে যান সংশ্লীষ্ট ক্লাষ্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসার রিপন চন্দ্র মন্ডল, তার সাথে ছিলেন সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. রায়হান হোসেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষিকা মাসুদা আক্তার বলেন ওই দিন মালা স্কুলে আসছে কি না, আমি দেখিনি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলরুবা আক্তার বলেন মেয়েটি ওই দিন স্কুলে আসছে কি না আমি দেখেনি। তবে ঘটনায় বিদ্যালয়ের কেহ জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক, অথবা কেহ ষড়যন্ত্র করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাই।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন ২ জন সহকারী শিক্ষা অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা সারাদিন ঘটনাস্থলে ছিলেন, তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয় জানতে চাইলে মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান জানান বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে, অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ দাখিলের খবর পাওয়া যায়নি।