১০:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাবি’র ৫৩ তম সমাবর্তনে ‘এমফিল’ ডিগ্রিপ্রাপ্ত রোমানা পাপড়ি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
  • / ৭০

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মতলব (উত্তর) সংবাদদাতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩’তম সমাবর্তনে ‘এমফিল’ ডিগ্রি প্রাপ্ত হলেন মতলব উত্তরের রোমানা পাপড়ি। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক পদে কর্মরত। উল্লেখ্য, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.এ (সম্মান) এম.এ পরীক্ষায় কলা অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করায় ৪৯’তম ও ৫০’তম সমাবর্তনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে স্বর্ণপদক এবং কলা অনুষদ থেকে ‘ডীনস’ পদক লাভ করেন।

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০’তম সমাবর্তনে গোল্ড মেডেল পেয়েছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ছেংগারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক কৃতি শিক্ষার্থী রোমানা পাপড়ি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পালি এন্ড বুদ্ধিষ্ট স্টাডিজ’র মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তার পিতা আমির হোসেন মাষ্টার জীবদ্দশায় মতলব উত্তর উপজেলার ইমামপুর পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন।

পাপড়ির শিক্ষক পিতার সর্ব কনিষ্ঠ মেয়ে। বাবা যদিও এ সুখকর সময়ের অংশীদার হতে পারেন নি। চলে গেছেন আরও আগে না ফেরার দেশে। মা, ভাই-বোনের স্বপ্ন পূরণ করতে একটুও কৃপণতা করেননি। পাপড়ির এ কৃতিত্বে তার পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত।

পাপড়ির মা মনোয়ারা বেগম তার মেয়ের এ সফলতার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি আমার মেয়ের জন্যে গর্বিত। নিজেকে আজ পৃথিবীর সেরা মা বলে মনে হচ্ছে।’

শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা জীবনে সবথেকে বেশি অনুপ্রেরণা আর উৎসাহ পেয়েছি শিক্ষকদের কাছ থেকে। অভিভাবকের মত করে ছায়া পেয়েছি যেকোনো সময়ে-অসময়ে। আজকের বিশেষ দিনে শিক্ষকদের পাশে থাকতে পেরে নিজেকে খুব গর্বিত মনে হচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় স্যার-ম্যামদের।’

পাপড়ির এ সফলতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া চাঁদপুরের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা তার এ অর্জনে অত্যন্ত আনন্দিত। সে আমাদের সকলের জন্য আর্দশ।’

রোমানা পাপড়ি মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার আদুরভিটি গ্রামের কৃতিসন্তান। তিনি ছেংগারচর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৬ সালে এসএসসি পাশ করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন পদকে ভূষিত হন। তারমধ্যে ‘বিএনসিসি’ এবং ‘রোভার স্কাউট’ পদক উল্লেখযোগ্য।

শিক্ষক পিতা আমির হোসেন মাষ্টারের পদাংক অনুসরণ করে ছোটবেলা থেকেই শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন রোমানা পাপড়ি। সেই লক্ষ্যে তিনি অত্যন্ত মেধার সাক্ষর রেখে শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে থাকেন। ছোট বেলায় শিক্ষক পিতার মৃত্যুর পরে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সহিত শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করেন এবং বর্তমানে সেখানেই সুনামের সহিত শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ঢাবি’র ৫৩ তম সমাবর্তনে ‘এমফিল’ ডিগ্রিপ্রাপ্ত রোমানা পাপড়ি

আপডেট সময় : ০৬:৪৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মতলব (উত্তর) সংবাদদাতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩’তম সমাবর্তনে ‘এমফিল’ ডিগ্রি প্রাপ্ত হলেন মতলব উত্তরের রোমানা পাপড়ি। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক পদে কর্মরত। উল্লেখ্য, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.এ (সম্মান) এম.এ পরীক্ষায় কলা অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করায় ৪৯’তম ও ৫০’তম সমাবর্তনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে স্বর্ণপদক এবং কলা অনুষদ থেকে ‘ডীনস’ পদক লাভ করেন।

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০’তম সমাবর্তনে গোল্ড মেডেল পেয়েছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ছেংগারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক কৃতি শিক্ষার্থী রোমানা পাপড়ি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পালি এন্ড বুদ্ধিষ্ট স্টাডিজ’র মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তার পিতা আমির হোসেন মাষ্টার জীবদ্দশায় মতলব উত্তর উপজেলার ইমামপুর পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন।

পাপড়ির শিক্ষক পিতার সর্ব কনিষ্ঠ মেয়ে। বাবা যদিও এ সুখকর সময়ের অংশীদার হতে পারেন নি। চলে গেছেন আরও আগে না ফেরার দেশে। মা, ভাই-বোনের স্বপ্ন পূরণ করতে একটুও কৃপণতা করেননি। পাপড়ির এ কৃতিত্বে তার পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত।

পাপড়ির মা মনোয়ারা বেগম তার মেয়ের এ সফলতার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি আমার মেয়ের জন্যে গর্বিত। নিজেকে আজ পৃথিবীর সেরা মা বলে মনে হচ্ছে।’

শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা জীবনে সবথেকে বেশি অনুপ্রেরণা আর উৎসাহ পেয়েছি শিক্ষকদের কাছ থেকে। অভিভাবকের মত করে ছায়া পেয়েছি যেকোনো সময়ে-অসময়ে। আজকের বিশেষ দিনে শিক্ষকদের পাশে থাকতে পেরে নিজেকে খুব গর্বিত মনে হচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় স্যার-ম্যামদের।’

পাপড়ির এ সফলতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া চাঁদপুরের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা তার এ অর্জনে অত্যন্ত আনন্দিত। সে আমাদের সকলের জন্য আর্দশ।’

রোমানা পাপড়ি মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার আদুরভিটি গ্রামের কৃতিসন্তান। তিনি ছেংগারচর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৬ সালে এসএসসি পাশ করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন পদকে ভূষিত হন। তারমধ্যে ‘বিএনসিসি’ এবং ‘রোভার স্কাউট’ পদক উল্লেখযোগ্য।

শিক্ষক পিতা আমির হোসেন মাষ্টারের পদাংক অনুসরণ করে ছোটবেলা থেকেই শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন রোমানা পাপড়ি। সেই লক্ষ্যে তিনি অত্যন্ত মেধার সাক্ষর রেখে শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে থাকেন। ছোট বেলায় শিক্ষক পিতার মৃত্যুর পরে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সহিত শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করেন এবং বর্তমানে সেখানেই সুনামের সহিত শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন