০৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

পিরোজপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকের বদলি প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৩:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৫৩

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোঃ রানা সন্যামত বরিশাল:

পিরোজপুরের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। খেলার ভক্তরাতো খুশিতে পাগল! বাজির কৌশল ঢাকাতে আবিষ্কৃত হয়েছে। রোববার (২০ আগস্ট) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জেলা ইমাম সমিতি ও মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষার শিক্ষক শিক্ষিকার ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব মো. মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আদেশে জেলার উপ-পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরের বদলির আদেশ করা হয়। এতে তাকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ইসলামিক মিশনে প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে যোগদানের আদেশ করা হয়। এর আগে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকের দায়িত্বে থাকাকালে তার বিরুদ্ধে দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের কর্তৃক বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়।
দায়ের হওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তিনি গত ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত দারুল আরকামের শিক্ষকদের নিয়োগ পুনঃবহালের সাক্ষাৎকার গ্রহণে নিয়োগ বোর্ডের জন্য সরকারিভাবে খরচের বরাদ্দ থাকলেও প্রতি শিক্ষকের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা করে উৎকোচ নেন।
ওই সব শিক্ষকদের বকেয়া বেতন পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি শিক্ষকদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকার অগ্রিম চেক নেন। যা গত ২০ জুন তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আসা বকেয়া বেতন-ভাতার টাকা থেকে তিনি উত্তোলন করেন।
এছাড়া শিক্ষকদের দুই দিনের প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দকৃত ১৪৫০ টাকা থাকলেও তাদের ৬৫০ টাকা করে দিয়ে পুরো ভাতার টাকা গ্রহণ হিসেবে স্বাক্ষর নেন। জেলার ১৪টি মাদরাসা সংস্কার ও বিবিধ খাতে ব্যয়ের জন্য প্রতি মাদরাসার জন্য আসা ৩৪ হাজার ৩৩৯ টাকা বরাদ্দ থাকলেও পুরো টাকার স্বাক্ষর রেখে ২৪ হাজার ৪শ টাকা করে দেন। পরে ওই টাকা থেকেও আবার ব্যক্তিগত খরচ দেখিয়ে প্রতি মাদরাসা থেকে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা করে রেখে দেন।
অভিযোগকারী শিক্ষকরা জানান, তার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগের বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি অন্যান্য শিক্ষকদের ডেকে তাদের চাপ দিয়ে তার পক্ষে সাফাই গেয়ে মহা-পরিচালকের বরাবরে আবেদনপত্রে গত ১৪ আগস্ট স্বাক্ষর গ্রহণ করেন। আর ওই সব কাজে সহযোগী হিসেবে সনদ জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত জেলার নেছারাবাদ উপজেলার নুরুল হুদা নামে এক শিক্ষকসহ দুই শিক্ষককে ব্যবহার করছেন।
আরও জানান, তার বদলির আদেশ ঠেকাতে শাসক দলের প্রভাবশালীদের কাছে ঘুরছেন। তাদের পরামর্শে শিক্ষকদের চাপ দিয়ে ওই মানববন্ধনে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, এর আগে তিনি ভোলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকের দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

পিরোজপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকের বদলি প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৮:৪৩:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোঃ রানা সন্যামত বরিশাল:

পিরোজপুরের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। খেলার ভক্তরাতো খুশিতে পাগল! বাজির কৌশল ঢাকাতে আবিষ্কৃত হয়েছে। রোববার (২০ আগস্ট) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জেলা ইমাম সমিতি ও মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষার শিক্ষক শিক্ষিকার ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব মো. মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আদেশে জেলার উপ-পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরের বদলির আদেশ করা হয়। এতে তাকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ইসলামিক মিশনে প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে যোগদানের আদেশ করা হয়। এর আগে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকের দায়িত্বে থাকাকালে তার বিরুদ্ধে দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের কর্তৃক বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়।
দায়ের হওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তিনি গত ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত দারুল আরকামের শিক্ষকদের নিয়োগ পুনঃবহালের সাক্ষাৎকার গ্রহণে নিয়োগ বোর্ডের জন্য সরকারিভাবে খরচের বরাদ্দ থাকলেও প্রতি শিক্ষকের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা করে উৎকোচ নেন।
ওই সব শিক্ষকদের বকেয়া বেতন পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি শিক্ষকদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকার অগ্রিম চেক নেন। যা গত ২০ জুন তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আসা বকেয়া বেতন-ভাতার টাকা থেকে তিনি উত্তোলন করেন।
এছাড়া শিক্ষকদের দুই দিনের প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দকৃত ১৪৫০ টাকা থাকলেও তাদের ৬৫০ টাকা করে দিয়ে পুরো ভাতার টাকা গ্রহণ হিসেবে স্বাক্ষর নেন। জেলার ১৪টি মাদরাসা সংস্কার ও বিবিধ খাতে ব্যয়ের জন্য প্রতি মাদরাসার জন্য আসা ৩৪ হাজার ৩৩৯ টাকা বরাদ্দ থাকলেও পুরো টাকার স্বাক্ষর রেখে ২৪ হাজার ৪শ টাকা করে দেন। পরে ওই টাকা থেকেও আবার ব্যক্তিগত খরচ দেখিয়ে প্রতি মাদরাসা থেকে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা করে রেখে দেন।
অভিযোগকারী শিক্ষকরা জানান, তার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগের বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি অন্যান্য শিক্ষকদের ডেকে তাদের চাপ দিয়ে তার পক্ষে সাফাই গেয়ে মহা-পরিচালকের বরাবরে আবেদনপত্রে গত ১৪ আগস্ট স্বাক্ষর গ্রহণ করেন। আর ওই সব কাজে সহযোগী হিসেবে সনদ জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত জেলার নেছারাবাদ উপজেলার নুরুল হুদা নামে এক শিক্ষকসহ দুই শিক্ষককে ব্যবহার করছেন।
আরও জানান, তার বদলির আদেশ ঠেকাতে শাসক দলের প্রভাবশালীদের কাছে ঘুরছেন। তাদের পরামর্শে শিক্ষকদের চাপ দিয়ে ওই মানববন্ধনে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, এর আগে তিনি ভোলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকের দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন