০৬:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে সানকিপাড়া সরকারী বিদ্যালয়ের পাঠদান

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:২২:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৯৫

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ষ্টাফ রিপোর্টার:

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকার সানকিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভবনের ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে শ্রেণিকক্ষে। পলেস্তারার টুকরোও ঝরে পড়ছে। অনেক স্থানে ধরেছে ফাটল। যা যেকোন সময় ভেঙে পড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বড় ধরণের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তিন তলা বিশিষ্ট স্কুলের এই ভবনের ৬টি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে একটিতে শ্রেণির কার্যক্রম চলে। একটি কক্ষ অফিস হিসেবে ব্যবহার হয়। পুরো ভবনটাই ঝুঁকিপূর্ণ। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন জেনেও এটা ব্যবহার হচ্ছে।
স্কুল সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ নগরীতে অবস্থিত সানকিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েটি ১৯৪৩সালে ১৬.০৫শতাংশ জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৬ সালে বিদ্যালয়ের জন্য ছয় কক্ষবিশিষ্ট তিনতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। আনুমানিক ১৯৪৭ সালের দিকে বিদ্যালয়টি সরকারি হয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫’শত। শিক্ষক রয়েছেন দশজন।
ময়মনসিংহের প্রধান নগরীর ভেতরে অবস্থিত এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুনগত মান ভালো,রয়েছে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী। তবে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করলেই দেখা যায় বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে আস্তর উঠে যাচ্ছে। শহরের ভিতরে হওয়ায় বিদ্যালয়ে মাঠে খুব বেশী জায়গা না থাকায় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে সমস্যা হয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ের ভবনটি পুরোনো হয়ে পড়েছে। স্কুল খোলা থাকা অবস্থায় শ্রেণিকক্ষে ছাদ থেকে সিমেন্ট ওঠে শরীরের ওপর পড়ছে অনেক সময়। এই ঝুঁকি নিয়ে ক্লাশ করতেও ভয় হয় সবার। এই স্কুলে নতুন একটা ভবন প্রয়োজন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, বিদ্যালয় ভবনের অবস্থা তেমন ভালো না। সিমেন্ট উঠে যাচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ভবনটি। একটা নতুন ভবনের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। একটা ভবন খুবই দরকার। বিদ্যালয়ের বাথরুমের অবস্থাও বেহাল, যা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে। বিদ্যালয়ের সামনে দিয়েই অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে, যা ছোট শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন জানান, বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম স্যার নিজেও পরিদর্শন করেছেন। অচিরেই ভবনটিকে পরিত্যক্ত করা হবে,আর নতুন ভবনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে সানকিপাড়া সরকারী বিদ্যালয়ের পাঠদান

আপডেট সময় : ০৯:২২:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ষ্টাফ রিপোর্টার:

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকার সানকিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভবনের ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে শ্রেণিকক্ষে। পলেস্তারার টুকরোও ঝরে পড়ছে। অনেক স্থানে ধরেছে ফাটল। যা যেকোন সময় ভেঙে পড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বড় ধরণের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তিন তলা বিশিষ্ট স্কুলের এই ভবনের ৬টি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে একটিতে শ্রেণির কার্যক্রম চলে। একটি কক্ষ অফিস হিসেবে ব্যবহার হয়। পুরো ভবনটাই ঝুঁকিপূর্ণ। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন জেনেও এটা ব্যবহার হচ্ছে।
স্কুল সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ নগরীতে অবস্থিত সানকিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েটি ১৯৪৩সালে ১৬.০৫শতাংশ জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৬ সালে বিদ্যালয়ের জন্য ছয় কক্ষবিশিষ্ট তিনতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। আনুমানিক ১৯৪৭ সালের দিকে বিদ্যালয়টি সরকারি হয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫’শত। শিক্ষক রয়েছেন দশজন।
ময়মনসিংহের প্রধান নগরীর ভেতরে অবস্থিত এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুনগত মান ভালো,রয়েছে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী। তবে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করলেই দেখা যায় বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে আস্তর উঠে যাচ্ছে। শহরের ভিতরে হওয়ায় বিদ্যালয়ে মাঠে খুব বেশী জায়গা না থাকায় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে সমস্যা হয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ের ভবনটি পুরোনো হয়ে পড়েছে। স্কুল খোলা থাকা অবস্থায় শ্রেণিকক্ষে ছাদ থেকে সিমেন্ট ওঠে শরীরের ওপর পড়ছে অনেক সময়। এই ঝুঁকি নিয়ে ক্লাশ করতেও ভয় হয় সবার। এই স্কুলে নতুন একটা ভবন প্রয়োজন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, বিদ্যালয় ভবনের অবস্থা তেমন ভালো না। সিমেন্ট উঠে যাচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ভবনটি। একটা নতুন ভবনের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। একটা ভবন খুবই দরকার। বিদ্যালয়ের বাথরুমের অবস্থাও বেহাল, যা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে। বিদ্যালয়ের সামনে দিয়েই অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে, যা ছোট শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন জানান, বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম স্যার নিজেও পরিদর্শন করেছেন। অচিরেই ভবনটিকে পরিত্যক্ত করা হবে,আর নতুন ভবনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন