জমি নিয়ে বিরোধের জেরে, রোপণ করা ধান ক্ষেত নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ
- আপডেট সময় : ০৬:৫৫:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৫৬
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:
নেত্রকোনা সদর উপজেলাধীন ঠাকুরাকোনায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে জমিতে রোপণ করা আমন ধানের চারা নষ্ট করা অভিযোগ উঠেছে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত আতিকুর রহমান ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী আনোয়ারা বেগম রবিবার জেলা প্রেস ক্লাবে এসে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। এ ঘটনায় তিনি গত ৩ সেপ্টেম্বর তিনি পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা মৌজায় (২২.৫) শতক ফসলি জমি নিয়ে হবিবপুর এলাকার মৃত আক্বাস আলীর দুই ছেলে আশিক মিয়া, হৃদয় মিয়া এবং মেয়ে আফরোজা আক্তারদের সঙ্গে মো. শাহজাহান মিয়াদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ফসলি জমিটি বর্তমানে শাহজাহানের দখলে আছে। সম্প্রতি শাহজাহানের দখলে থাকা জমিটিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়। কিন্তু তাদের প্রতিপক্ষের লোকজন জায়গাটি দখলে নিতে গত ৩০ আগস্ট ট্রাক্টর দিয়ে রোপণ করা ধান ক্ষেত নষ্ট করে ফেলে। এতে শাহজাহানের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও তার ছেলের বউ রুনা আক্তার বাধা দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের মারধর করেন। এ নিয়ে আনোয়ারা বেগম জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত আফরোজা বেগমের স্বামী আতিকুর রহমান ও তার দুই ছেলেকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগকারী আনোয়ারা দাবি করেন, সাফ কবলা দলিলমুলে এই জমির মালিকানা প্রাপ্ত হন তিনি। জমিটি দখলে নিতে প্রতিপক্ষের লোকজন জমিতে রোপণ করা ধানের চারা নষ্ট করাসহ আমাকে ও আমার পুত্রবধূকে মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিপক্ষ আতিকুর রহমান পুলিশ সুপার কার্যালয়ের চাকরি করেন বলে প্রভাব খাটিয়ে তারা এসব কাজ করে যাচ্ছেন। অভিযুক্ত আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে তার ছেলেসহ অনেকই এ কাজে জড়িত। আমি গত ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাইনি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আতিকুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার শ্বশুর বাড়িতে শ্বশুরের জমি নিয়ে ঝামেলা চলছে। প্রতিপক্ষের লোকজনও আমাদের আত্মীয়। কয়েকবার স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে অন্যায়ভাবে দোষারোপ করে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
নেত্রকোনার পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।