সিদ্ধিরগঞ্জে আবাসিক এলাকায় অনুমতি ছাড়া পাথর ভাঙ্গার কার্যক্রম, জনভোগান্তি
- আপডেট সময় : ০৫:২৭:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১০৬
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আবাসিক এলাকায় চালানো হচ্ছে অনুমোদোনহীন পাথর ভাঙ্গনের কাজ। যার ফলে জনজীবনের ভোগান্তি চরমে রুপ নিয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলরের হাতে লিখিত অভিযোগ দিলেও বন্ধ হয়নি কার্যক্রম। মিজমিজি বাতানপাড়া আবাসিক এলাকায় বেশ কয়েকদিন যাবত অবাধে চালানো হচ্ছে অনুমতি ছাড়া পাথর ভাঙ্গনের কার্যক্রম। এতে ওই এলাকার বসবাসরত বাসিন্দাদের নাজেহাল অবস্থায় পরিনত হয়েছে। দিবারাত্রি ভেকু ও পাথরের আওয়াজে ভোগান্তিতে রয়েছে অসংখ্য পরিবার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গিয়েছে, মিজমিজি বাতানপাড়া মুনমুন স্কুলের অপর পাশের একটি বড় খালি জায়গাজুড়ে রাখা হয়েছে বড় বড় পাথর। জানা যায়, ফেরদৌস নামক এক ব্যক্তির তত্বাবধানে এসব পাথর ভেঙে বের করা হয় রড এবং ছোট ছোট পাথর। যার শব্দে বাড়িঘরে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে আশপাশের বাসিন্দাদের। এদিকে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাঘাত ঘটছে বলে দাবি অভিবাসীদের।
ওই এলাকার বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে, স্থানীয় শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতার এক নাতির শেল্টারে অনুমতি ছাড়াই এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। যার ফলে কোনো বাঁধার সম্মুখীন হতে হয় না তাদের।
সেখানকার বাসিন্দা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে পারেন না তারা। ভেকু ও পথরের বিকট শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়ারা অভিযোগ করছে এভাবে চললে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। রাতের তিন-চারটা পর্যন্ত এ কাজ চলানো হয়।
ওই এলাকার এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী বলেন, বর্তমানে তাদের পরিক্ষা চলছে। পরিক্ষার জন্যে পড়তে বসতে চাইলেও বিকট শব্দের কারণে পড়তে পারেন না ওই শিক্ষার্থী। তাই তার বাবাসহ কয়েকজন স্থানীয় কাউন্সিলের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
পাথর ভাঙ্গার কার্যক্রম চালানো বিষয়ে ফেরদৌসের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ সব জায়গায় জানিয়ে চালু করেছি। তবে এলাকার যেহেতু সমস্যা হচ্ছে এটা সরিয়ে ফেলবো এক সপ্তাহের মধ্যে।
এ বিষয়ে (নাসিক) ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম বলেন, পাথর ভাঙ্গনের কাজ চলায় এলাকাবাসীর অনেক সমস্যা হচ্ছে বলে আমাকে জানিয়েছে। প্রচন্ড শব্দদূষণে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়াশোনাও করতে পারছে না। এদিকে পথর আনা-নেওয়ার জন্য অনেক বড় বড় গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে সড়ক দিয়ে। এতে আমার পাগলাবাড়ির সড়কের বিরাট ক্ষতি হইতেছে। ওই সড়কটি নিচু ছিলো যার কারণে আমি অনেক টাকা খরচ করে দুই ফুট উঁচু করেছি। কিন্তু এখন তাদের ভারী গাড়ির জন্যে সড়কের সমস্যা দেখা দিতেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, গতকাল আমাকে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিষয়টি জানিয়েছেন। যারা এ কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।