১২:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বাবুগঞ্জে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৪:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোঃ রানা সন্যামত, বরিশাল ব্যুরো:

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর-চাঁদপাশা ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক আড়িয়াল খাঁ নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ। হঠাৎ করে ইটের সলিংসড়ক বিলীন হয়ে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুই ইউনিয়নের এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকালে ৫০০ গজ এলাকা জুড়ে সড়কে ফাটল দেখা যায়।
শনিবার সকালের দিকে মীরগঞ্জ বাজার সংলগ্ন খানকায়ে সুলতানিয়া নামক মসজিদ সংলগ্ন ৫০০ গজ এলাকাজুড়ে ইটের সলিং সড়ক নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে রহমতপুর ইউনিয়নের সাথে চাঁদপাশা ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সড়কটি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ইঞ্জিন চালিত নৌকায় পারাপার হচ্ছেন। অপরদিকে আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙনে রহমতপুর ইউনিয়নের সিংহেরকাঠী, ছোট মীরগঞ্জ ও লোহালিয়া গ্রামের নদীর তীরবর্তি এলাকায় প্রবল আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে এবং ক্ষুদ্রকাঠী এলাকার বটতলা বরিশাল-মীরগঞ্জ পাকা সড়ক ভাঙনে হুমকির মূখে রয়েছে। এছাড়াও চাঁদপাশা ইউনিয়নেকালিকাপুর ও ভবানিপুর গ্রামসহ ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে।
সোমবার বিকালে বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম মীরগঞ্জ,রফিয়াদী,ক্ষুদ্রকাঠী এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, বাবুগঞ্জ উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদীতে ভেঙে যাওয়া দুই ইউনিয়নের সাথে সংযোগ সড়ক মেরামতের আশ্বাস দেন। তিনি আরো বলেন বাবুগঞ্জ উপজেলায় ভাঙন প্রবল আকার প্রতিরোধে পানি প্রতিমন্ত্রীকে বিষয়টি অবহিত করবেন। এ সময় জেলা প্রশাসকের সাথে উপস্থিত ছিলেন, এডিসি রেভিনিউ মোঃ রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী অফিসার শাকিলা রহমান, রহমতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মৃধা মু. আক্তার-উজ-জামান মিলন,ইউপি সদস্য জামাল হোসেন, মোঃ ওবায়দুলসহ এলাকাবাসী।
গত শনিবার দুই ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক নদীর গর্ভে বিলীন এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা রহমান বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমান শুভ, এসও মোঃ রাশেদুল ইসলামকে নিয়ে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান শুভ বলেন, আমি জনর্দূভোগ নিজের চোখে দেখেছি। ভাঙন কবলিত এলাকায় সরকারি খাস জমি না থাকাতে স্থানীয়রা যদি জমি দিয়ে সহযোগীতা করেন তা হলে অতি দ্রুত বিকল্প সড়ক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

বাবুগঞ্জে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

আপডেট সময় : ০৫:৪৪:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোঃ রানা সন্যামত, বরিশাল ব্যুরো:

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর-চাঁদপাশা ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক আড়িয়াল খাঁ নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ। হঠাৎ করে ইটের সলিংসড়ক বিলীন হয়ে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুই ইউনিয়নের এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকালে ৫০০ গজ এলাকা জুড়ে সড়কে ফাটল দেখা যায়।
শনিবার সকালের দিকে মীরগঞ্জ বাজার সংলগ্ন খানকায়ে সুলতানিয়া নামক মসজিদ সংলগ্ন ৫০০ গজ এলাকাজুড়ে ইটের সলিং সড়ক নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে রহমতপুর ইউনিয়নের সাথে চাঁদপাশা ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সড়কটি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ইঞ্জিন চালিত নৌকায় পারাপার হচ্ছেন। অপরদিকে আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙনে রহমতপুর ইউনিয়নের সিংহেরকাঠী, ছোট মীরগঞ্জ ও লোহালিয়া গ্রামের নদীর তীরবর্তি এলাকায় প্রবল আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে এবং ক্ষুদ্রকাঠী এলাকার বটতলা বরিশাল-মীরগঞ্জ পাকা সড়ক ভাঙনে হুমকির মূখে রয়েছে। এছাড়াও চাঁদপাশা ইউনিয়নেকালিকাপুর ও ভবানিপুর গ্রামসহ ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে।
সোমবার বিকালে বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম মীরগঞ্জ,রফিয়াদী,ক্ষুদ্রকাঠী এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, বাবুগঞ্জ উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদীতে ভেঙে যাওয়া দুই ইউনিয়নের সাথে সংযোগ সড়ক মেরামতের আশ্বাস দেন। তিনি আরো বলেন বাবুগঞ্জ উপজেলায় ভাঙন প্রবল আকার প্রতিরোধে পানি প্রতিমন্ত্রীকে বিষয়টি অবহিত করবেন। এ সময় জেলা প্রশাসকের সাথে উপস্থিত ছিলেন, এডিসি রেভিনিউ মোঃ রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী অফিসার শাকিলা রহমান, রহমতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মৃধা মু. আক্তার-উজ-জামান মিলন,ইউপি সদস্য জামাল হোসেন, মোঃ ওবায়দুলসহ এলাকাবাসী।
গত শনিবার দুই ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক নদীর গর্ভে বিলীন এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা রহমান বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমান শুভ, এসও মোঃ রাশেদুল ইসলামকে নিয়ে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান শুভ বলেন, আমি জনর্দূভোগ নিজের চোখে দেখেছি। ভাঙন কবলিত এলাকায় সরকারি খাস জমি না থাকাতে স্থানীয়রা যদি জমি দিয়ে সহযোগীতা করেন তা হলে অতি দ্রুত বিকল্প সড়ক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন