০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বরিশালে সাংবাদিকের উপর চিকিৎসকদের হামলা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১১৮

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোঃ রানা সন্যামত, বরিশাল ব্যুরো:

বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চিকিৎসকদের হামলার শিকার হয়েছেন ৭ সাংবাদিক। শনিবার, ২৬আগষ্ট সকালে মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশারের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় শিক্ষক ডা. পবিত্র ও মাসুম বিল্লাহ অংশ নেন। এসময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা এবং ট্রাইপট ভাঙচুর করে তাঁরা। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পরে সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
যদিও দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন অধ্যক্ষ ফয়জুল বাসারসহ অভিযুক্ত চিকিৎসকরা।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ব্যুরো চীফ কাওসার হোসেন রানা, এশিয়ান টিভির ব্যুরো চীফ ফিরোজ মোস্তফা, সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার শাকিল মাহমুদ, চিত্র সাংবাদিক সুমন হাসান, আমিন ও আজিম শরিফ।
হামলার শিকার সাংবাদিক কাওসার হোসেন রানা বলেন, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী র‌্যাগিং শিকার হন গত বৃহস্পতিবার। মেডিকেলের ৫ম ব্যাচের নিলামা হোসেন জুই ও তার সঙ্গীর্যাাগিং করে। এর বিচার চাইতে ঐ ছাত্রী ও তার মা শনিবার সকালে কলেজ অধ্যক্ষের কাছে যান। খবর পেয়ে মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তথ্য সংগ্রহে যান বরিশালে কর্মরত সাংবাদিকরা। ভুক্তভোগী ছাত্রীর বক্তব্য সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরায় হঠাৎ-ই সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেন কলেজ অধ্যক্ষ ফয়জুল বাসার ও তার সহযোগীরা। এমনকি সাংবাদিকদের রুম থেকে বের করে দিয়ে ঐ ছাত্রী ও তার পরিবারকে আটকে রাখে কলেজ অধ্যক্ষ।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা জানান, অধ্যক্ষ ও তার সহযোগীরা সাংবাদিকদের গেট আটকে দিয়ে চর থাপ্পর এবং পরে চেয়ার দিয়ে পেটাতে থাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার ও তার সহযোগীরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশ এসে গেট খোলে দুপুর ১ টার দিকে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে। এসময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার চান সাংবাদিক নেতারা। এদিকে, দুপুর সোয়া ২টার দিকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন অধ্যক্ষ ফয়জুল বাসার।
তিনি বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে সে জন্য আমি সবার পক্ষ থেকে ক্ষমা চাচ্ছি। তাছাড়া র‌্যাগীংয়ের যে ঘটনা ঘটেছে সেজন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন জানান, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় অধ্যক্ষ প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। আমরা সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিষয়টি মিমাংশা হয়েছে।
অন্যদিকে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছন শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি, বরিশাল নিউজ এডিটরস কাউন্সিল, বরিশাল তরুণ সাংবাদিক ফোরাম, বরিশাল অনলাইন প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

বরিশালে সাংবাদিকের উপর চিকিৎসকদের হামলা

আপডেট সময় : ০৯:০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোঃ রানা সন্যামত, বরিশাল ব্যুরো:

বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চিকিৎসকদের হামলার শিকার হয়েছেন ৭ সাংবাদিক। শনিবার, ২৬আগষ্ট সকালে মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশারের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় শিক্ষক ডা. পবিত্র ও মাসুম বিল্লাহ অংশ নেন। এসময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা এবং ট্রাইপট ভাঙচুর করে তাঁরা। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পরে সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
যদিও দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন অধ্যক্ষ ফয়জুল বাসারসহ অভিযুক্ত চিকিৎসকরা।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ব্যুরো চীফ কাওসার হোসেন রানা, এশিয়ান টিভির ব্যুরো চীফ ফিরোজ মোস্তফা, সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার শাকিল মাহমুদ, চিত্র সাংবাদিক সুমন হাসান, আমিন ও আজিম শরিফ।
হামলার শিকার সাংবাদিক কাওসার হোসেন রানা বলেন, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী র‌্যাগিং শিকার হন গত বৃহস্পতিবার। মেডিকেলের ৫ম ব্যাচের নিলামা হোসেন জুই ও তার সঙ্গীর্যাাগিং করে। এর বিচার চাইতে ঐ ছাত্রী ও তার মা শনিবার সকালে কলেজ অধ্যক্ষের কাছে যান। খবর পেয়ে মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তথ্য সংগ্রহে যান বরিশালে কর্মরত সাংবাদিকরা। ভুক্তভোগী ছাত্রীর বক্তব্য সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরায় হঠাৎ-ই সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেন কলেজ অধ্যক্ষ ফয়জুল বাসার ও তার সহযোগীরা। এমনকি সাংবাদিকদের রুম থেকে বের করে দিয়ে ঐ ছাত্রী ও তার পরিবারকে আটকে রাখে কলেজ অধ্যক্ষ।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা জানান, অধ্যক্ষ ও তার সহযোগীরা সাংবাদিকদের গেট আটকে দিয়ে চর থাপ্পর এবং পরে চেয়ার দিয়ে পেটাতে থাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার ও তার সহযোগীরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশ এসে গেট খোলে দুপুর ১ টার দিকে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে। এসময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার চান সাংবাদিক নেতারা। এদিকে, দুপুর সোয়া ২টার দিকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন অধ্যক্ষ ফয়জুল বাসার।
তিনি বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে সে জন্য আমি সবার পক্ষ থেকে ক্ষমা চাচ্ছি। তাছাড়া র‌্যাগীংয়ের যে ঘটনা ঘটেছে সেজন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন জানান, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় অধ্যক্ষ প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। আমরা সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিষয়টি মিমাংশা হয়েছে।
অন্যদিকে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছন শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি, বরিশাল নিউজ এডিটরস কাউন্সিল, বরিশাল তরুণ সাংবাদিক ফোরাম, বরিশাল অনলাইন প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন