০৭:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫

শতাধিক মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ, রাস্তা উম্মুক্ত করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ উপেক্ষিত

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:০১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৬০

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোজাম্মেল হক লিটন:

চাটখিল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বারেক হাওলাদার বাড়ির ২০ পরিবারের শতাধিক মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়া সেই আওয়ামীলীগ নেতা ও বিআরডিবি’র সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মেদ হোসেন সোহাগকে একদিনের মধ্যে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা উম্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্দেশ দেন।
চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়ার ঐ নির্দেশ-৩দিনে বাস্তবায়ন হয়নি।
জানা যায়, ঐ বাড়ির লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে ও অভিযুক্ত সোহাগের খরিদীয় ভূমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে সোহাগ কে ঐদিন জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা উম্মুক্ত করে দিতে একদিনের সময় দিয়ে নির্দেশ প্রদান করা হয়। ঐ নির্দেশ গত ৩দিনেও বাস্তবায়ন করেনি আহম্মেদ হোসেন সোহাগ।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আহমেদ হোসেন সোহাগ নির্বাহী ম্যাজিট্রেটের নির্দেশ পাওয়ার পর কাঁটাতার দিয়ে দেওয়া বেড়ার একটি অংশ কেটে দিলেও পুরো বেড়া ও সিমেন্টের খুঁটি বিদ্যামান রয়েছে। এসময় স্থানীয়রা জানান, সোহাগ রেকর্ডভুক্ত ৪০৩ নং দাগে জমি কিনে ঐ দাগের উপর বিল্ডিং নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। কিন্তু সোহাগ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ৪০২ নং দাগের রাস্তায় ৩ বছর আগে বেড়া দিয়ে নিজের জায়গা দাবি করে রাস্তা বন্ধ করে ঐ বাড়ির এক প্রবাসী থেকে ৮ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে। এবারও সে চাঁদা নেওয়ার উদ্দেশ্যে বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে ৮লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি প্রমানিত হয়েছে। বাড়ির সামনে সরকারি গভীর নলকূপ (টিউবওয়েল) পানি প্রাণ করতে ও বাড়ির লোকজনকে বাঁধা দিয়ে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আহমেদ হোসেন সোহাগ বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে বিআরডিবি’র ১ কোটি ৫লাখ টালা আত্মসাৎ করায় দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ঐ মামলায় সে গ্রেফতার হয়ে ৩মাস কারাগারে থেকে জামিনে মুক্ত হয়। মামলাটি নোয়াখালীর আদালতে চলমান রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ থাকলেও সোহাগ ক্ষমতাশালী দলের নেতা হওয়ায় ভ্ক্তুভোগীরা অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছে না।
এব্যাপারে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া’র সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, নির্দেশ পালন না করায় সোহাগের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

শতাধিক মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ, রাস্তা উম্মুক্ত করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ উপেক্ষিত

আপডেট সময় : ০৮:০১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোজাম্মেল হক লিটন:

চাটখিল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বারেক হাওলাদার বাড়ির ২০ পরিবারের শতাধিক মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়া সেই আওয়ামীলীগ নেতা ও বিআরডিবি’র সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মেদ হোসেন সোহাগকে একদিনের মধ্যে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা উম্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্দেশ দেন।
চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়ার ঐ নির্দেশ-৩দিনে বাস্তবায়ন হয়নি।
জানা যায়, ঐ বাড়ির লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে ও অভিযুক্ত সোহাগের খরিদীয় ভূমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে সোহাগ কে ঐদিন জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা উম্মুক্ত করে দিতে একদিনের সময় দিয়ে নির্দেশ প্রদান করা হয়। ঐ নির্দেশ গত ৩দিনেও বাস্তবায়ন করেনি আহম্মেদ হোসেন সোহাগ।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আহমেদ হোসেন সোহাগ নির্বাহী ম্যাজিট্রেটের নির্দেশ পাওয়ার পর কাঁটাতার দিয়ে দেওয়া বেড়ার একটি অংশ কেটে দিলেও পুরো বেড়া ও সিমেন্টের খুঁটি বিদ্যামান রয়েছে। এসময় স্থানীয়রা জানান, সোহাগ রেকর্ডভুক্ত ৪০৩ নং দাগে জমি কিনে ঐ দাগের উপর বিল্ডিং নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। কিন্তু সোহাগ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ৪০২ নং দাগের রাস্তায় ৩ বছর আগে বেড়া দিয়ে নিজের জায়গা দাবি করে রাস্তা বন্ধ করে ঐ বাড়ির এক প্রবাসী থেকে ৮ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে। এবারও সে চাঁদা নেওয়ার উদ্দেশ্যে বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে ৮লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি প্রমানিত হয়েছে। বাড়ির সামনে সরকারি গভীর নলকূপ (টিউবওয়েল) পানি প্রাণ করতে ও বাড়ির লোকজনকে বাঁধা দিয়ে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আহমেদ হোসেন সোহাগ বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে বিআরডিবি’র ১ কোটি ৫লাখ টালা আত্মসাৎ করায় দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ঐ মামলায় সে গ্রেফতার হয়ে ৩মাস কারাগারে থেকে জামিনে মুক্ত হয়। মামলাটি নোয়াখালীর আদালতে চলমান রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ থাকলেও সোহাগ ক্ষমতাশালী দলের নেতা হওয়ায় ভ্ক্তুভোগীরা অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছে না।
এব্যাপারে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া’র সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, নির্দেশ পালন না করায় সোহাগের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন